মামুন ভাই আটকা পড়েছেন জয়দেবপুরে, লাভগুরু-আখতার ভাই তার চিকেন বিরিয়ানির প্যাকেটটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে চোখ মটকে বললেন- ‘খায়া ফেলাও’... আমি বিপুল বিক্রমে খাওয়া শুরু করে একটু পরেই লটকে গেলাম, অনেকগুলো খাবার নষ্ট হয়ে গেল। লাভগুরু বিরক্তভাবে হাত উলটান... ‘আইজকালকার পুলাপাইনেগো কোন এলেম নাই... এইরাম বয়স থাকতে আমরা এমন চারপাঁচ প্যাকেট উড়াইয়া ফালাইতাম...’
ফেরার পথে বাস পাওয়া যাচ্ছিলনা ... অনেকক্ষণ পর একটা ‘বলাকা’ আসতেই লাভগুরু একেবারে বাঘের মত ঝাপাইয়া পরলেন। পণ্ডিতের আবার সদ্য ভুঁড়ি গজিয়েছে, তার পর পায়েও ফ্র্যাকচার- বেচারার অনেক কষ্ট হল।
বাসের পেছনটা প্রায় ফাঁকাই ছিল। ষোল-সতের বছরের এক সদ্যযৌবনা তার পাশের ফাঁকা সিট এবং এর সম্ভাব্য যাত্রী নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল। ল্যাংচানোর কারনে পন্ডিতকে সামনে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। খোঁড়াতে খোঁড়াতে একসময় একদম শেষের সিটটায় ঝপ করে বসে পড়লো। এরপরের দান লাভগুরুর... উদাসীনভাবে তিনি হেঁটে গিয়ে নিঃসঙ্গ যাত্রীটির সামনে একমুহূর্ত দাঁড়ালেন- তারপর পেছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ মটকালেনন, এবারের ভঙ্গিটি পূর্বের তুলনায় কিছুটা বিকট। লাভগুরু একটা কথা প্রায়ই বলেন- ‘সমাঝদার কে লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যাঁয়’...
হমম... দিনকাল ভালোনা, মেয়েদের ব্যাপারে একটু ‘সমাঝদার’, একটু সতর্ক থাকাই ভালো। আমি তড়িঘড়ি করে হেঁটে গিয়ে লাভগুরু আর পণ্ডিতের মাঝখানের অপ্রশস্ত জায়গাটিতে ঠেলাঠেলি করে বসে পড়লাম...
লাভগুরু হাঁসফাঁস করতে করতে কোন রকমে বলেন- আইজকালকাল পুলাপাইন ... !
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।