বাদামী গাছটার পাতাগুলো ঝড়ে পড়ছে
উন্মত্ত প্রবাহের ঝাপটায়,
কিছু পাতা বিবর্ণ,হলদেটে;
আবার কিছু সদ্য গজিয়ে ওঠা কচি কিশলয়,
কিংবা ভেঙে পড়ছে কোনো শাখা

আমি নিশ্চিত
তুমি এলেই
এ পর্দাহীন বাড়িটির দরজা-জানালাগুলোয়
আবার রঙ-বেরঙের পদ্মা উড়াবো
রঙিন প্রজাপতির মতো স্বপ্ন নাচিয়ে ।

কবির জন্ম কবিতাতে
তোমার জন্ম কোথায় ?
তোমায় নিয়ে মাতামাতী
সবাই রাখে মাথায় !

মা- মানুষকে ভালোবাসি, আমার ঘৃণা শুধু অমানুষের প্রতি,
কিছু মানুষ বুঝেন না বা বুঝতে চান না কী আমার ব্রতি?

মনে পড়ে?
প্রতি রাতে গাইতে তুমি,
আমার কণ্ঠে শুনতে প্রিয় গীতবিতান।

মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে কেঁপে উঠো না ভয়ে,
অন্ধকারে বাজবো আমি পায়ের নুপুর হয়ে।
কথার ছলে তোমার চোখে ঘুম এঁকে দেবো,
ঘুমের ফাঁকে পড়ছে মনে আমি বুঝে নেবো।

তুমি কোথা হতে এলে কোথায় যাবে?
যাবার পথে কি মোর বন্ধুর বাড়ি পাবে?
যদি তারে পাও বলে দিও, আমি ভালো আছি!
সে যেন থাকে সুখে....

ওহ জন্ম হয়ে নিঃস্ব হয়ে নিঠুর এই ধরায় হলো ঠাই,
হায় আমারতো কেউ নাই, আমারতো কেউ নাই।
কারো আছে সহধর্মীনি, কারো আছে প্রিয়া,
আমারতো কেউ নাই, পাষাণী গেছেতো ছিরিয়া।

অনেক সময় কেটে গেছে জীবনের শেষ পথ
কি পেলাম কি না পেলাম মেলাই তার হিসাব
ফাঁকি কতটুকু দিয়েছি কাকে, করেছি অবজ্ঞা
জীবনের খাতা খুলে দেখি পুণ্যের ঘর ফাঁকা।

সবই গেছে, সবই নিয়েছ গুটায়ে
আলগোছে, সন্তর্পণে –
ধূসর আলোয়, কখনও ছাই-আঁধারে।
নিয়ে গেছ উল্লসিত হৃদপিণ্ডের দুলুনি
স্নায়ুছেড়া অধৈর্য প্রতীক্ষার পহর
প্রথম উদ্ভাসের ঠোঁটচাপা হাসি।