১৯৪৭ সালের পর পূর্ব পাকিস্তানে আতংক ছড়িয়ে পড়ে ,,
পরাধীনতার শিকল বাংলার চরণে ।
যেই শিকল পরিয়ে ছিলো বৃষ্টিশরা
- সমগ্র বিশ্বে ।

নির্যাতিত হতে-হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলো,
কৃষক-শ্রমিক এদের আবার কীসের দাবী,
তারা হয়তোবা এমনই ভেবেছিলে,
কিন্তুআমাদেরএকজন বঙ্গবন্ধু আছে ওঁরা বুঝতে পারেনি ।

চোখের নীচে জমতে জমতে জমেছে অনেক কালি
শেষ বিকেলের ছায়া মতো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় অপরাহ্ণের দেহ
অশ্রুর সাগর শুকিয়ে মরিচিকা বাসা বেঁধেছে চোখে
সুবেহ সাদেকের আবছা আলোর মতো
ঝাপসা হয়ে আসে দিগন্তে গেথে থাকা দৃষ্টি জোড়া,
কেউ যদি এসে বলতো-

আত্মসমর্পণ করিবে সবি ভুলে
পুলসিরাত কন্ঠকময়, সর্গ-নরক দুই কূলে।
আপনার কর্মগুণে ছিটকে পড়িবা-
অনন্তকালের এক কূলে।

হাত কেটে ফেলেছি,
রক্তশূন্যতায় ভুগেছি কতো?
ভুগেছি কতো ছেঁড়া ফাটা পরনের কাপড়ে।
আমি সেদিনও সামলে নিয়েছি অগোচরে।

জীবন চলার পথে মুসাফির,
পিছনে ফিরে তাকায়।
কতো স্মৃতি তার মনের থেকে,
ঝরেপরে যায় বায়।

সেদিন ছিলো ৮ই ফাল্গুন,
বুকের ভিতর জ্বলেছিলো আগুন-
ওরা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিলো,
আমি ভীতু ছেলে, তবু কে এত শক্তি এনে দিলো!
হায়েনাদের চোখ রাঙিয়ে বের হলাম রাজপথে-

আমিও ঠিক আগেই মতোই নিজেকে নাচাতে পারি, নাচতে পারি।
কান্নার আভাস পেলে আমি হেসে উঠি,
আমি মানুষের ভয় পাওয়া দেখে সাহসে বুক ফুলিয়ে গান করি।

ঘুম নেই চোখে
চোখ আজ আতন্দ্র প্রহরী
ঘুম হরিলো স্বপ্ন বিভাবরী।
কনক লাগা শীতে
আলগা কায়া বহে বিপরীতে,

মনের অজান্তে ত্যাগ হয়ে যায়,
হতে পারে কত রকমের প্রাপ্তি!
মানুষ শুধু মানুষই খুঁজে বেড়ায়
সারাজীবন কিছু রক্তিম ভ্রান্তি