মনে পড়ছে মাগো তোমার রান্না সেই
সমুখে আজ খাদ্যপাহাড় কত শত
রোজরোজ খাই ভুড়িভোজ আছে যত
নয়ন ফেটে কান্না বেরোয় বিস্বাদেই
খেতে বসলে মিস্ করি মা
তোমাকেই

মা যে আমার খোদার পরে,
শ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
মায়ের দোয়া নাজাত দিবে,
কঠিন কিয়ামত।।

অন্ধকারে থাকছি আমি, শত প্রহর গুনছি হাতে
বাঁচার আশায় হাহাকার, ঘুম নেই তো রাতে।
মেয়ে আমার বড় ডাক্তার, সবার প্রাণ বাঁচায়
নিজের চোখে দেখছে সে, করোনায় কত প্রাণ হারায়।

তোমার হাসিটা পৃথিবীর শ্রেষ্ট হাসি মা
শত অন্যায়ের পরও,তুমি করো যে ক্ষমা
তোমার আসনটা পৃথিবীর শ্রেষ্ট আসন মা।

রাতের বেলা ঘুমিয়ে থাকা কনকনে ঐ শীতে পেলে
গায়ে কম্বল টেনে দিয়ে চুপিচুপি চলে গেলে
এখন কি আর কেউ কি করে একলা ঘরে

পৃথিবীর সবচেয়ে মমতাময়ী নারী,
সেই হলে মা,
সন্তানের কোনো আপদ এলে তার
অন্তরে লাগে ঘা।

ছ'মাস আগে খরচ হতে কিনেছিলাম শাড়ি,
এত ব্যাস্ত চারিদিকে হয়নি যাওয়া বাড়ি।
কারো হাতে শাড়ি খানা পাঠিয়ে দিলে গা,
আমার মায়ের সোনার বদন দেখা হতো না।

মা- চির চেনা নাম
পৃথিবীর সব চোখ উল্টে যায়
কিন্তু মাকে চোখ ফেরাতে দেখিনি!
প্রতারিত ভাস্কর্যের মোড়কে নিত্যদিন
কিন্তু মায়ের মতো করে পাইনি কাউকে কোনদিন!