এতটা নির্লিপ্ত থাক তুমি না আমিই একটা নির্বোধ
বারবার অচেতন মনে দু:খগুলো করি নির্মঞ্ছন,
আমিই অশুদ্ধ ভুল, তুমিই সাধু মহাপুরুষ নির্ভুল,
সঠিক পথেই তবে যাচ্ছ তুমি, মনের ঘর নির্বাত...

পেরেক ঠুকে ঠুকে নেশার আগুন জ্বালাই পাথর বুকে
তবুও বাড়তে থাকে ক্রমাগত দুঃস্বপ্নের বেড়ি বাঁধ
অথচ -----------

বৃষ্টি মানে ষোলয় ষোলয়
হঠাৎ ভিজে যাওয়া।
বৃষ্টি মানে পরিমাপহীন
চুমো গিলে খাওয়া।
বৃষ্টি মানে পাতার শরীর
শিরশিরিয়ে উঠা।

শরীরে শরীরে গন্ধ ফুরালে
ক্ষণেক সুখে রক্তও ঝরালে
প্রেমিকেরা বড্ড আনাড়ি তা মানি
প্রথম চুম্বনের আকুলতা বেশখানি

দেহ ময় ক্ষুধা নিয়ে
জেগে থাকে রাতের চাদোর
উষ্ণতার কবিতা লিখবে বোলে
এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে,

আজ সেই মনে পরে তাহার কথা,
সে আর কেউ নয় বিদ্রোহী নজরুল।
মুখ যে তার ফুটন্ত গোলাপ পাঁপড়ি সমাহার
অক্লান্ত,অসিমান্ত দুর্লভ জীবন বন্দনা তাঁহার।

পাতার পোশাক বানাতে শিখেছি সবে ,
এখনও অনেক হাঁটা বাকী-

আমায় সবাই ভালোবাসে
শরৎ,শীত,হেমন্ত,নদীর ছলাৎ ছলাৎ বা একমুঠো চৈতি বাতাস।
সকালের রোদ আমার কাছে এসে সব বলে যায় – বলে ওর ভালোলাগা,পছন্দ,অপছন্দ ।
সেদিন তো মেঘ এসে ডিরেক্ট বলল, চলনা কবি নিরুদ্যেশে যাই

নিদারুন যন্ত্রনার অবহেলায় সিক্ত হলাম আজ,
মরে গিয়ে প্রমান করেছ,হারিয়ে ফেলেছ লাজ।
শেষ উপহার, শ্রেষ্ঠ সবা্র,দেখতে হল মরণমাখা মুখ,
সে মুখে লুকিয়ে ছিল কোন অজানার সুখ?

আজন্ম কাল ধরে আমি ভাসিতেছি জলের বুকে
তবুও ছুঁইনি আমি জলের শরীর
নিয়তি যে নিদারুণ নির্মম নির্দয় এহলোকে
সাধ্য কাহার তারে করিবে বধির