ভাগ হয়ে গেল মন ,জাতি ,সম্পদ ;
বুবুমাসি মনে পড়ে দু'শালিকের দিন শুরু
তুমি হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তে
আমার অশুভ দিন শুরুর
এক চোখেতে হাত দিয়ে
কি বিচিত্র সব ঘুমের মধ্যে আতকে ওঠা
নির্মম নিয়ম একটু একটুতে বেড়ে ওঠা

তুমি এসেছ স্বাধীনতা
এসেছ বৈশাখী সাজে
হলদে রঙ্গের শাড়ি পড়ে
আমার মনের কুঠিরে,
তুমি এসেছ স্বাধীনতা

কার্তুজে কার্তুজে ঘৃণা ফুটে উঠে বুকে,ধুঁকে ধুঁকে মরি বিরহ কাতর শোকে,,
যখনি চোখে ভাসে মা বাবা ভাই বোনের লাশ,আর ধর্ষণ করা হয়েছে আমার স্ত্রীকে।
তাইতো ক্ষনে ক্ষনে ভাবি বসে শূলে,ওপাড়ে দুবলার চর,দুপাড়ে কেবলি মরন ডর,,
রেখে গেছে স্মৃতি ভুলে,হাড়ে অনাহারে দিয়ে ভর,সর্বগ্রাসী সেই একাত্তর।

সন্ত্রাসের বিষবাষ্প থেকে মুক্তি চাই ।
মুক্তি চাই বন্দী ভালোবাসার ,
মুক্তি চাই এই জীবন আমার ,
মুক্তি চাই , মুক্তি ।

যে তরুন রাইফেল হাতে যুদ্ধ করেছে
আজ কেন সে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে
পাক সেনা মেরেছে হাজার হাজার
আজ কেন নেই মুক্তিযোদ্ধার ঘরে বাজার ।

আর কতো আমার স্বাধীন দেশে
ধূলিসাৎ হবে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন,
চলো আবার সবাই জেগে উঠি
সাথে নিয়ে একাত্তরের গর্জন ।

আজ এই বিজয়ের আনন্দ মিছিলে
আমি কেন হাসতে পারি না মা!
মা জানে তবু চুপ রহে
কাঁদে এখনও মা স্বামীর শোকে
এলোমেলো কথা গুলো আখি ঝরে।