আদি অনন্ত আঁধার আজও অজানা।
আলোর ধাঁধায় ভ্রমিত জ্ঞান
ভিন্ন ভিন্ন উপাখ্যান চেতনা ভেদে।
দৃষ্টি খোঁজে শক্তির উৎস আলোর বুক চিরে,
থেমে যায় দিগন্তে আকাশের নীলিমায়।

আমরা দেই ফাইল আট‌কে,টাকা ছাড়া কো‌নো কাজ ক‌রি না
‌ভোগা‌ন্তির চূড়ান্ত কারখানা খু‌লে‌ছি সরকা‌রি সব কা‌জের স্ত‌রে স্ত‌রে
এক একজন শি‌ক্ষিত অমানুষ বাস ক‌রি সরকা‌রি ঘ‌রে ঘ‌রে মানবতা জা‌নি না
‌ভোগা‌ন্তি দি‌য়ে টাকা নি‌য়ে ক‌রি কাজ আর কিছু জা‌নি না ঘ‌রে বাই‌রে।

রাজপথের বাকে বাকে
ব্যস্ততার ফাকে ফাকে
কখনও আলোকিত
কখনও অন্ধকার
নগরের রাস্তার দু’পাশে দুইচিলতে-
পড়ে থাকি আমি একা ফুটপাত।

শত সহস্র যুগের এই মানব সভ্যতা।
মানবের প্রাণান্তকর অনির্বার প্রচেষ্টা-অভিযাত্রায় প্রতিনিয়ত বদলেছে,
বদলেছে জীবনের মান - বন্য-পশু-জন্তুর থেকে ফারাক আনীত
মানব আজ কোথায় পৌছেছে, কল্পনাতীত!-

হুতোম পেঁচার ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেলে সেদিন,
ভয়ে অস্থির হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলে,
“সাকি আমাকে ছেড়ে যেওনা”

পরিত্যক্ত কূপ এক,ঘুটঘুটে অন্ধকার,
থেকে থেকে আসছে ভেসে
নবজাত শিশুর ক্রন্দন চিৎকার!

আঁধার তোমারে দিয়াছে ভরিয়া
রূপ, রস আর প্রাণে
ওগো নিশি,তোমার এমন মহিমা
মোরে যে মাতিয়া আনে।

দেখেছি তোমারে আমি অপরুপ সাজে,
মনো রঙতুলি শুধু তোমারি ছবি আঁকে।
মেঘো কালো কেশ তোমার?
রূপে রাঙ্গাবতি!

লাশ পোড়া গন্ধ, পুরোটা শশ্মান জুড়ে শুধু লাশ পোড়া গন্ধ
আবার সচল করে তুলছে আমার পঞ্চইন্দ্রিয়কে
বহুদিন পর।

শুধু আঁধারটুকুই ভালো
আর কি সব ছাইপাঁশ
ঝিমুনি আর বিষ
চোখ জলানো আলো
শুধু আঁধারটুকুই ভালো