সে হারায়ে গেলো অন্তহীনে, তার ছায়াটা কোথাও নাই
সে একাকি আঁধারের গহীনে অথচ জীবনে কতই
ছিল রোশনাই।

বুক ফুলিয়ে স্বগর্বে গর্বিত মানুষ দম্ভে ভরা মন
বাতাসে উড়ত তার অহংকার আর আকাশে উড়ত
বিজয় কেতন।

শত সহস্র যুগের এই মানব সভ্যতা।
মানবের প্রাণান্তকর অনির্বার প্রচেষ্টা-অভিযাত্রায় প্রতিনিয়ত বদলেছে,
বদলেছে জীবনের মান - বন্য-পশু-জন্তুর থেকে ফারাক আনীত
মানব আজ কোথায় পৌছেছে, কল্পনাতীত!-

আমাকে সবাই ভুলে যাবে
আমি হয়তো অচেনা হবো।
কালো আঁধারে মিশকালো
ধূ-ধূ তমালের ছায়ায়
হুতুম পেচাঁর মতো একাকী।

আধাঁরে আলো তুমি এই জীবনে
তুমিই তো সেই জন যে আলোতে
নিয়ে এলে এই ভূবনে
স্বর্গের সুখ তুমি ত্রিভূবনে
মর্তের আধারে ভ্রুনকে জীবন দিলে
তুমি আমারে ।

হৃদয়ের অন্তপুরে যে বাসা বেঁধেছিল
হেমন্তের শেষ বিকেলে, সূর্য ডুবার আগে
জীবনে কলুষিত এক বিমূর্ষ মুহূর্ত
জন্ম হয়েছিল তার উল্টোপিঠে।

আঁধার তোমারে দিয়াছে ভরিয়া
রূপ, রস আর প্রাণে
ওগো নিশি,তোমার এমন মহিমা
মোরে যে মাতিয়া আনে।

তৃষ্ণায় ফেটে যাচ্ছে বুকের ছাতিটা,
খুধার যন্ত্রনায় মনে হচ্ছে,মনে হচ্ছে যেন কত কাল খাই না।
আহ,মাথার সাথে সাথে আমার পুরো পৃথিবী ঘুরছে,
থর থর করে ভূমিকম্পের উন্মাদনা,এই বুড়িয়ে যাওয়া শরির জুড়ে।

ঘনিয়েছে অন্ধকার
ঢেকে দিয়েছে কালো ,
পোড়া কপালে হাহাকার
হায় হায় সব গেল !

আমি থির তাকিয়ে তার চলে যাওয়া দেখি।
সে চলে যায় নিঃশব্দে
আর নিথর মাটিতে গেঁথে যায় তার পদচিহ্ন।
সে চলে যায়।
তার সামনে বেহিশেবী মহাকাল
আর পিছনে থাকে শুধু অপেক্ষার মায়াডোর।

তরুণ রাতের বয়স বাড়ে
একটা বয়স পর্যন্ত
রাত যেনো থমকে দাড়ায়।
তারপর ডাকতে থাকে ডাহুক
নানা রঙের ডাহুক
স্মৃতির ডাহুক।