স্টেশনের এককোণে চারটে বাঁশ পোতা,
উপরে কিছুটা খড় আর প্লাস্টিকে ছাওয়া ।
চারিদিকের ছেঁড়া ফ্লেক্সগুলো থেকে

অবহেলায় ঠেলেছি সময়, যৌবন ফেরিয়ে সামনে
হেলায় হেলায় কাল বুঝি গড়ায় স্রোতশিনির ধারায়।
মোহনীয় কমল ফোটে জলের উপর, শেকড় গভীরে,
শুকায় নদী, ঝর্ণাধারা অবহেলায়, ধুঁ ধুঁ বালুচর। চৌচির জীবন।

ভালোবাসার বদলে আমি
পেলাম অবহেলা
সবাই কেন আমায় নিয়ে
করে শুধু খেলা।

এসেছিলাম এক পড়ন্ত বিকালে
তোমার বাড়ির ছোট্ট উঠানে,
ভালোবাসার বিনিময় সেতো নয়
শুধু এক পলক মুখ দর্শন ।

স্বর্গের লোভ দেখিয়ে যারে করেছো তোমরা “অন্তঃপুরবাসিনী”
অথচ প্রতিদিনই নরকের মাঝে তার বসবাস! চিৎকার করে বলে উঠে একদিন,
“পোড়াও তোমরা আমায় আরও আগুণের লেলিহান শিখায়
আমি সতী হতে চাই! আমি স্বর্গ চাই!”

তুমি ছিলে আস্তকুড়ে
কষ্টে অতি কুঁড়েঘরে
নিলাম বুকে তুলি
ছোট্ট ছিলে অনাদরে
আদর দিলাম বুকটা ভরে
ফুটলো তবে কলি।।

শিশির ভেজা ঘাসের মতো, লোমশ বুকে
দেখো লেপ্টে আছে কতো মায়া, কতো অনুরাগ।
শুষ্ক অধরটা যদি সিক্ত করো, যদি একবার ছোঁয়াও অনামিকা
পরশের উদগ্রীব মরুভুমিটা হয়তো হয়ে যাবে
সবুজ ভেলভেট উদ্যান।

রাঙা পলাশ আগুন জ্বালায় গোপন অভিসার
ফাগুন আসে নিজের মতো স্মৃতি অসহায়।

কর্মব্যস্ততা
অল্পএকটু মৌনতা
দিনশেষে যখন আঁধার নামে
কর্মঘন্টার ঘড়িটা যখন থামে
খুজে পাই শুধু নিঃসঙ্গতা।

কি হবে বাঁচিয়া থাকি,যদি মনের মানুষ মন না বোঝে,
কি হবে আক্ষেপ করি!
যদি আশার মানুষ অন্তরে অন্যথা খোজে।
বক্ষে বিরহ চাপায়ে সদা,অস্থিরতার অনর্বে বসবাস,