ক্রমশ উজ্জ্বল হ’য়ে উঠছে এ নির্ঝঞ্ঝাট রাত! আঁধারকে আলো শুষে নেবার পূর্বেই একটা কবিতা লিখতে চাই। বুকের ভেতর গলিয়ে দেই হাত, অবহেলিত কলজেটা পরখ করি। কোথায় আজ সেই সমস্ত সালফিউরিক বেদনাবোধ? প্রচণ্ড হিংস্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়া ক্ষুধার্ত সব দুঃখরা আজ কই? মেয়াদোত্তীর্ন চোখ ছিঁড়ে নেই আজ এক ফোঁটাও জলজ উচ্ছ্বাস।
কাকে ভালোবেসে দুঃখ পেয়েছিলাম? ভুলে গেছি এবং সত্যিই ভুলতে বসেছি আজ! অনুচ্চারিত সেই ভালোবাসায় কারাই বা বসিয়েছিল ভাগ? অধিক ঘৃণায় মুড়িয়েছিলাম কাদের? তাকে না তাদের? মনে নেই তবু অন্তঃস্থ হৃদয়ে নেই অনুশোচনার বিশ্রী করাঘাত।
বাতাসের বুকে লিখেছিলাম একদিন- ম’রে যেতে চাই, কিছু ভাল্লাগছে না আর! জীবনকে দিয়েছিলাম ছয় লক্ষ অভিশাপ! রেজার থেকে খুলে নেয়া ঝকঝকে ব্লেড আর স্লিপিং ট্যাবলেট দেখে স্মরণ করি আজ— আহারে দুঃখবোধ! কী ভীষণ পিশাচ!
মানুষেরা কেন প্রেমিক হয়? কেন পৃথিবীতে থাকবে না কোন সত্যনিষ্ঠ প্রেম? প্রেমিকার কোমল চোখগুলো কেন ক্রমাগত হারাচ্ছে বিশ্বাস? কেন এতোখানি দুষ্প্রাপ্য হ’য়ে উঠছে একটি সবুজাচ্ছন্ন হৃদয়?
এত শত প্রশ্ন বুকে নিয়ে খাঁ খাঁ করছিলো হৃদয়হ্যাঙ্গার। মনে পড়ে সেই রাত— এই রাতের মতই ছিলো কবিতাহীন। অথচ কবিতারও অধিক স্বয়ং তোমাকে পেয়েছিলাম! আজ এই লগ্নে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের শপথ এবং অবশ্যই শপথ সেই সমস্ত বুক ঝলসানো দিন ও কুরুক্ষেত্রময় বীভৎস রাত্রির— আমার কোনো দুঃখ নেই, দুঃখ নেই!
হে আগামী দিন! ওহে অনাগত ভবিষ্যৎ! শত জন্ম চাই না আর; কত পুণ্য হয় সহস্র জন্মে? স্বর্গের সমস্ত সুখের ওজন কয় লক্ষ কত গ্রাম? তোমরা জন্মাও, পুণ্য কুঁড়াও, স্বর্গে যাও, সামলাও সত্তরটা হুর এবং নিয়ম ক’রে পাঁচ প্রহর ঈর্ষা ক’রো আমায়- মানব জন্মেই আমি একজন ঐশ্বরিক অবন্তিকাকে পেয়েছিলাম!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।