মাথার উপর নীল আকাশটায় ঘুরে বেড়ায় চিল শকুনেরা,
তীক্ষ্ণ ঠোঁটে অভুক্ত উদরে চেয়ে আছে শ্যেন চোখে,
রক্ত মাংসহীন দেহের স্বাদ পেতে ওত পেতেছে তারা,
কঙ্কালসার দেহটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ভাঙবে উপোস।

এমন সময় ছিল যখন বাতাসে ছিল সুর
গান গাইতো পাখি, বৃষ্টিতে ছিল ছন্দ
গাছ-গাছালি ছিল সমঝদার শ্রোতা
মেঘ বালিকারা নৃত্য করতো দল বেধে।

তুমি ছিলে আকাশের নীলে নীলে
নিশ্চুপ নৈশব্দ মাঝে নিঝুম নিমগ্ন সুখে
আমি মেঘ হতে চাইলাম না বলেই ছোঁয়া হলনা তোমাকে!
ইচ্ছে করেই আমি মেঘ হতে চাইতাম না তখন..

নির্দ্বিধায় কিছু চেয়োনা,
একটু দ্বিধাগ্রস্থ হও নর
অধিকারগুলো সন্তর্পণে তুলে রেখেছি বুকের বাম পাজরে
অধিকার চেয়ে নেয়ার আগেই খুঁচিয়ে পরখ করে নিব
একবার ঠকেছি, হাজারবার ঠকব না।

নিঝুম রাত,
ঘুমে আচ্ছন্ন ধরনী।
বাড়ির পাশের গাছগুলোও হয়ে গেছে নিথর,

বড় হয়ে কি হবি ?
কেউ কোনদিন জানতে চায় নি ।
ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার,বিজ্ঞানী,
নিদেনপক্ষে সরকারী কেরানী।
ছিঃ ,ছিঃ ,ঘরের লক্ষ্মীর এসব মানায় নাকি?

সূর্য ডোবা শেষ কিরণে জেনে নিও
আমি আছি
ঠিক ভোরের প্রথম আলোয়
যেমনটা ছড়িয়ে থাকি ।

প্রেমিকার হাতে মদের বোতল

         আর 

              চোখের কোনে জল।

                   সেই চোখে তার কালো কাজল, 

                          পায়ে কাঁসার মল।

যত রঙ্গে থাক আনন্দে
যত বিরহে কাঁদে অঙ্গনে,
যত স্বপ্নে দিবা রাত্রে
যত সুখ থাকে বক্ষে।

প্রাপ্তিগুলো শূণ্য থাকুক আশায় বাঁধতে বুক
চাওয়াগুলো না পাওয়াতেই অতৃপ্ত এক সুখ
পাওয়ায় তো সেই ক্ষণসুখ জানি, নি:শেষিত
না পাওয়া সুখ বুকে নিয়ে জীবন করি যাপিত