মৌঁ-ললাটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বিছানো ভাড়া করা চাঁদরে বসে গান আর আড্ডায় মেতেছি ঘন্টা দেড়েক হল । তাপস্ টা এলে সবাই মিলে এবারের নববর্ষ বিভু বাজার ব্রীজে উজ্জাপন করব বলে ঠিক হয়েছে ।

ফেসবুকে পরিচয়। ফ্রেন্ডশিপ।চ্যাটিং করা। পরস্পরের ভালোলাগা মন্দলাগা অনুভূতি শেয়ার করা। এভাবে বন্ধুত্ব এগিয়ে চলা। সোহা ইংল্যান্ডে থাকে। বড় হওয়া পড়াশুনা সেখানেই।

শৈলেনদের বাড়িটা অনেকটা সেকালের বনেদী জমিদার বাড়ির মতো।পরস্পর গাঁ ঘেঁষা এক সাথে অনেক গুলি ঘর।ঘন ঘন যাতায়াত ছাড়া নতুন কাউর পক্ষে একা নিদিষ্ট কোনও একটা ঘর খুঁজে পাওয়া এক রকম দুঃসাধ্য ব্যাপার।

মামাদের বাসা ছিল ইব্রাহিমপুরে। তখন ওখানে এত মানুষ অথবা বাড়িঘর ছিল না। মানুষজন প্রায় থাকতই না। এখানে ওখানে বেশ ঘন জঙ্গল ছিল। শিয়াল, বানর তো ছিলই আরও কিছু থাকত কিনা কে জানে।

রুপার ঘুম আজ একটু তারাতারি ভাঙ্গে । রাতে বেশ গরম পড়েছিল। রুপা বিছানা থেকে নেমে জানালার পাশে এসে দাঁড়ায়, পাশের বাড়ীর ঝুলবারান্দায় গ্রিলে উঠে গেছে মাধবীলতার ঝাড়।

কোন এক ভর দুপুরে তুমি এসেছিলে আমার হৃদয় মন্দিরে। শিরোনামহীন গদ্যের মতো তোমায় কখনো দেখিনি এর আগে। প্রথম দেখাতেই তোমাতে হারিয়েছিলাম।

চাঁদমারির মাঠে বিকেলে ক্রিকেট খেলতাম আমরা। পাশেই খাল, খালের ওপারে গ্রাম্য বউ-ঝিরা বসে বসে খেলা দেখত। অধুনা প্রবর্তিত T20 তখনই আমরা খেলে পুরনো করে ফেলেছি। (২০ ওভারের বেশী খেলা টিকলে তো)।

যদিও সন্ধ্যা । কাবেরি নদী জলে সূর্য অস্ত যায়নি আজ । দেবদারু শাখাগুলো জল আরশিতে মুখ দেখে হাসেনি অহংকারের গোপন হাসি । আমার পৃথিবীতে সূর্য অস্ত যায়না কোন দিন ।

কাঁচা ফুল কানে গুঁজে
ভেজা চুল শুকোতে দিলে ফর্সা পিঠে,

সব আয়োজন ঠিকমতো সম্পন্ন করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেলো। সাড়ে এগারোটার বেশি বাজে। ঘরে ফিরতে ফিরতে বারোটা। কোথাও কোন খুঁত রাখতে চায় না রুহুল।