আশ্চর্য এক রহস্য- যার নাই কূল কিনারা ইয়ত্তা
শরৎ আর হেমন্তে- পাখিদের দলবদ্ধ আত্মহত্যা!
অগনিত পাখির ভিন্ন ভিন্ন জাতি আর নানা আকৃতি
মৃত্যুকূপে নিজকে সপে দেয়ার কুহকময় বিকৃতি।

আলোর মত পবিত্র
কর নিজ চরিত।
আলোর মত পুলকিত
হও জীবনে আলোকিত।

আমার সব কিছুই অন্যরকম।
এ বেলা ও বেলা--
সব অসময়ে সুসময়;
সময়ে কখনোই সুসময় আসেনি।
এই যেমন--

একুশ আমার বাবার মুখে
প্রতিবাদের গান,
একুশ মানে আমার ভাইয়ের
রক্তে মাখা প্রাণ।

তুমি এসো মোর কাছে মেঘপুঞ্জ ভেদ করে
সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভেঙে উচ্ছ্বসিত স্বরে।
তুমি এসো মোর কাছে সন্ন্যাসীর বেশে
রক্তভেজা পথ পেরিয়ে এসো উষ্ণ ভালোবেসে।

এ কেমন প্রেম বলো না তুমি
এ কেমন ভালোবাসা,
এ কেমন পরী মনের ও ভূমি
এ দুঃখ কষ্টে ঠাসা।।

তার সুমিষ্ট ত্বকের সুবাসিত বাণ
আমার হৃদয়ে হানে আঘাত।
তার পাশ থেকে ছুয়ে যায় ভ্রম
দৃষ্টিতে আমি হই কুপোকাত!!

এক পড়ন্ত বেলায় ছাদে ছিলাম
আর পেছনে ছিল দিগন্তব্যাপী সবুজের শেড
আমার মাথা ছাড়িয়েছিল সেই সবুজ রেখা
এভাবেই বসেছিলাম আমি নির্ভার
নিশ্চুপ চারিধার!
নিথর ক্লান্ত প্রহর
আকাশের পানে চেয়ে ছিল সেদিন...দীর্ঘসময়।

ধানের খেতের উপর বয়ে চলা রেশমী বাতাসের দোলা-
শ্রাবনের মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রিয়ার চুলগুলো খোলা-
কখনও বা মধ্যদুপুরে কৃষকের নগ্ন বাহুর ঝরা ঘামে-
কখনও বা অচিন্ত্য দর্শনে তুমি প্রকট হও ধরাধামে!

সময়টা বড় হিংস্র এখন
ক্ষমা নেই কারও আর ,
ভুলের শাস্তি নাও যদি পাও
পাবে তা ঠিক করার।