পিঞ্জিরাবদ্ধ বিহঙ্গখানি
খাঁচায় বসিয়া রয়
নিঃসঙ্গ গ্রহচারী হইয়া আপনার সহিত
কতই না কথা কয়!

কত সুনিপুণ তুমি
কত সুনিপুণ;
চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি
দেখি তব গুণ।

বুকের গভীরে তোমার যেখানে ভালবাসার দোলাচল
আমার নিত্য চলাচল সেখানে ভবঘুরে পথিকের মত।

তোমার উদাস চোখ যে পথের দিশা খোঁজে
সেখানেই গড়েছি আবাস।

প্রিয়তম সন্তান আমি তোমাকে বলছি
তুমি আমার কথা শোন-
তোমার বয়স একন নয় বছরের কাছাকাছি
তুমি চতুর্থ শ্রেণিতে লেখা পড়া করছো
তোমাদের পাঠ্য সূচিতে স্বাধীনতার কথা
মুক্তিযোদ্ধাদের কথা জাতির ইতিহাসের কথা

শব্দগুলো খসে পড়ে কবিতা হয়ে,
কবিতাগুলো ভেসে আসে আবৃত্তির স্বরে।
ভীরু স্বপ্নগুলো লুকিয়ে থাকে তাসের ঘরে
শুধু রাত বাড়ে, বাড়ে নিস্তব্ধতা,

হে অপরাজিতা তরুণী,
কেনো পূর্বে আসনি?
আসলে হতনা এমন!
নষ্ট হতনা আমার জীবন।

আমি এই ধরণীর মায়া ত্যাগ করেছি
ভেবনা কেও আমি একেবারেই হারিয়ে গেছি
বিয়োগবিধুরা অশ্রুসিক্ত পদ্যের চরণগুলোর মাঝে
খুঁজে দেখ আমাকে এই গোধূলির সাঁঝে
দেখবে সেখানে আমার আত্নরূপ মিশে আছে।

বহুদিন ধরে বহুপথ চলে ক্লান্ত
দেহ, নিথর মাংসপেশি আজ শান্ত
কেহ, দেখিবার নাই যে অনন্ত
স্নেহ, মমতায় বাঁধা ছিলাম তাই জলন্ত
প্রদাহ, গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে।

কথা ছিল ফিরে আসবে সে-
আবার নাটাই হাতে উড়াবে ঘুড়ি,
উত্তরের নীল হিমেল হাওয়ায় ।

বড় মানুষের স্বপ্ন সে তো অর্থ-দিয়ে কেনা,
কষ্টের সৃষ্টি নয়।
মধ্যবিত্তের স্বপ্ন সে তো মরীচিকা,
বালিশ খাটে সীমাবদ্ধ।
আর গরিবের স্বপ্ন - সে তো শুন্যতা।