হৃদয়ের অন্তপুরে যে বাসা বেঁধেছিল
হেমন্তের শেষ বিকেলে, সূর্য ডুবার আগে
জীবনে কলুষিত এক বিমূর্ষ মুহূর্ত
জন্ম হয়েছিল তার উল্টোপিঠে।

রাজপথের বাকে বাকে
ব্যস্ততার ফাকে ফাকে
কখনও আলোকিত
কখনও অন্ধকার
নগরের রাস্তার দু’পাশে দুইচিলতে-
পড়ে থাকি আমি একা ফুটপাত।

আধাঁরে আলো তুমি এই জীবনে
তুমিই তো সেই জন যে আলোতে
নিয়ে এলে এই ভূবনে
স্বর্গের সুখ তুমি ত্রিভূবনে
মর্তের আধারে ভ্রুনকে জীবন দিলে
তুমি আমারে ।

আবার উঠব জ্বলে দপ করে, দেখেনিয়ো
ছাই থেকে – দমে থাকা আগ্নেয়গিরির মুখে,
জল কাদা ফুঁড়ে, হলকা হলকা, অজানা অতল থেকে।

আদি অনন্ত আঁধার আজও অজানা।
আলোর ধাঁধায় ভ্রমিত জ্ঞান
ভিন্ন ভিন্ন উপাখ্যান চেতনা ভেদে।
দৃষ্টি খোঁজে শক্তির উৎস আলোর বুক চিরে,
থেমে যায় দিগন্তে আকাশের নীলিমায়।

হাত পেতেছি— হাত;
শেষ বিকেলের ক্লান্ত খেয়ায় নামছে ধূসর রাত।
চোখ ভিজেছে, চোখ;
আনকোরা সব দুঃখ জমে এবার পাথর হোক।

দেখেছি তোমারে আমি অপরুপ সাজে,
মনো রঙতুলি শুধু তোমারি ছবি আঁকে।
মেঘো কালো কেশ তোমার?
রূপে রাঙ্গাবতি!

মা‌ঝে মা‌ঝে ম‌নের কো‌ণে জমা মেঘগু‌লো
বড্ড বে‌শি অভিমা‌নি থা‌কে।
রা‌তের বিষাদময় অন্ধকারের সুখগু‌লো
চাঁদের আলো‌তে না দে‌খে
নগরীর নিয়ন আলোর ঝাপসা ফ্রে‌মে

নিরব চারিপাশ,খোলা জানালা।
বাইরে শীতল হাওয়া,ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক।
জানালার পাশে আমি এখনো দাড়িয়ে।
পথের দিকে দুই চোখ।
সে কি আসবে?

বিদায় বেলা বর্ধিত বিষাদ বেদনা বিধুরে,
লয় হওয়া এ আঁধার কেঁদেছিল সজোরে।
তৃষিত বেলাভূৃমে তৃপ্তিকর গহীন আঁধার,
তৃপ্তির মসনদে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বারবার।