আমি, নিতু, মিতা, ফারিয়া আমরা চার বান্ধবী । ও আমার নাম তো বলা হয়নি, আমি কণা । আমরা চার জন ই মহা ব্যস্ত কারণ আগামীকাল পহেলা বৈশাখ । তাই ক্লাস শেষ করেই চার জন ই ছুটলাম নিউমার্কেট এর উদ্দেশে ।

যদিও সন্ধ্যা । কাবেরি নদী জলে সূর্য অস্ত যায়নি আজ । দেবদারু শাখাগুলো জল আরশিতে মুখ দেখে হাসেনি অহংকারের গোপন হাসি । আমার পৃথিবীতে সূর্য অস্ত যায়না কোন দিন ।

বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় সাত সমুদ্র তের নদীর ওপাড়ের দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, উদ্দেশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলা।

পয়লা বৈশাখ। বসন্তী রঙের শাড়ি, খোপায় গাজড়া ফুলের মালা, খয়রি টিপ, ঠোটে খয়রি বর্ডার দিয়ে লাল লিপস্টিক আর হলুদ-গোলাপি জোতা পড়ে নববর্ষকে বরণ করতে হতে মেহেদী, পায়ে আলতা আর রঙধনুর সাজে বাসা থেকে বের হলাম।

সেদিন ছিল নববর্ষ। তোমাদের কলেজে এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। তোমরা বান্ধবীরা মিলে একটি স্টল দিয়েছিলে। সাদা-লাল তাত পাড়ের শাড়ি তুমি পড়েছিলে।

সেই তো সেদিন,বাবজান-এর ঘাড়ে উঠে ভুঁইয়ের আইল ধরে ঘুরে ঘুরে বোশেখ মেলায়।
সে কি আনন্দ। ছোট হাতে হাটের লাল লিপিষ্টি ঠোঁটে মেখেছিল। পায়ে লাল টুকটুকে আলতা।

১৯৯৭ সাল, বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দিতা করছে কেনিয়ার সাথে, ভীষন উৎকন্ঠা আর উদ্বেগের সাথে প্রতীক্ষা চলছে খেলা নিয়ে

সাগরের বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে কিনারে । চারিদিক নিরবতায় আছন্ন । মাঝে মাঝে ঢেউয়েদের উল্লাসধ্বনি শোনা যাচ্ছে শুধু । সাগর পাড়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সমুদ্র আর অদিতি ।

আমি তখন বেশ চোট. আমার বয়স তখন সম্ভবত ১০ হবে. আমরা থাকতাম একটা মফস্বল এলাকায়. আমাদের ঐখানে পহেলা বৈশাখ মানেই ছিল মেলা, কাঠের গাড়ি, ভাপু বাসী, মাটির খেলনা,খই মুড়ি এমন সব জিনিস.

ফেসবুকে পরিচয়। ফ্রেন্ডশিপ।চ্যাটিং করা। পরস্পরের ভালোলাগা মন্দলাগা অনুভূতি শেয়ার করা। এভাবে বন্ধুত্ব এগিয়ে চলা। সোহা ইংল্যান্ডে থাকে। বড় হওয়া পড়াশুনা সেখানেই।