ইচ্ছে হলেই স্বপ্ন হাজার বুনতে পারো,
চাইলে বুকে কান পেতে আজ শুনতে পারো....

ভালোবাসা-
গায় সাম্যের গান
সুর মাধুর্য ভাঙে শৃঙ্খল।

দেয়ার গর্জনে নিদ্রা চূত
নিথর দেহ

স্বাধীনতা তুমি আছ বলে মাথা উঁচু করে আছি দাড়িয়ে
তোমায় দিবনা কভু যেতে হারিয়ে....

মুক্ত পথের পানে তাকিয়া থাকা এক নারী
নিবৃত জল জরা নিস্পলক আঁখি.....

প্রতি নিঃশ্বাসে গিলে খাচ্ছি মরা স্বপ্ন কে
আর আচ্ছন্ন হচ্ছি মায়ার ঘুমে.....

জৌলুসহীন লোকটি, নাম তার ওমর চাঁন
ছিপছিপে অসুস্থ শরীর কোন মতে চলে.....

উড়ছে উড়ছে দেখ আজ, আমাদের জাতীয় পতাকা
জন্মভূমি বাংলাদেশ আমার, প্রিয় স্বপ্নিল উপত্যকা..........

স্বাধীন বাংলার স্বাধীন বাঙালি
কত সহজেই বলি

জ্বলে উঠও বাংলাদেশ
এখনি সময় এসেছে,

রঙ ছিটিয়ে আসছে ওরে সোনা সুখের দিন
নববর্ষে বাঁজে শুনে ক্রিকেট বিশ্বকাপের বীণ।

যখন প্রকৃতি নির্জীব হয়ে আসে
পাখিদের কোন কলরব নেই

সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতির সহবাস
ব্যাপারটা আজকাল নিত্যনৈমিত্তিক

সারা বিশ্ব মাতল আজ একটি কাপের পিছে
নাওয়া খাওয়া সবি যেন হয়ে গেল মিছে

দাড়িয়ে আছি প্রকাণ্ড এক ঘরের সামনে
আমরা আশাবাদী কিছু স্বপ্নময় মানুষ।

বাংলাদেশ যেন ছোট না হয়
ক্রিকেট তোমার জন্য।

বাসন্তী রঙ শাড়ীতে আজ
কি যে ভাল লাগছিল তোমায়,

নববর্ষ নববর্ষ হে শুভ নববর্ষ,
বাঙ্গালীর চিরন্তর এক মিলন মেলার হর্ষ।

সুন্দর ছন্দের
অনিন্দ্য রঙ্গের

অনেক আশা ভালবাসা বাংলাদেশের ক্রিকেট ঘিরে
কোটি হৃদয় ভঙ্গ করে আশার তরী ডুবলো তীরে।

মা তুমি একটি শব্দ
অনেক কিছু তাতে,

হাসপাতালের লিফট থেকে মায়ের লাশটা বের করতেই
আমার বোন রমিজা আমার ডাক নাম ধরে

শেষ রজনীর নিঃস্তদ্ধতায়
আমি এখনো খুঁজে ফিরি তারায় তারায়

আজ আমার বিয়ে, তুমি কাঁদছ কেন মা?
বল, বিদায়ের বেলা দেউরীর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে,

আরেকবার দেখি ও মা তোর বদন খানি,
জ্বলে পুড়ে যাক যত যন্ত্রণা গ্লানি,

নারী মাতা মাতৃময়,
নারী বোন স্নেহময়,

থোকায় থোকায় ফুল ফুটেছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
বাংলার মাটি লাল হয়েছে সেই সে রক্ত লালে।

ছোট্ট প্রিয় একটি নাম
আমার প্রিয় মা।

তুমি আমার জন্ম প্রভুর রক্তে দেয়া দেহ মূল
তুমি আমার প্রথম পাওয়া জীবন নদীর মুকুল।

নবীর ঘুমের ঘোরে শুয়ে আছ মা জননী
তৃষ্ণার্ত পিপাসায় কাঁদে সুখের ধরণী।

জন্ম বেদনা সয়ে মাগো দেখেছিলে আমার মুখ
এক নিমেষে ভুলে গিয়ে বলেছিলে নেইতো দুঃখ।

মাগো দোয়া কর ক্ষমা কর আমি অসহায়
তোমার কদম চুমে মাগো মধুর শরাব পিয়াসী তায়।

মায়ের সেবা করলে বেহেস্ত
জানে সকল জনে।

হাসিলে কাঁদিতে হয় বলে ছিল মায়
কেন তুমি বলেছিলে আর তো হাসি নাই।

কোথায় গেল সেই কাল
কোথায় সেই শিশু ?

জীবন পথে মা যে আমার
সবার সেরা বন্ধু,

আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়
মায়ের সেই আদর মাখা আঁচলের তালে।

নুয়ে মাথা জ্ঞাপি কৃতজ্ঞতা দিবস্জামির সনে
দিয়েছে যে মরে এমনি মাতা ধরণিরও তরে

মা, আমার গর্ভধারিণী মা
তোমার কোলে মাথা রেখে

মাটি যদি মা-ই হয়, আমিও তোমারই সন্তান,
মায়ের মতোই পূজা করি তোমার।

আজি নিশির প্রান্তরাতে বসে / লিখছি এই কাব্য খানী
প্রভু -- ? এ বাণীর সততের মান কত খানী --

আত্মিক ভালবাসা আর স্নেহে
মায়ের আঁচলের ছায়ায়,

আমার মা তিনি তো নিজেই মহাকাব্য
জীবনের প্রতিটি দিন একটি কবিতা।

মহান আল্লাহর পরে মা তোমারই স্থান
এ কথা যেমন সবাই মানি,

মা কথাটি মধুর এমন
মায়ের স্নেহ মাখা মমতা যেমন,

তোমার চরণ তলে জান্নাত
তুমি এক মহীয়সী নারী

নির্বাক আমি নিশ্চুপ থাকি,
অবুঝ আমি আশাহত হই।

মাতৃপদতলে নিজেকে করি সমর্পণ
অতল গহীন সুখের সাগরে রাখি

লাল শাড়ী পরিয়া
কী সুন্দর সাজিয়া,

এ কি রেঁধেছিস মা!
খাওয়ার মতো হয়নি মোটেই

মা হারিয়েছে যে, সব হারিয়েছে সে
চেনা তার এই জীবনে,

মনি,মনটা আমার পুড়ে গেছে
তোমার প্রেমের আগুনে

আমি সুস্থ না অসুস্থ,
- বেচে আছি না মারা গেছি

একদিন এইখানে এসেছিলাম আমি
ঠিক এইখানে,

যেখানে মাটিরা কথা কয়
সমুদ্র যেখানে ষোড়শীর নূপুর ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকে

স্বপ্ন-আবরক বিবস্ত্র ব্যাকুলতার দিনগুলো আজও মনে পড়ে
দেখেছি জল জলান্তরের কৃষ্ণার সৈকতে_ শ্যামল প্রান্তরে

সত্যের সন্ধানে আমি হেঁটে চলেছি-
সাত সমুদ্র পাড়ি জমিয়েছি

আজ তুমি পাশে নাই
ধাতস্থ হতে হতেও,

নিজের কাছেই বড় অপ্রিয়- কাটাই সময়
কিছুতে ভিজি না শুধু পুড়ে যাই দ্বিধার প্রহরে

ভাঁজ খুলে গেলে থাকে শুধু রোজ কষ্টই
অতি ব্যবহারে জীর্ণ-দীর্ণ-ক্লান্ত

আমি এক নষ্ট ছেলে
জন্ম থেকেই কষ্ট আমার বুকে

বঙ্গোপসাগরে অতীতের সব দুঃসহ কষ্ট দাও ছুঁড়ে ফেলে
হৃদয়বৃত্তির পথে-প্রান্তরে অন্তহীন নীল ব্যথা-বেদনা যাও ভুলে

কত কালের স্বপ্ন রোদ ঘেষা দুপুর
স্বপ্নের পাঠশালা তুমি আমি ভালোবাসা

আমি বিদেশে একাকী
সব ছেড়ে থাকি

রুদ্র প্রহরী সদা ব্যস্ত হৃদয় প্রহরায়।
অনুপ্রবেশ নিষেধ প্রণয়ের,

খোলা জানালার বাইরে গাড় কুয়াশা
সকালের সূর্য উকি দেয় সবুজ পাতার ফাঁকে

স্বপ্ন গুলো কেমন যেন!
ধূসর, বাস্তবতার ধার ধারে না।

কষ্ট তোমাকে ঘৃণা করি-
তোমাকে দেখলেই মনে পড়ে যায় অন্ন বস্ত্রহীন শিশুর বেদনার্ত মুখ|

কষ্ট, তুমি চলে গেছ!
দায়িত্ব এক দিয়ে গেছ -

হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!

আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবিনু কত বড় ঐ আকাশ;
ওখানেই রাখিব ব্যথাগুলি মোর, যাহা করিনি প্রকাশ।

নির্মাণাধীন এক বিল্ডিং এর পাঁচ তলায় বসে সবুজ, সৈকত, রাসেল, সজিব, সুলতান, জসিমসহ এলাকার আরো অপরিচিতি অনেক ছেলে আড্ডা দিচ্ছিল আর হাসছিল। যে হাসির ঝংকার প্রবাহিত বাতাসের সাথে মিশে শব্দ দূষণের মিছিলে মহড়া দিচ্ছিল। উঠতি বয়সের সে হাসি মাখা মুখ গুলো দেখলে মন থেকে মুছা যায় না। তাঁরা সবাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পর এখন বেকার সময় কাটাচ্ছে।
বিল্ডিংয়ের পাশে ছিল আম গাছ। প্রচুর আম ধরছিল সেবার গাছটায়। যেন লিচুর থোকা। আশ পাশের দু'চার গ্রামে এমনটা দেখা যায় না। হাস্যোজ্জ্বল সদ্য উঠতি বয়সী ছেলেদের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপল- পাশের আম গাছ থেকে আম চুরি করে ভর্তা খাবে এই ভর দুপুরে। বৈশাখের ভর দুপুরে আম ভর্তার কথা শুনলেই জিহ্বায় কেমন জানি একটা রসালো ভাব আসে, তাদেরও এসেছিল। যেই কথা সেই কাজ। দলের মধ্যে সবচেয় দুষ্টু সজিবকে দায়িত্ব দেয়া হলো আম সংগ্রহ করার। পাঁচ তলার সানসেট বেয়ে সামনে হাত বাড়ালেই এক থোকা কাঁচা আম অনায়াসে আনা যায়। যা সজিবের কাছে কোন ব্যাপারই না। এমন কাজ সে প্রায়ই করে থাকে বন্ধুদের উৎসাহে। বন্ধুদের মাঝে হাসির উপদান যোগাতেও তার কোন জুড়ি নেই। এলাকায় তার একটা সম্মানও রয়েছে। মা বাবার একমাত্র সন্তান সে। লেখাপড়ায় ভাল। অভাব তাদের নিত্য সঙ্গী। বাবা দিন মজুরে।
কিছুক্ষণ আগে সজিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে সে মারাত্মক ভবে আহত হয়েছে। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পর ডাক্তারগণ তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। মৃত সজিবের মাথার একপাশটা সামান্য থেঁতলে গেছে। রাস্তা দিয়ে আনার সময় পিচ ঢালা পথটা লাল হয়ে উঠেছে সজিবের লাল রক্তে। যা কিছুক্ষণের মধ্যেই চাপা পড়বে দাপুটে বাতাসে মিশে থাকা উড়ন্ত বালির নিচে। এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে স্বপ্ন ভাঙ্গা মায়ের আহাজারিতে। দিন মজুরে বাবার কঙ্কাল সার দেহ থেকে বেরিয়ে আসছে দীর্ঘশ্বাস। সান্ত্বনার বাণী শোনানোর মানুষের অভাব নেই। প্রাণের বন্ধুরা ভয়ে কোথায় জানি দৌড়ে পালিয়েছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ এসে তাঁর দায়িত্ব কর্ম সেরে গেছেন। হাসপাতাল থেকে- পোস্ট মর্ডেম শেষে বাড়িতে লাশ নিয়ে এসেছে। সজিবের বাবা মার ইচ্ছে ছিল- পোস্ট মর্ডেম ব্যতীত লাশটা হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার। কিন্তু মোটা অংকের হিস্যা দাবীর নিজে তাদের ইচ্ছে গুলো চাপা পড়েছে।
রাত্র হয়ে গেছে। সজিবকে বরই পাতা, গরম পানি আর সাবান দিয়ে খুব ভালো ভাবে গোসল করানো হয়েছে। তার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। আর বাতাস ভারি করা কান্না সে কাঁদতে পারছে না। সজিবের বাবা বসে আপন মনে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। সে ভাষা বুঝার সাধ্য কারও নেই। সজিবকে সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে খাটিয়ায় শোয়ানো হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তার জানজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। স্কুল মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে। অনেকে শেষ দেখা দেখে নিচ্ছে। সজিবের বন্ধুরা কয়েক জন জানাজায় ভিড়েছে। তাদের চোখেও অশ্রুর ধারা। মুখটা মলিন হয়ে আছে। সদ্য বরই পাতা আর গরম পানিতে গোসল করে সজিবের মুখ থেকে যেন জ্যোতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু তার চেহারায় কেমন জানি একটু ব্যাকুলতা। কিছু বলার আকাঙ্ক্ষা। সে যেন বলতে চায়- লোভ করো না, লোভ মানুষকে নষ্ট করে দেয়। চুরি করো না, চুরি সমাজের ঘৃণা।
তারপর তাকে কবরে শুয়ে দেয়া হয়েছে। সবাই চলে গেছে যার যার মায়ের বুকে। সবুজের মা রহিমা খালি বুক থাপড়ে আজও রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে তাঁর ছেলেকে খুঁজছে। সবুজের বাবা রহমত উল্লাহ এখন একা একা গাছের সাথে গাছের পাতার সাথে কথা বলে। আর এলাকার লোকজন আঙ্গুল তুলে বলে ঐ পুরুষ/মহিলার ছেলেটা আম চুরি করতে যেয়ে মারা গেছে।

কষ্টের আছে ষষ্ঠ রূপ
মানুষের আছে ভিন্ন রূপ

কোন দিন ভুলতে পারবোনা আমি তোমায়
যত পার অভিমান আঘাত দও আমায়।

আমার অনেক কষ্ট আছে, সেখান থেকে ভাগ যদি চাও -দিতে পারি
বন্ধু বলে হাত বাড়িয়ে কষ্ট গুলো ঘুচাতে চাও? তবেই এসো।

অনেক যদি কষ্ট থাকে,তখন আবার কষ্ট কি?
কষ্ট যাদের পাইনি নাগাল,তারা আবার বুঝবে কি?

বিশ্বমাঝে নারীগণ আছ লাঞ্ছিত হয়ে বেঁচে
দুঃখের সাথে করছে লড়াই এই জগতে এসে

চাঁদ-কলংকী রাত
বয়ে বেড়ানোর যন্ত্রনায়..

আমি পাথর হবো বলে --
পাথুরে মুখ করে বসে থাকি।

বাল্যকালে ইশকুল পথে,
সখিনার লগে পরিচয়,

কষ্টের সুতীব্র দহনে পুড়ছে হৃদয়।
পুড়ছে চোখের নোনাজল

মাঝে মাঝে আমার কি যে হয়
আমি সব ভুলে যাই।

কষ্ট আমার এমনি এক আপন,
যতটা আপন আমি আমার নিজের.

ঝড় বয়ে যায় ঝড়
বুকের মধ্যে ঝড়

কষ্টের রং যদি নীল হয়
তবে ব্যথার রং কেন কালো.

বাবুসোনা আমার;
খেলতে খেলতে থামিয়ে দিলি তোর খেলা!

তুমি চলে গেলে-
এমনি চলে যেতে হয় জানি।

বিনোদিনীর কপালটা বড় বেশি চওড়া
একেবারে আকাশের মত !

স্মৃতি খুব দিচ্ছে ধোঁকা
কী যেন নাম? রানু দাশ?

আর কতকাল বাইব জীবন খেয়া,
বাইলাম তো সারাজীবন নষ্ট করে,

ইদানীং আমি বেশ আছি।
বুকের উঠোন জুড়ে

তোমার ভালবাসা তে সেদিন
আমার কবিতা নির্বাসন এ গেল,

তোমার ঘরে কোরমা পোলাও
বিরানি হয় রান্না

কি বিষম অন্ধকারের বুকে ---
কেটে কেটে জল গড়িয়ে পড়ে,

হৃদয় গহীনে কষ্ট যাতনায়
হয়েছি আজ দিশেহারা।

বুকের ব্যথা বুকেই চাপা রেখে
চলে যাব একদিন

আঠাশে মার্চ ২০০৩ সাল,
প্রায় একযুগ পর মনে হয়

মনে লাগে বড় কষ্ট
যখন দেখি তরুন গুলো হয় পথভ্রষ্ট

আনুগত্যের শ্রদ্ধা ভক্তি অধিক উত্তম
মেদিনীর অদ্বিতীয় প্রেম নিদর্শন,

আমার ভালবাসা হারিয়ে গেছে অনেক আগে।শুধু ওর মাকে পাঠানো চিঠি টা রয়েগেছে আমার কাছে।
শ্রদ্বেয় ‘আম্মাজান’ তারিখঃ ৩১-০৩-২০১১ইং

বুক থেকে কষ্টের শিকড় যদি
উপড়ে ফেলতে পারতাম

পাহাড় সম দুঃখ আছে
আমার এই বুকে,

কি দোষ বল করেছি আমি
কেমায় ভালবেসে,

মাটির তৈরী সুন্দর মানুষ
আত্না দিয়ে গড়া তার মন,

শ্রাবণে নাও ডুবে যায়
চেনা ঘাট স্মৃতিতে পিচ্ছিল

মা বলতো নদীর ঘাটে যাইবি না,
মন ভাইঙ্গা যাইবো; কষ্টে খাইবো তোরে।

আমি পড়ব না আর তার লেখা
যে............................

কষ্ট মোদের জীবন সঙ্গী
কষ্ট থেকেই ফল আসে

আমি-
আলো দেখেছি!

সুখের কথা শুধু শুনেই গেলাম,
সুখের দেখা আর পেলাম না।

কষ্টরা ফিরে আসে কালো মেঘের ভেলায় করে
আমার এ ভূবন ঢাকে নিকষ কালো অন্ধকারে।

প্রিয় চম্পা,
আমি ভুলে যেতে চাই সেই সব দিন

তোমা হতে পাবার আশায় তোমারে করিনি দান !
আমার অসহায় দিনে,/ তুমি নাহি দাও আমার সেই প্রতিদান।

সইতে না পারে এত কষ্ট এক জীবনে,
তবু তারা সয়ে যায়, শেষ হয় মরণে?

কতগুলো সহজ লাইন কেন সহজ নয়?
নির্ভীক আমি তবু যেন ভয়

বামপাশ জুড়ে দেয়াল। দেয়ালে গাঙচিল উড়ে।
হলুদ দেয়াল ঠিক হলুদ নয়,ধূসর। জট

তোরা অমানিশার অন্ধকারে
বলিসনা আর প্রদীপ জ্বালা।

তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও দয়া করে
এত ভালোবাসা আর লাগেনা ভালো

কষ্টের একটা প্রহর কেটে যায়
আর একটা প্রহরের জন্য

সাত সাগর দূরের দূর্লভ রাজকন্যা তুমি
তোমার ভালবাসায় ভুলেছিলাম আমার যতো দুখ,

আমায় মাটি দিও, তুমরা মাটি দিও
আমার মার কবরের বুকে

এক-এক-দিন যখন স্মৃতিগুলো নড়েচড়ে ওঠে,
বুঝতে পারি_

আমি কবিতা বুনতে গিয়ে দেখি
হয়ে যায় এলোমেলো শব্দমালা l

অহনা; যাবে আমার সাথে।
এই শহরের পাশে একটি নদী আছে।

সেই দু'টি বছরকে বলি_ মরণের বছর।
মরণের বছরে,

এক-এক-দিন সকালটা বিকেল হয়ে যায়,
দুপুরটা বিকেল হয়ে যায়।

কষ্ট পেতে চাই গো আমি কষ্ট পেতে চাই,
কেউ কি আমায় একটু কষ্ট ধার দিতে পার ভাই ?

আমি ফিরতে চাই সেই নীড়ে
যে নীড়ে থাকবেনা

ওহে কষ্ট- তুমি বন্ধু আমার
সঙ্গে ছিলে নীরবতার

গাছটি ঠিকি আছে ফুলটিও টিকে আছে
মধু টুকুই লুণ্ঠিত হয়ে গেছে

কষ্ট বা সুখ অনুভুতিরই ভুক্ষ
মিছে মিছি দুঃখ বহিছে বুক।

আমি নিস্তব্ধতা দেখেছি,
কিন্তু রাতের আকাশে তারা ছাড়া

কষ্ট বেচব কষ্ট বেচব
কিনবে নাকি কেউ ?

কষ্ট আছে কোলাহলে
কখনো বা চোখের জলে,

সত্যি বলছি
ভীষন কষ্ট হয় আমার

চকচকে রাস্তাঘাট আর মনোরম পরিবেশ
সারাদিন খাটছে তারা বিশ্রামহীন পরে কমলা রঙয়ের ড্রেস।

আমাকে কেউ কখনো কস্ট দেয়নি
আমি জানিনা কেন, কিন্তু আমারনা

প্রিয়,
আমি তোমাকে অনুভব করি আজো

আমার মনে অনেক কষ্ট
কষ্ট আমার চোখে,

নিশ্চুপ শূন্য ঘরে...
অসার অন্তহীন ধূসর স্বপ্নে

কখন জানি কোন অচলায়তনে হয়েছিলে নষ্ট
জীবনের সব সুখ কে বিসর্জিত করে

আমার বউ সিংহ শাবক
রাগলে হাতে তুলে চাবুক,

জলপীড়িতে বসা আদরের দোয়েল
ঘাট থেকে জলে যেত সকাল-বিকেল।

এ এক নতুন প্রশ্ন,
কোন সে উত্তর?

অন্ধকারেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবার সাধ আমার.....
কালোর মাঝে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবার সাধ..

কষ্ট চাই কষ্ট
যত রকম কষ্ট আছে

কে গো তুমি? তোমাকে আমার চেনা চেনা মনে হয়,
কোন ক্ষনে কি তোমার সাথে হয়েছিলো পরিচয়?

বড় ইচ্ছে করে........
মনটাকে উড়িয়ে দেই পবনের পুলকিত পরশে

বাবাদের কাঁদতে নেই-
বাবারা কি কঠিন হৃদয়ের?

দু চোখ গড়িয়ে পড়া লোনা পানির ঢল
তখনও উপলব্ধিতে আসেনি তা ছিল কি?

সেদিন-
চাঁদ যে আনন্দে হেসেছিল

ভালবাসাকে হত্যা করেছি
প্রেমকে পাঠিয়েছি নির্বাসনে,

আমি বেঁচে আছি অর্পনা
ভুলগুলো নিয়ে যন্ত্রণাগুলো নিয়ে

দিনে দিনে অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছি
তুমি আমার অনুভূতি খাচ্ছ প্রতিনিয়ত ।

ঝরে গেছে শুকনো পাতা
বসন্তের শেষ দিনে,

হারানো দিনের গল্প
মনে আছে অল্প

কেন জানিনা ? অল্পতেই আজ
চোখ ভরে যায় জলে,

একটি জীবন যেমন তেমন করে দেব পার,
নাই বা পেলাম সুখের পরশ, কণা কিছু তার।

রাজনীতির ময়দানে নির্বাচনের আগে নেতার ব্যাবহার;
এবং নির্বাচনের পরে নেতার ব্যাবহার যখন মেলাতে পারিনা;

আতুর ঘরে নবিনের যে দিন জন্ম হয় সেদিন পৃথিবীতে তার প্রথম চিৎকার কজন শুনতে পেয়েছিল আজ খুব জানতে ইচ্ছে করে।জানতে ইচ্ছে করে তার যে বড় ভাইটা আছে সে কোন দিনকোলে তুলেছিল কিনা তাও।

আমার কষ্ট তুমি বুঝলেনা,
আমায় নিয়ে সুখের তরী আর বাইবেনা।

কষ্টের আলিঙ্গনে চুমে চলছি অজানার পথে
দুঃখ দিনতার পাঞ্জর ভেঙে ভুলি কি রথে।

ধীরে ধীরে লয়ে প্রাণে তমাল ও হেলিয়া
আঁখি ও কোণে জল মোর যায়রে ঝরিয়া।

আমি দুঃখের রাতের দুঃখ চোরা, রাতকে বলি সই,
চতুর দিকে পাখপাখালি, দুঃখ দেখে কাঁদে ঐ।

তুমি আমার গল্প শেষের, গল্প পড়নি
তুমি আমার দুঃখ শেষের, দুঃখ দেখনি।

এই জীবনের কাছে আর কোন
চাওয়-পাওয়া নেই

আমি আাকাশ ছোঁব বলে,
চোখ রেখেছিলাম তোমার চোখে।

জন-জীর্ণ পূর্ণ বৃত্তাকার এ ভূ-খন্ড
তার মাঝে স্থল, জল, মরু, অরণ্য।

আমি নিশ্চুপ নির্বাক রই
সকলের শত উপহাস সই

চোখের তাঁরায় জলের নদী
দুঃখ-ব্যথা ঝরে অবধি

রাত হারানোর পাখিটারে দুর আকাশে নিয় চল।
কি এমন কষ্ট ব্যথা? তার সাথে তুই খুলে বল

ব্যথার চিরে ব্যথিত ব্যথা হয়না তারি রোধন
তিক্তনাশের রিক্ত সেথায় সিক্ত তারি শোদন।

দুঃখের রঙের দুঃখ কাঁটা, সুখের রঙে রঙ্গীন হয়;
চার আঙুরের ভাঙা-কপাল, সুখ আর সউলে কই

চোখের জল আসতে হয় যে দেরী
এ মানুয়া ভেরী

আজ দেখলাম মানুষ ও কুকুর পাশাপাশি শুয়ে আছে ফুটপাতে
সেদিন দেখেছিলাম, ডাস্র্টবিনের ময়লা খাবার খেতে

বাড়ির দক্ষিণ পাশে বিশাল পুকুর। ঘন্টাখানেক আগে গোসল করতে গেছে নিপা। কিন্তু ফিরে আসার নাম নেই। অন্যান্য দিন গোসল করতে গিয়ে পুকুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সাতার কেটে ঝড় তুলে।

সবচেয়ে কৃপণতা আজ আমার,
একটি প্রাচুর্য্য ঘিরে।

আমায় যা খুশি কারো তুমি
শুধু ভুলে যেওনা

কেউ কষ্ট পায় বুফেতে সব পদ
খেতে না পারার অতৃপ্ততায়,

যে দিন আমি ভালবেসেছিলাম তোমায়
বিন্দু পরিমানও ভালবাসনি আমায় ।

জানালা খুলে বসে আছি একমুটো জোসনা একটু চৈতালি হাওয়ার জন্য
বাইরে জোসনার বন্যা, চৈতালি বাতাসে ঝড়ে শিমুলের ফুল

মনের তলায় নাড়া দিয়ে দেখ
তলানি হয়ে জমা থাকা

সে দিন কাজল কালো চোখে জল দেখেই
নিজের বুকের ভেতরটায় কেন জানি ব্যথা হয়েছিল।

জানিনা আমি সুখ কি, সুখের ধরন।
কতটুকু সুখ পেলে হয়, সুখের কারণ।

আজ কত দুরে, তুমি আজ কত দুরে-
বিজয়া দশমীর রাতে পাড়ার রংচটা মাইকে

কি কুক্ষণে শিখালে হে লীলাবতী, তৈলাক্ত বাঁশের অংক,
আজকাল , তৈলাক্ত বংশ দণ্ড ছাড়া, আর কিছুই দেখি না। ।

কেউ থাকে সুখে জগতের বুকে
গড়িয়া টাকার পাহাড়,

কষ্টকে কষ্ট ভীরে থাকতে দাও
কষ্ট যেন কষ্টেই পায় পরম সুখ।

সত্য আর মিথ্যায় ছড়ানো প্রত্যাশার এই পৃথিবীতে
কবিতাটি যখন পৌঁছি

কামিনী কি একটি ঝড়ে যাওয়া ফুল
না কামিনীর জন্মানোই ভুল

তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ বলে
আমি কষ্ট পাইনি যদি বলি,

সভ্যতার সব সীমা ছেড়ে এ কোথায় চলছি,
নতুনত্বের প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত সবাই মরছি।

তুমি দিলে
এক টুকরো কষ্ট

অমানিশা রাত বুঝে চোর দিল হানা,
গরীবের বাড়ি এটা ছিল না তা জানা।

তোমার কষ্ট আমার কষ্ট
কষ্টের মালা গেঁথে

কথা বলি যে আজি,আমার বিদায় বেলা
এ যে অজানা দুর্গম পথ,চলেছি একেলা

আজকে আমার বড় পায় হাসি,
যখন তারা বলছে ভালবাসি।

হয়না কস্টের এই জীবন
শেষ হয়না বুকের যন্ত্রনা

তোমার উত্তরভ্রম দিনকাল
জানি তোমার অধঃতল বিহবল

আজ আর গল্প নয়
মনে মাঝে জমে থাকা বাষ্প গুলো বুদবুদের মতো,

সুবর্ণ লতা,
তুমি কী জান?

কষ্ঠ!একটি জটিল শব্দ,
যা অস্পষ্ঠ!

এক জীবনে কষ্ট অনেক
বিবর্ণ,বাষ্পীয়,ফ্যাকাসে,গুমোট, সিক্ত

যখনি আমি দেখেছি তারে , সুখের পরশ তার মুখে --
যখনি আমি দেখেছি তারে , সুখের চমক তার চোখে --

আকাশ টা কেন আজ মেঘে ডাকল ?
হৃদয় টা কেন আজ বেদনার রঙ্গে আকল ?

আমার দ্বারা কিছু হবেনা
কি লিখতে কি লিখছি,

ছোট এই জীবনে
কেন এত কষ্ট

জীবনের প্রতি মাঝে মাঝে কেন উঠে যায় বিশ্বাস
বিষাক্ত হয় যেন প্রতিটি নি:শ্বাস ।

বুকের ভিতর কষ্ট আমার
শান্তি নাহি মনে।

ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে যখন
পাশব নাচনে প্রমত্ত তখন

ফেলানিদের কী কাঁটাতারে
পদে পদে বিপদের কাঁটা

হে মানব --
আসিনীসখেরবসেলিখিতে

মানুষ কেন মানুষ কে দেয় এত কষ্ট
ভুল বুঝাবুঝির কারণেই হয় মানুষে মানুষে সম্পর্ক নষ্ট।

থেমে গেছে লেখা
থেমে গেছে কলমের, কালি-

কখনও আসেনা যেন
কারো জীবনে ঘন ঘোর অন্ধকার-

যেমন ছিলেন দয়াল নবী
সৃষ্টি কূলের শ্রেষ্ঠ,

কাজ বলে কিছু নেই প্রায় লোক বেকার
জীবনটা কেমনে বাঁচে ঘরেযে নেই খাবার।

বহুদিন অভিমান করে আছে শব্দেরা,
তবুও...........

তোমার দৃষ্টি সরিয়ে নাও আমার দৃষ্টি থেকে
বড় কষ্ট হয় ।

হৃদয়ের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে চাপা কষ্টের যন্ত্রনা
মেহেদী পাতার মতো রক্তে রঞ্জিত, ক্ষত-বিক্ষত দেহবাস

বৃষ্টি ধোঁয়া কৃষ্ণচূড়া পাতা থোকা থোকা লাল ফুল
টাপুর টপুর বৃষ্টিতে পুকুরে ঢেউ এর দোল

কষ্টগুলো নষ্ট করে
লাভ কি বলো আর

আজ মানুষে মানুষে কেন এত ভেদাভেদ ?
কেন এত মারামারি ?

নদীর উচ্ছ্বাস উতল ঢে’উ
বার বার জোয়ারে পরিপূর্ণ জীবন পায়’ও

সেই কত যুগ আগে
ছুঁয়েছিলে ঘৃণায় আমায়

কষ্ট ! তুমি এসেছিলে নীরবে এ প্রাণে
বহতা নদীর মতন নিভৃত সারে ,

কালো টিপ টোলপড়া গাল রাঙ্গা ঠোটের
বাঁকা চোখের সু নয়না সখী

হাজার খাল কাটব আমি
কিনব লাখ কুমির

অপেক্ষায় থাক গাঁয়ের শান্ত ছেলে
আর দুঃখিনী মা

বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজবো আমি!
প্রখর রোদেও পুড়বো আমি!

হিজল বনের পাতায় পাতায় বাতাস কেঁপে ঝড়
রোদসী আকাশ ঘন সাঁঝে দিদির কষ্টের পর,

জানালার ফাঁক গলে ভোরের প্রথম আলো
অবতীর্ণ হয় দু'হাতে মুখ ঢেকে ঘরের ভিতর

আমি একলা উদাস ভারী
হাঁটি ক্লান্ত পথিক বেশে,

যার বুকে কষ্টের পাহাড়
তার কি আবার কষ্ট আছে ?

সময়টা ছিল এমন
চারিদিকে মুক্ত বাতাস বইত

এতিমের লুকানো ব্যথা কে দেখে হায়,
কেঁদে, কেঁদে শূন্যতায় দিন বয়ে যায়।

আমি এক স্বপ্ন যোদ্ধা
খুজে বেডাই স্বপ্নকে

আজি হতে বছর খানেক আগে
সে কথা ভারিয়া মনের মাঝে

# আত্বার গভীরে গোলমাল শুরু হয়ে গেছে । সবখানে তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে । কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না । মনে হয়,--- এখানে- োখানে- যেখানে- সেখানে পালিয়ে গিয়ে বাচিঁ । কিন্তু পালাবো কোথায়

অফিসের বড় সাহেব,
হঠাৎ একটু তার মাথা ধরেছে ।

আজ আকাশের অনেক রং
নীল, সাদা, কালো

আমি রিমঝিম শব্দে ঝরে পড়া
বৃষ্টির কাছে প্রশ্ন করেছি

নামঃ-পথ টোকাই, পিতার নামঃ-জানা নাই, মাতার নামঃ-জানা নাই।
জন্মস্থানঃ-শুনেছি পৌষ মাস রাত ২টায়, রাস্তার পাশের ঐ বটতলায়।

আয়োজন কষ্ট দেয়ার
প্রয়োজন দুঃখ দেয়ার।

মনেতে যেন
রোদ -বরষার মেলা,
চোখের মাঝে করে তার খেলা ।

জীবনের অন্তিমক্ষণে
মাগো সাধ ছিল তর মনে

ও কবি,উদাসী কবি
হোমারের উত্তরসূরী

অশান্ত প্রকৃতির বিলম্ব উপহার
শরতের সন্ধ্যায় ঝর-ঝর বৃষ্টি,

এই বৃষ্টির শব্দ
তুমি শুনতে কি পাও?

বেদনা জমেছে নীরবে হৃদয়ে
বোঝেনি সে দাঁড়ি কমা,

নদীর জলে শব্দ তুলে
ভাঙ্গবো ভীষণ

একটা
কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে খুব!

সেই যে তুমি আসবে বলে
গেছো যে হায় চলে

আমাকে কেউ দেয়নি
একটি ভালোবাসার গোলাপ

হৃদয় আমার কাটার আঘাতে
হয়ে গেছে ক্ষত-বিক্ষত

দেশের যা হাল
কেমনে হবে দেশটা ডিজিটাল?

পৃথিবী রেখা হয় তো রয়েছে বাঁকা
পথের মাঝে হল তোমার সাথে দেখা

কবিতা লেখে মালা আমি গাঁথতে চাই,
এ ধরাতে বৃষ্টির মত ঝঁরাতে চাই।

বন্ধু!! সেতো দুখের সারথি,
সুখের মাঝেও তার বসতি!

বন্ধু তোমার কি মনে আছে পুরানো সেই কথা?
বলেছিলে তুমি, “বন্ধু তুমি ছাড়া এই জীবনটাই বৃথা”

অবাক হবার মতই ব্যাপার
ছিলাম মোরা অচেনা,

তোমার যখন হয় না সময় একটু আমায় ভাবার,
আমি তখন তোমায় ভেবে দিনটা করি পার।

বন্ধু তোমার নীল আকাশের
নীল নীল বৃষ্টিতে,

এসো বন্ধু!
এসো সুরের সাথী, এসো গাই জীবনের গান।

অনন্ত অনাদিকাল অনুরাগে চেয়েছি তোমায়,
ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি মরীচিকার মায়ায়।

বন্ধু মানে ফুলের সুবাস
যেখানে খুঁজে পাই নীল আকাশ ।

বন্ধুরে-
পঁচিশ বছর পর

বন্ধু,
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে-

-চিনতে পারছ জাজি?
-কে?

ফুলহাতে এক ছোট্ট মেয়ে বাংলামোটর মোড়ে
খেলার সময় পার হল তার ফুল বিক্রি কোরে

কোনো এক গভীর রাত্রিতে নক্ষত্রের তলে বসে
গভীর ধ্যানে লিখছি এ চিঠি চন্দ্রমলি্লকার পাশে

কৈশোর পেড়িয়ে যখন যৌবনে পা দিলাম
তখনই প্রথম ভাল লাগার ছোঁয়ায় ছুঁয়ে গেলে তুমি।

ভাই-বন্ধু যা বলিস, তুই তো চলে গেলি
পূর্ণতার ঐ শূণ্য কোলে কি বেদনা পেলি।

কোন বিরহে পাগল হলি তুই
কোন বেদনার সাগর জলে ডুবে আছিস ছুয়।

হয়ত হয়ে গেছে এক যুগ বন্ধু
মিরেনি তোমার দেখা সু’দূরের ঐ সিন্ধু।

বন্ধু কে হতে পারে?
যে বন্ধুর সুখ-দুঃখকে ভাগ করে নেয়;

তুমি কই???
কত দূরে?

মনে রেখো
এই যুদ্ধ তোমার আমার।

ভালোবাসা নিও বন্ধু
কিছু ভালোবাসা দিও,

আকাশ কে প্রশ্ন করি-
বলতে পারো এ জগতে

যুব কালে বন্ধু হয়
নানান রকমের

আদ্যোপান্ত তোকে ঘেরা
জন্ম থেকে মৃত্যুবধি......

দুরুদুরু বক্ষে এই বুঝি তুমি এলে
কী মায়ায় জড়ালে বন্ধু এ মেদুর হৃদে ?

বন্ধু তোমাকে যেমন দেখি
আমার নিজ রং এর কাঁচ দিয়ে অবসরে

বসন্ত দিনের সাথে তুলিবো তোমায়?
তব মুখ আরো প্রিয়, আরো প্রেমময়;

আমার সুখ যেন তারই সুখ ,
ভাগাভাগি করে নেয় আমার যত দুখ |

কিছু কথা বলার ছিল-
যদি তুমি শুনতে

রঙধনু রঙ দিলাম তোমায়, দিলাম আকাশ নীল
দিলাম তোমায় ইচ্ছে পাখি, শঙ্খ ডানার চিল ।

তুমি কি দেখেছ মানুষ
মানুষরূপে মানুষের মাঝে আছে কত অমানুষ।

আমায় কি তুই দিতে পারিস, একমুঠো রোদ?
কিংবা ঘন বাদলধারার একটা ফোঁটা জল?

আদিগন্ত বিস্তৃত বন ভূমি তলে
খুঁজে ফিরি পায়ের চিহ্ন তোমার.

হে পৃথিবীর সভ্য
তোমাদের বলছি,

বন্ধুরা এলোমেলো….
ফেসবুক তাদের ফিরিয়ে দিলো,

অ−নেকবার গি−য়ছি তোমার কা−ছ, হেঁ−টছি
অাকীর্ণ এক পথ বার বার । কত যে বার

যাই চলে পৃথিবীর প্রান্ত শেষের রেখায়,
সব রং মিলেছে সেখানে, গগন প্রান্ত শুধায়-

জগৎ সংসার তন্ন তন্ন করে
পৃথিবীর মহাকালের পরতে পরতে

বন্ধু আমার রাত্রি শেষে
দিনের আনাগোনা

বন্ধু আমার, বন্ধু তোমার
সবার সেরা বন্ধুরে,

তুমি আমি সে ----
যদি হই বন্ধু সকলে ।

আজও মনেপড়ে বন্ধু তোমায়,
তুমি কী মনে রেখেছ আমায়?

নদীর ঘোলাতে অস্বচ্ছ জল
সাদা-বেগুনী ফুল থোঁকায় থোঁকায় কচুরিপানা,

বন্ধু হতেই চেয়েছি তোমার
শত্রু কেন ভাবলে বলো ?

আজকে আমার অর্থ আছে বিত্ত আছে ভান্ডারে ,
ইস্টিকুটুম, শুভাকাঙ্খীর অভাব নেই চারপাশেরে।

ইচ্ছে হল তোমার বাড়ি যাব
মগ্ন হাতে রংগুলি ছড়াবো

ঐ যে তেপান্তরের মাঠ, তারপরে যে দিগন্ত দেখা যায়,
ওখানেই আমার বাড়ি। যাবে তুমি, যাবে হেটে

কত মানুষের মনে কত দুঃখ খোদা,
তুমিই-তো সব অবগত,

জনহীন প্রানভরা দ্বীপ
এখানের বাসিন্দা আমি।

পুলিশগুলো বন্ধু বেশে শত্রু হয়েছে
চলো তাদের বন্ধু বানাই,

গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে হেটে গেছি দুজনে -
আকাশটাকে মুঠোয় পাবার অভিলাষে ।

দু\'চোখ নাচিয়ে, দু'হাত বাড়িয়ে
পাশেতে বসিয়ে, স্বান্তনার বানী শুনিয়ে

একদিন ছিল আমরা সবাই
একত্রে খেলতাম,

চলে সম্পর্কের বিকিকিনি
সামনে পথে হাতের বামে

ধান কাটা শেষে গাছের ছায়ায়
চার পাঁচ প্লেটে কালো হাতের নাচন

অফুরন্ত খোলা আকাশ !
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে তর তর করে উঠে যায় মন

বন্ধু, আমায় ছেঁড়ে আজ তুমি চলে গেছো বহু দূরে
জানিনা তোমার মন বেঁধেছ আজ কোন সুরে,

যখন আমি হাটি হাটি পা পা
বন্ধু ছিল তখন আমার মা।

হাসিলে বন্ধু তুমি
চাঁদ হাসে তারা হাসে

এখন আমার সন্ধ্যা আকাশ,
ওড়ে পূর্ব ঝড়ের বাতাস,

বন্ধু তাকেই বলে
যে ভালবাসে আমায় নিজের চেয়ে বেশি ,

আমার বন্ধু কোন মানুষ নয়
আমার বন্ধু আকাশের ঐ তারা -

আজকাল বাল্য বন্ধুদের
খুব বেশী মনে পড়ে,

বন্ধু মানেই অনন্তের বন্ধন আজীবন পথ চলা
বন্ধু মানেই প্রানের কথা , যাকে শুধুই যায় যে বলা ।

জানি তুই খুব রাগ করে আছিস
মানি, অতি সংগত অভিমান।

চোখে চোখে চোখ রেখে
নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে

হাতে করে নিই
গন্ধ শুখে দেখি কতোটা মাধকীয়

এ দুনিয়ায় বন্ধুর পরিধি
নাই কোন তার শেষ,

অজানা যাত্রা,
নিঃশ্বাসে বিষ,

ফুটপাতের ডাস্টবিনে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট
কুকুরের সাথে খেতে দেখে বলি ওরা নিকৃষ্ট।

জীবন নদীর কমেছে গতি, পড়েছে নতুন চর
স্বপ্ন কত হারিয়ে গেলো, কমলো সুখের গড়।

কেউ জানেনা মনের ভাজে,
কে রয়ে যায় অগোচরে;

সেদিন তোমার কারণে তোমার হাতে
ফিনকি দিয়ে ঝড়েছিল লাল রক্ত,

সজনের ডালে বসে এক পাখি
আমায় বলেছে ডেকে-

লোকে বলে, এক সঙ্গে দু পা হাঁটলেই নাকি বন্ধুত্ব হয়ে যায়।
বন্ধুর সাথে যুগ যুগ ধরে হাঁটছি, তবু বন্ধুত্ব হলো না।

কত দাবি, কত আবদার
কত অভিমান, কত অহংকার;

এই জমিন এই আসমান এই প্রকৃতি
এসব নিয়ে চলছে আমার জীবন

কংক্রিটে চাপা দেওয়া মৃওিকার বুকে
এসেছিলাম একদিন ,

নিভৃতে নীরবে যদি যাই কভু দূরে চলে
কেউ কি নিতে আসবে খবর-

হৃদয়ের বন্ধু আমার সারা জীবন পাশে থেকো,
সুখে-দুঃখে সবসময়ই আমায় কাছে রেখো।

এস বন্ধু চল আমার ঐ না গাঁয়ের বাড়ি
চোখ জুড়ানো সে গাঁ আমার মনটা নেয় কাড়ি।

আকাশ যদি হয়রে কালো
মেঘের কি আসে

পঞ্চমী রং লাগছে অঙ্গে
অঙ্গ যায় কি ঢাকা

পথ ভুলেছ বন্ধু আমার ?
রাখো আমার হাতে তোমার ঐ শীর্ণ হাত,

বলছি না তো ভালোবাসো
কিংবা একটু মিষ্টি হাসো,

ঘড়ির কাটা বারোটা বেজে এক মিনিট,
চারদিক থম থম, দূর কোনো গ্রাম থেকে ভেসে আসছে যাত্রাপালার সংলাপ...

রঙ বেরঙের বন্ধু ঘুরে
হরেক রকমসন্ধি করে ,আজব দুনিয়া ।

মূল্য হীন করেছ তুমি আমার ভালবাসা
দিয়েছি এ জিবন লিখে দিয়েছ ব্যথা

দৃষ্টি যায় ওই দূরেতে
গাঁয়ের বধু হেটে যায়,

বন্ধু যখন ছিল না পাশে
তখন ছিলাম একা,

নিঃসঙ্গতার এক অদ্ভুত রৌদ্র
আমাকে স্পর্শ করে...

তোমার হাসিতে হাসতে চাই
দুঃখে তোমার কাঁদতে চাই

স্কুলের টিফিনের ঘন্টা বাজতেই ভৌঁ দৌড়
গোল্লাছুট খেলার ধুম পড়ে যায় মাঠের সারাটি দিক

আজ নিরবে একা বসে স্মৃতির পাতার খিল খুলি,
বন্ধুরা সব কে যে কোথায় ভুলে গেছি বিলকুল-ই।

আজতক আমি নিজেকেই চিনতে পারিনি।
একটা সবাক দেহের আবডালে

পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে
আমার সাধ হল যদি পাখা আমার গজাত!

মাটি করে যত পর প্রাচীরে জীবন
কাদা পথ ছেড়ে সুখি গড়ে দেহঘর,

অর্ঘ সে কখনও ফেরায় না
কখনও ফেরায় না প্রেক্ষণ

একটি সাগর, বুকের ভিতর উছলে ওঠা ঢেউ,
ঢেউয়ের ভিতর বসত করে নাম না জানা কেউ।

এইতো সেদিন,
অফিস বিড়ম্বনার পথের বাঁক ছেড়ে

কিছু সম্পর্ক, যা কখনই ভাঙ্গবার নয়
কিছু সম্পর্ক, যা মনের অজান্তেই তৈরি হয়,

গত বৈশাখে বিস্মৃতপ্রায় প্রিয় পিতৃভূমি এই বাংলায় এসেছিলেন সোমনাথ;
ভোজনবিলাসী সোমনাথ পৃথবীব্যাপি একনামে পরিচিত মুখ-এ কালের বতুতা!

বন্ধু
আপন ভাষায় সুধালে যাহা

আমরা দু'জনে একই দিনে জন্মেছিলাম
একই মায়ের গর্ভ থেকে।

আমার বন্ধু লদু
খাই তো শুধু কদু

যা ছিল মোর তাও গেছে,
শুখনো এ ফুল মালা।

মেয়ে, কবিতা পড়ার সময় তোমার কই?
মেয়ে, আকাশ দেখার সময় তোমার কই?

আজ বৃষ্টি যদি নামে
যদি বৃষ্টি না আর থামে

বৃষ্টি নামের দুষ্ট মেয়ে
সকাল বেলা দেয় যে হানা,

আরো একবার বরষন চাই আমার জীবনে
আমার প্রতীক্ষার অবসান করতে

বেলা ফুরালো পথ যেন বারছেই,
সঙ্গী কেবল বৃষ্টি ভেজা পথ,

বাড়ীর পাশে পুকুর পাড় হরেক রকম গাছ
রোদ্রছায়ায় পুকুরটাতে ভেসে উঠে মাছ।

সে পথটি আজো আছে সে মাঠটি ভাই
দৌড়ে ফিরে যেতাম আমরা নদীর কিনারায়।

আজি ঝিরিঝিরি
বাদল বরিষণে

বাদলা দিনে মেঘের সনে বৃষ্টি খেলে যায়
এমন দিনে তুমি এলে যাব তোমার গাঁয়।

স্বপ্নের রঙিন ক্যারাভানে পৃথিবীর সব পথ ঘুরে
কুয়াশা-শাড়ির ভাঁজ খুলে বৃষ্টি-পূর্ণিমায় হঠাৎ করে

বর্ষাকালে কদম ফুলে
ছেয়ে গেছে গাছটা

গোধূলি আকাশে ছড়াচ্ছে কালো রং
ছাতক-ছাতকির তৃষ্ণার্ত চিৎকারে ভাঙ্গছে নৈসর্গিক মৌনতা

বৃষ্টি পড়ে খালে বিলে
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে

বর্ষা মানে জল থৈ থৈ খাল বিল ভরা
বর্ষা মানে বড়শি দিয়ে টেংরা পুটি ধরা।

ঝুমুর ঝুমুর বৃষ্টি ঝরে
বৃষ্টি ঝরে এ বর্ষাতে,

বৃষ্টি বিজনে পথধুলি হলো কাঁদা,
ক্লান্তি নিবিয়ে এলো মৃধু ঝর।

আজ সারাটা দিন নিরুপায় হয়ে
নির্জীব জড় পদার্থের মত বসে আছি নিজ ঘরে।

বৃষ্টি পড়ছে...
সেলিনা বেগম ছুটে যায় বারান্দায়-

বৃষ্টির ঝরনা জলে,
ভেসে চলে ঘুমোনো দুপুর |

শুভ্র গগনে প্রখর রবির কিরন
স্বপ্নের বীজ বুনে কিছু জীবন।

বর্ষায় ভালো লাগে ভিজতে
ভালো লাগে ভেজাতে,

বর্ষার ডাকে আজ প্রকৃতি সারা দিয়েছে
নদী-নালা, খাল-বিল জীবন্ত হয়েছে।

এক দিকে তার ঝিলের পাড়, অপর পাশে রেলের ধার
যায় না দেখা তবু আছে ছোট্ট একটি বাসা,

বর্ষার জলে ভিজতে গিয়ে মনে মনে
মেঘ হয়ে যাই,

আকাশ গুম্ গুম্
মাটি থমথম,

করে বৃষ্টির প্রতি নজরদারী,
চেপেছে কবির ক্ষ্যাপামী;

উত্তাল শ্রাবন ঝড়ে ভেসে চলেছে দিগন্ত,
ভেসে চলেছে অপরাপর জীবন নৌকো|

বৃষ্টি পড়ে
ফোঁটায় এক ও দু'য়ে

মন ভালো নেই, মনটা যেন আষাঢ় শ্রাবণ
গুমোট মেঘের গুরু গুরু অঝর প্লাবন।

প্রথম যখন জলরঙা বর্ষায় এঁকেছিলাম
ভিজে যাওয়া আমার ছবি,

টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ
যেন রাশি রাশি স্বপ্নের ভাঙ্গা গড়া

আকাশের মন ভালো নেই
তার বুকে বিষাদ করেছে ভর,

অগ্নিতপ্ত বিতৃষ্ণা মেটাতে ,বর্ষার আগমনি প্রত্যূষে-
অস্থিরতায় সবাই যখন গাইছো গান,

বিলের ধারের চাউলাগুড়ি, তিতি জাম গাছগুলির মত
বর্ষার যৌবন জলে কটিদেশ ডুবিয়ে

বৃষ্টির মত কাব্যময় তোমার কান্না
গাঢ় সবুজ মৃত্তিকায় ঝরছে অবিরত,

এক বৃষ্টি ভেজা সকালে
চলে এসো তুমি,

নদীর পাড়ে হিজল গাছ
সেই নদীতে অনেক মাছ।

থৈ থৈ থৈ
চারিদিকে অথৈ পানি ঐ,

আজি এ মেঘলা দিনে
একলা ঘরে

ওগো বৃষ্টি, বৃষ্টি তুমি মাদল বাজিয়ে নামো
মুষল ধারায় নেমে আমার বুকের কাছে থামো।

মরুর বুকে এক পশলা নির্ভরতার বৃষ্টি
স্মৃতি ভেবে মন ভিজে যায়,

আকাশের বুক থেকে আর কতটুকুই বৃষ্টি ঝরে
এর চেয়ে ঢের বেশী বৃষ্টি ঝরে মানুষের বুকে ।

শ্রাবনের ঘন ঘোর অন্ধকার রাত্রিতে
দূর থেকে ভেসে আশা শিয়ালের হাক,

মন দুয়ারে বর্ষা নামে,
আকাশ মেঘে ঢাকা,

বর্ষা তুমি আর আমাকে কাদিও না!
তোমার স্পর্শে ধরণী শীতল হয়...

আষাঢ় মানে
হঠাৎ নামা বৃষ্টি।

ঘন ঘোর বরষা, এমন দিনেও তারে বলতে পারি নি,
তাই আকাশের সাথে কথা। বিবশ রবি ঠাকুর

নদী তুমি যৌবনা ,যৌবন পিরে পাও,
বর্ষার আপন চিরচেনা সেই চোঁয়াতে ,

এই বর্ষায় এসো তুমি ভিজবো দুজন মিলে,
মনটাকেযে রাঙ্গাতে চাই ভালোবাসার নীলে ।

কালো মেঘের ভেলায় ভেসে
বর্ষা আসে বাংলাদেশে ,

গগণের নীচে নির্ঝরিণীর পাড়ে একটা পরিবার,
নদীগর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে বাড়ী মানুষটার।

বর্ষার দুপুরে,ভরা পুকুর
ঝাপ দেই একসাথে...

"বর্ষায় আমি হেঠে যাই ,নীল দীগন্ত নীলে।
আমি কাক ভেঝা বুড়ো হয়ে ,আমি হাটছি .......

জল ছল ছল নামে বাদল
বর্ষা ঐ এলোরে।

আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি
স্বপ্নে অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল

বহু দিন পরে,
এ’বর্ষায়-

আকাশে আষাঢ়ে আওয়াজ আলো আঁধারে
বৃষ্টির বৃত্তে বন্দী বুকের বাংলা

যে বৃষ্টি পড়ছে এই কবিতা লিখতে লিখতে
আমি কি তাকে তুলে এনে- অপাপের রঙে

বর্ষা, সে কি প্রাসাদ বাসীর মনের খোরাক ?
নাকি বস্তি বাসীর সুখদুঃখের ভীষণ ফারাক ।

বর্ষা আমার মনের প্রিয় রিতু,
তাই ভেবে হায় হচ্ছি আমি একটু খানি ভীতু।

এসো বর্ষা বর্ষা
বর্ষা এলো আষাঢ়ে,

দয়াল তুমি কাদাও কেন ,
আমায় এমনি করে ?