তোমার জন্য কেদে যাই একাকী রাতে
স্বপ্ন আমার দেয় না ধরা দুহাতে
তাই আর নয় কোন অভিনয়
নয় আর ছেলে খেলা
অবহেলা না দিয়ে ভুলে যাবে বলে দিও
অবহেলা আর নয় চলে যাব জেনে নিও।

শূন্য অঙ্গন, ভেজানো বহির্দ্বার -মানুষের বার্তা তো দিল না!
তবু আমি তাকিয়ে ছিলাম,
দূর পথের দিকে যদি ফিরে আসে কৃষ্ণ কলম্কিনী,

আমায় সবাই ভালোবাসে
শরৎ,শীত,হেমন্ত,নদীর ছলাৎ ছলাৎ বা একমুঠো চৈতি বাতাস।
সকালের রোদ আমার কাছে এসে সব বলে যায় – বলে ওর ভালোলাগা,পছন্দ,অপছন্দ ।
সেদিন তো মেঘ এসে ডিরেক্ট বলল, চলনা কবি নিরুদ্যেশে যাই

চৈত্ রোর গোধুলি মাখা সন্ধায়
একা একা লাগে আমার
মনেপরে তোমার কথা এই গোধুলি মাখা সন্ধায়
যদি তুমি থাকতে আমার পাশে

যখন তুমি দাদী হবে
তখন তোমার নাতি-নাতনীদের
একটা গল্প শোনাবে।
সেই রাজ্যহীন রাজপুত্রের ;

আর কতকাল কাঁদবো বলো দুঃখে ভরা দিনে
সুখের ঘোরে গড়লাম আমি দুঃখের এক পাড়া,
যে পাড়াতে দুঃখের মাঝে সুখ গুলো আজ ঋণে
অবহেলিত এই জীবন হঠাৎ হৃদয়ে দিচ্ছে নাড়া।

হৃদয়ে আমার ব্যাথার পলেস্তা
চোখের দৃষ্টি ধূসর
ক্রমেই বাড়ছে অস্থিরতা।

পথের শুরুতে তুই ই ছিলি সাথে
আজ ও আছিস তবে অবহেলার চোখে
ভালোবাসার বদলে পেলাম অবহেলা
আহা তুই মন নিয়ে করে গেলি খেলা ।

আমার একটা পরিচয় দিয়ে দাও
যে পরিচয় আমার বাবার হাত ধরে হাঁটতে শেখাবে
যে পরিচয়ে আমার মায়ের শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে থাকবো

আমি তো আমি হয়ে তোমাকে পেলাম না।
তাই আমি তোমার আঙ্গুলছোয়া স্মার্টফোন হবো,
হবো টেবিলের ঐ টেবিল গাছ,
কিংবা তোমার বৃষ্টি চায়ের গোলাপি মগ।