মা যে আমার বড়ই খুশি
আমার চিঠি পেয়ে,
কখন আমি ফিরব বাড়ী
থাকেন শুধু চেয়ে।

এই কেমন মা ?
যে কি না টাকার কাছে বিক্রি হয় ,
মেয়েকে তুলে দেয় দালালের হাতে ।
”মা” জাতিকে খাটো করে মুসকি মুসকি হাসে !

ধরায় মানুষ হলে তুমি যার কারণ
করে দেখ তবে কিছুটা অনুধাবন
ভুলে যেও না কভু মায়ের অবদান
সমুন্নত রেখ সদা মায়ের সন্মান।

শূন্যতায় তুমি; পূর্ণ এ কোন মধুর মমতা?
তোমার চোখে কখনও কেন শূন্যতা দেখি না?
শূন্যতা চোখে, আলিঙ্গন করে আমার মুখটি দেখ!
শত কষ্টের মাঝেও তুমি আমায় কাছে রাখ ৷

মাগো বলনা, আছ তুমি কোন অজানায়
প্রভাতে কতকাল শুনিণী কুরআনের বাণী কন্ঠে তোমায় ,
মাগো,রাতের পর রাত দিনের পর দিন সবই থেকে যায়
প্রতিটি মুহূর্ত মাগো পাগলের মতো খুজি তোমায় ।

রাতের বেলা ঘুমিয়ে থাকা কনকনে ঐ শীতে পেলে
গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে চুপিচুপি চলে গেলে
এখন কি আর কেউ কি করে একলা ঘরে

অন্ধকারে থাকছি আমি, শত প্রহর গুনছি হাতে
বাঁচার আশায় হাহাকার, ঘুম নেই তো রাতে।
মেয়ে আমার বড় ডাক্তার, সবার প্রাণ বাঁচায়
নিজের চোখে দেখছে সে, করোনায় কত প্রাণ হারায়।

মনে পড়ছে মাগো তোমার রান্না সেই
সমুখে আজ খাদ্যপাহাড় কত শত
রোজরোজ খাই ভুড়িভোজ আছে যত
নয়ন ফেটে কান্না বেরোয় বিস্বাদেই
খেতে বসলে মিস্ করি মা
তোমাকেই