আমাদের আলোচনায় উঠে এলো মা
কেউ বললো – আমার সকল আবদার
আমার যত পাওয়া, না পাওয়ার কথা।

মা যে আমার বড়ই খুশি
আমার চিঠি পেয়ে,
কখন আমি ফিরব বাড়ী
থাকেন শুধু চেয়ে।

খোদার আরশ দেখিনাই মাগো,
দেখিয়াছি তোর মুখ,
দুঃখ-কষ্টে তোর কোলে মাগো,
খুঁজে পাই সব সুখ।

মনে পড়ছে মাগো তোমার রান্না সেই
সমুখে আজ খাদ্যপাহাড় কত শত
রোজরোজ খাই ভুড়িভোজ আছে যত
নয়ন ফেটে কান্না বেরোয় বিস্বাদেই
খেতে বসলে মিস্ করি মা
তোমাকেই

কুসুমিত কিংশুকে কোকিলের কলরব
সুমাধবে যুবকের মনে জাগে প্রেম অনুভব
মলয়া সমীরে কাপে সঘন সবুজ বন
রৌদ্র এাসে তনু মনে ছায়ার স্মরণ।

আমার মায়ের পাদুকা দু’খানা
দেখেছোকি তোমরা কেউ?
পাদুকা দু’টিকে ভাসিয়ে নিয়েছে
ভরা বরোষার ঢেউ!

দুষ্টুমিতে বাবা যখন কটমটিয়ে মারতে আসে,
কে বলোতো চোখ মুছিয়ে জড়িয়ে ধরে ভালোবেসে?

স্কুল হতে ফিরতি পথে কালো গাঙে দাপিয়ে বেড়াই,
দ্বারের গোড়ায় অশ্রুচোখে কোন রমণী চোখে হারায়?

টিয়ে পাখি এখনও চেচাঁমেচিতে করছে নড়াচড়া।
বেলগাছটা এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে।
উঠানে কালো শালিক মৃতের গন্ধে কাতরায়।
পিঁপড়াগুলো এখনও রক্ত জমা করতে ব্যস্ত।
রক্তের আবরণে মাটি শুকিয়ে এখনও চৌচির।

পৃথিবীর সবচেয়ে মমতাময়ী নারী,
সেই হলে মা,
সন্তানের কোনো আপদ এলে তার
অন্তরে লাগে ঘা।