ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় মুগ্ধতা
রাতের মৌনতায়
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার বিকেল কখনো আসেনি
তবু ভাসিয়েছি আফ্রোদিতির পানে ঠিকানাহীন নাওয়ের ভাসান।

রাজপথের বাকে বাকে
ব্যস্ততার ফাকে ফাকে
কখনও আলোকিত
কখনও অন্ধকার
নগরের রাস্তার দু’পাশে দুইচিলতে-
পড়ে থাকি আমি একা ফুটপাত।

একচিলতে আয়েশী ভাব
গায়ে মেখে প্রতিক্ষায় তোমায়
সোনা ঝরা সকালের রোদ
নষ্টালজিয়া মন আজ

পরিত্যক্ত কূপ এক,ঘুটঘুটে অন্ধকার,
থেকে থেকে আসছে ভেসে
নবজাত শিশুর ক্রন্দন চিৎকার!

দেখেছি তোমারে আমি অপরুপ সাজে,
মনো রঙতুলি শুধু তোমারি ছবি আঁকে।
মেঘো কালো কেশ তোমার?
রূপে রাঙ্গাবতি!

হে প্রভু মনের আঁধার দূর করে দাও
জ্বালাও তোমার আলো,
শতাব্দী ধরে আঁধারে ডুবে আছি
কেউ বাসেনি ভাল ।
অথই জলে ডুবে আছি যেন
আঁধারে করছি বাস,
জানিনা বিধাতার কোন অভিশাপে
হলো এমন সর্বনাশ !

চোখ মুঁদলেই রাহুগ্রস্ত হই--- শনি, মংগল লাগে না
চারপাশে এখনো নব্য প্রেতাত্মার সাথে খাবি খায়
আদিম আধাঁরের প্রাগৈতিহাসিক গডজিলা
এই আধকাঁচা আধাঁর দেখতে কোনো টিকেট লাগে না!

হাত পেতেছি— হাত;
শেষ বিকেলের ক্লান্ত খেয়ায় নামছে ধূসর রাত।
চোখ ভিজেছে, চোখ;
আনকোরা সব দুঃখ জমে এবার পাথর হোক।

খুব জানতে ইচ্ছে করে এখনো কি তেমন আছো তুমি
খুব জানতে ইচ্ছে করে এখনো কি বাড়ে আমার প্রতি তোমার নৈশব্দের নিশ্চল অনুভূতি?
খেয়ালি আকাশ ছুঁয়ে যায় রক্তাক্ত ক্যাম্পাস, বৃষ্টি ভেজা মন মানেনা কোন নিয়মনীতি, প্রণয়

আঁধার থেকে জীবন শুরু
আধারেতেই শেষ
আঁধারে থেকে খুঁজে বেরাই আলোকিত দেশ
বইয়ের মাঝে আলো আছে সকলেই বলে,
বইতে এখন মিথ্যের আলো আছে সর্বস্তরে।