নাহার, তুমিও যখন কথা বলো, যখন তুমি হাসো
বিশ্বাস করো, আমার শুধু ঐ কামরাঙা গাছটার কথাই মনে পড়ে ।
তার পাতাগুলি যেন তোমার কথা..

হাসির মাঝে কাব্য আছে
ঠোঁটে তাহার বিশালতা,
মধুর কণ্ঠে প্রতিধ্বনি
শুনতে পাগল হাজার শ্রোতা।

দেয়ালে সাঁটানো পোস্টারে মুক্তির যে কথা লিখেছ
তাতে লেখা কথাগুলো কী তোমার মুক্তির কথা।
পোস্টারে অসহায় মানুষের যে অস্পষ্ট অবয়ব সে কী তুমি ?

অপেক্ষায় ছিলাম বহুদিন ,
ভেবেছিলাম কেউ হয়ত আসবে একদিন ;
জীবন রাঙ্গাতে ভালবাসায় ,
প্রেমের ছোঁয়া লাগবে জীবন খাতায় ।

তাঁর চোখ - চেহারা আমি ভুলতে পারিনি
তাঁকে মন খুলে কথাটা বলতেও পারিনি
এবং পারিনি চোখ ইশারায় হৃদয়ের বার্তা জানান দিতে।

ভালোবাসতে গিয়ে
অনেক অসম্ভবকে করেছি সম্ভব
পেছনে ফেলে এসেছি ভালো মানুষের তকমা
বহু দোলাচলে নিজেকে রেখেছি অবিচল

একটি কথা বলব বলে, প্রাণের কাছে ঋণী আমি –
যায়নি ছেড়ে একলা ফেলে।
লক্ষ বছর গড়িয়ে গেল কক্ষপথে
হাজার তারার কবর হল কৃষ্ণগুহায়,
দিব্যি আমি হাঁটছি পথে।

একটা সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যায়
কিংবা সূর্যমুখীর একচেটিয়া আকর্ষণে
আনমনে খোঁপায় গুঁজে গুলাচিন হেঁটে বেড়াও।
কাঁচা রাস্তার ওপারে সূর্য ডুবে
নিখিলে বাতাসে সে গুলাচিন মূর্ছা যায়।