আসছে ২৫শে বৈশাখ, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী। এই পোস্ট টি তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধার ছোট্ট একটু অংশ।
কিছু দিন আগে সুযোগ হয়েছিলো কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়িতে কিছুক্ষণ কাটাবার।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয় বাংলাদেশের যশোর জেলায় অন্তর্গত ফুলতলা থানার দক্ষিণডিহি তে অবস্থিত।
এটা বাড়ির মূল প্রবেশ পথ;
খুব আহামরি কিছু না তবে রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জায়গায়টি আমার দেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের।
ব্যবস্থাপনাও খুব ভালো মনে হল না, কেয়ারটেকার কে অনেক খুঁজে আনতে হয়েছিলো। বিদ্যুৎ না থাকলে আর কোন বিকল্প বুবস্থা রাখা হয়নি।
বাড়ির সামনে মৃণালিনী দেবীর বাবা ও মায়ের দুটি আবক্ষ মূর্তি আছে।(সম্ভবত)
আমরা যেদিন গেলাম সেদিন খুব কুয়াশা ছিল তাই ছবি গুলো তেমন ভালো আসেনি। বাড়ির ভিতরে রবিন্দ্রনাথের বেশ কিছু ছবি আছে । আছে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর ছবি। তাঁর দুই একটি এখানে দিলাম। তখন বিদ্যুৎ ছিলনা বলে ছবি তেমন ভালো আসেনি।
মৃণালিনী দেবীর ছবি
রবি ঠাকুরের জীবনী সংক্ষেপ
খুব বেশি সময় লাগে না পুরো বাড়িটি ঘুরে দেখতে। কর্তৃপক্ষ যদি একটু নজর দেয় তাহলে হয়তো রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি আরও আকর্ষিণীয় হতে পারে। অনেকেই জানেই না যে রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি এখনও আছে। আরও প্রচার পাবার দাবী রাখে এটা। শেষে কবির আরও দুটি ছবি যোগ করছি।
কেউ যদি যশোর বা খুলনা বেড়াতে যান, দেখে আসতে পারেন দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স টি।
কিভাবে যাবেনঃ
বাসে ঢাকা থেকে খুলনাগামী যেকোন ভলভো/এসি/ননএসি পরিবহনে [হানিফ, ঈগল, সোহাগ, এস আলম, শ্যামলী ইত্যাদি ]। ভাড়া ৪০০ থেকে ৮০০টাকা। নামতে হবে বেজেরডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে ভ্যান/অটোরিকশা যোগে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে।
ট্রেনে গেলে নামতে হবে নওয়াপাড়া/ খুলনা। খুলনা/যশোরগামী বাসে বেজেরডাঙ্গা নেমে ভ্যান / অটোরিকশা যোগে গন্তব্যে পৌছানো যাবে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।