টিয়ে পাখি এখনও চেচাঁমেচিতে করছে নড়াচড়া।
বেলগাছটা এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে।
উঠানে কালো শালিক মৃতের গন্ধে কাতরায়।
পিঁপড়াগুলো এখনও রক্ত জমা করতে ব্যস্ত।
রক্তের আবরণে মাটি শুকিয়ে এখনও চৌচির।

শূন্যতায় তুমি; পূর্ণ এ কোন মধুর মমতা?
তোমার চোখে কখনও কেন শূন্যতা দেখি না?
শূন্যতা চোখে, আলিঙ্গন করে আমার মুখটি দেখ!
শত কষ্টের মাঝেও তুমি আমায় কাছে রাখ ৷

ছোট্ট একটি শব্দ মা
তবু বিশাল তার পরিধি,
জন্মের আগেই সূচনা যা
বৃস্তিত তা মরণ অবধি,

সবচেয়ে বেশী আদর করে ,সে মোদের মা
দুষ্টুমি করলেও সে তো কখনো রাগ করে না?
সবচেয়ে বেশী শাসন করে, সেও মোদের মা
সোহাগ করে কাছে টানে, দূরে ঠেলে দেয় না।

ধরায় মানুষ হলে তুমি যার কারণ
করে দেখ তবে কিছুটা অনুধাবন
ভুলে যেও না কভু মায়ের অবদান
সমুন্নত রেখ সদা মায়ের সন্মান।

আমার মায়ের পাদুকা দু’খানা
দেখেছোকি তোমরা কেউ?
পাদুকা দু’টিকে ভাসিয়ে নিয়েছে
ভরা বরোষার ঢেউ!

দুষ্টুমিতে বাবা যখন কটমটিয়ে মারতে আসে,
কে বলোতো চোখ মুছিয়ে জড়িয়ে ধরে ভালোবেসে?

স্কুল হতে ফিরতি পথে কালো গাঙে দাপিয়ে বেড়াই,
দ্বারের গোড়ায় অশ্রুচোখে কোন রমণী চোখে হারায়?

মা যে আমার বড়ই খুশি
আমার চিঠি পেয়ে,
কখন আমি ফিরব বাড়ী
থাকেন শুধু চেয়ে।

সমুদ্রের গভীরতা আর আকাশের বিশালতা-
অতি তুচ্ছ মনে হয়,
মায়ের মমতা আর সোহাগের পূর্ণতা-
যখনই তুলনা করা হয়।

কেন যে নয়ন ফেলে গগণ বেছে নিলে
কেন যে দূর আকাশের তারা হয়ে গেলে?
তুমি কি দেখছ মাগো
আমার চোখের জলের ধারা?