শেষ বিকেলে বৃষ্টি থামতেই
মেয়েটি একছুটে বাইরে!
হাটতে হাটতে মিলিয়ে যায় রাস্তায়..
পেছনে ফেলে বারান্দায় মায়ের চিন্তিত চোখ!

ছুঁয়ে দেখো দেবী,
তুমি ছুঁয়ে দিলেই লিখে দিতে পারি একশো প্রেমের কবিতা;
লিখে ফেলতে পারি ব্রহ্মাণ্ডরচনার সমস্ত ইতিহাস;
যদিও ইতিহাসে আমার মোহ ছিল না কোনকালে!

আজো বাংলার বুকে আমরা রয়েছি পরাধীন।
স্বাধীন দেশে আজো যায়নি মুছে কলংকের দিন।
স্বাধীনতার সুফল গুলো-
ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে চিরদিন।

দিবসের জ্যেতি হারায় যখন যামিনীর কোলে ডুবি
সন্ধ্যা তারায় জ্বলে উঠে যেন স্নিগ্ধ প্রিয়ার ছবি।
হাসনা হেনার মধুর সুবাসে মধুময় চারপাশ,
আসবে প্রিয়া, জাগব রাত করবে না কভু নিদ গ্রাস।

দেহ হয় স্পন্দনহীন শুয়ে ঘাসের ওপরে
তীব্র ঘৃণায় ভেসে যায় মায়া মমতা
ধিক পশুরও অধিক তুই রচিলি
পঙ্কিল ইতিহাস বাংলার পলিমাটিতে ।।

সাত সমুদ্র হাজার ঢেউয়ে
জলের তোড়ে ওলটপালট হৃদয় উঠান
পললতটে তোমার জন্যেই বেড়ে উঠেছে শখের কোমলকমলকুঁড়ি
অথচ কাছে থেকেও তুমিই এখন দূরের আকাশ

এ কেমন শখ,ওহে ডানা মেলা পাখি?
সারাক্ষণ বৃষ্টি আর কাদা মাখামাখি,
দুর্বিষহ লাগে বুঝি খটখটে মাটি?
'আগুনে পুড়েই তবে সোনা হয় খাঁটি'

ব্রহ্মায়ে তেজদিপ , প্রকটম আদি সত্যম
সহস্র সূর্যতেজ , এক্মং অদ্বিতীয়ম ।
অপত্য অগ্নিদহনম, কুবলয় দহ-শিঞ্জন ।
অতীব তীব্রতায় জড়ানো ,জগতের আদি সত্য

আমার কষ্টগুলো মিশিয়ে দিয়েছি আকাশে
আকাশ ছড়িয়েছে আর সুবিশাল নীলিমায়
দহন জ্বালা বপন করেছি অনূঢ়া ভূমিতে
ফসলের অপেক্ষায় কালাতিপাত করি-

সময়ের বাস্তবতায়
আমি আসবো তোমার ভাবনায়
একদিন এলোচুলে উদাসী মনে
বিষন্ন বিকেলে সুরম্য অট্রালিকার নির্জনতায়
তখন সময়ের কাছে আমি বন্ধি