তুই তাকাস কেন অমন করে, কি দেখতে চাস
কিসের আশায় নিজেকে নিজে পোড়াস?
আমার একলা একার গল্পগুলো কেন পড়তে চাস?

অসীমের শূন্যে বা শূন্যের অসীমে
মিল্কিওয়ের প্রতিটি বালুকণায়
বা অখেয়ালের দেয়ালে, খসে যাওয়া রংয়ে
তীরহীন নদীর মোহনায় বা অবহেলার ভাঙা কাঁচের টুকরোয়
বেঁচে থাকুক তোর ঘৃণা

কালের পরিক্রমায় ভেসে গেলে কতরাত্রি
কত সকাল, কত বিকেল, কত সাঁজরাত্রি
শুধু তোমার অপেক্ষায়।
.
সমুদ্রজলে স্নান করে দেহ জুড়ায়
শুধু জুড়ায় না অপেক্ষার জ্বালা
শুধু তোমার অপেক্ষায়।

কুপির আলোয় জীবনের প্রথম প্রহরে,
এক জননীর সিক্ত নয়নে
দেখেছিলাম কিছুদিন।
কিন্তু কোমলতা থাকেনি,
থাকেনা বেশি দিন,
হয়ত থাকতে নেই।

যদি বলি তুমি অতিশয় রমণীয়, সুরম্য!
ভুল হবে না জানি। তবু মাঝেমাঝে মনে হয় কঠোর,
আমি ব্যস্ততা সরিয়ে ক্রমশ বেড়ে উঠি
কত উন্মাদ হয়ে প্রায়শই তোমাকে বুঝতে চেষ্টা করি।
কিন্তু সবকিছু যেন অভিনয়ের মতো হয়ে উঠে।

চোঁখের পলকের ভাবনা গুলো তোমার
রঙিন আকাশ মেঘের তাঁরাঁ।
দিবানিশি তোমার একলা পথে কমল হাতটি ধরে চলা
দুটি হৃদয় এক বাধঁনে যে আজ সূতোয় দিয়ে বাধাঁ।

বঙ্গ মায়ের অঙ্গ কোমল
কোমলতায় করছে কেলি
জুঁই যুথিকার পুষ্প দল,
আদর কোমল, চাদর কোমল
ওঁসা কোমল, ঘাঁসও কোমল
কোমল নদীর ঘোলা জল ।

তুমি আমাকে নীল আকাশ দেখাতে,
আমি বুঝতাম না কেন দেখাতে,
তুমি আমাকে সন্ধ্যায় শুকতারা দেখাতে,
আমি বুঝতাম না কেন দেখাতে,

যে ভাবে না অতীত নিয়ে
সে কেবলই স্মৃতিহীন
যার বুকে নেই দয়া-মায়া
ভালবাসা প্রীতিহীন।

বিষণ্ণতার কিছু লাল-নীল ট্যাবলেট আমাকে দিও
কথা দিচ্ছি বর্ণমালার ক্রমানুসারে নিয়মিত গিলে খাবো
কোনো প্রকার ভুলচুক করবো না