কি জাদু মাখা চোখ তোমার
দ্যাখলে বাঁচতে সাধ জাগে আমার।
দুচোখে দ্যাখি সবুজ শস্য ক্ষেত
ক্ষেতের ওইপাশে সমুদ্র সফেন।

যে চোখের তীক্ষ্ণ তীরের আঘাতে
হার্ট মশাই মাতাল বনে বনবাসী হয়েছিল,
আজ বহুদিন গত হয়েছে,
সে চোখ অবসর নিয়েছে।

আমার অন্তরের গভীরে তোমার প্রেমের প্রজ্বলিত আগুন জ্বলে দাউ দাউ চেতনা!
আমার গৃহে আমিই একা একা খেলা করি উজ্জীবিত জ্ঞানে বিপুল বাসনা।
আমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে বেদনার বালুচর জাগে কঠিন ঝড় তুফান!
ভালোবাসার জগতে আমি আত্মমগ্ন আবেগে খুঁজি মূল্যবান সোনার বরণ পাখি চন্দন!

তোমাকে না দেখে কেটে যাই দিন
আর তোমাকে ভেবে ভেবে নিদ্রাহীন দীর্ঘ রাত
কখন যে হয়ে যাই ভোর !

প্রিয়ার চাহনি সেতো ক্ষণিকের সম্ভার,
তবু সেতো মনকে নিয়ে চলে দূর দিগন্তপার।
বসন্তের কুহক জ্বালে,মনটা সুরের তালে।

বৃষ্টির দানা দেখেছ
চোখ ছাপিয়ে নামে জলবসন্তের মালা গেঁথে।
ভূতের গলায় বাজে অষ্টব্যাঞ্জনার সুর
তাতে আকাশ নীল হয়
বুকের ভেতর ফাঁকা হয়

একটা ভালোবাসার কথা,
কেমন যেন থাকল রয়ে
বুকের মাঝে ব্যথা।
একটা প্রেমের উপাখ্যান,
স্রোতস্বিনী গেলই বয়ে
ছাড়ল না সে ধ্যান।

আমায় চাইলে পাপ হবে যে
আর তাই কুক্ষনেও চাইতে নেই আমায়
তার চে চেয়ে নাও ধুলায় ধুসরিত
সড়ক সঙ্গী কচি দূর্বাদল

সেই হাসি তার, সেই সেই আঁখি দুটি
নিত্য পেষে বানাল আমায় খসখসে রুটি।
গ্রীষ্ম আসে বর্ষা আসে সিক্ত ধরাতল
পিচল পথে কখনও তবু বাড়ে চলাচল।

তোমাকে বলতে বড় সাধ হয়
চোখের ভিতরে আলো আলোর ভিতরে শহর
সেখানে তুমি স্বর্গের অপ্সরী আর অনন্ত প্রহর
ভালোবাসার হরেক রং-গান-কবিতা ছন্দে
সুখের পাখি বলছে প্রেমের গল্প কত আনন্দে।