অন্তত একবারের জন্য হলেও
এই করুণ-দুঃখী বিচলিত বুড়িটাকে দেখতে আয় না।
তোদেরকে কতদিন দেখি নি !
কিরে, আসবি না ?

মধ্যমা ও তর্জনীর ফাঁকে,
দগদগে ক্ষতে ক্ষয়িষ্ণু,জলন্ত সিগারেট।
এখন মধ্য রাত্রি,ভাগাড়ে শুয়েছি সর্পদেবীতে মজে।
জোসনার রঙ মেখে নির্লজ্জ শশী;

বসন্তী তোমার চোখে ছলনার দিব্যি রেশ
তবে ভালোবাসা কি ছিলো,
তুমি ঠিক অন্যরকম
দেয়ালের ওপার ঠিক ভালোবাসা টের পাও নি!

মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ এবং মাতৃভূমিতে অবাধ বিচরণ
প্রত্যেক মানুষের জন্মগত অধিকার
স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলার মানুষ
এ দু’টোঅধিকার থেকেই বঞ্চিত ছিল
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে লাখো শহীদের আত্মাহুতির ফসল
আজকের বাংলাভাষা, আজকের বাংলাদেশ।

তুমি আসবে বলে ঘরে আলো রাখিনি
চোখে আবির রঙ্গের স্বপ্ন আঁকিনি
ঠোটে বিজলির চমক সাজাইনি
তুমি তুমি আসবে বলে
আমি দু'চোখ অর্ধ ঊর্মিলিত করে
দু'হাত জোড়া করে প্রার্থনা রত

শুষ্ক শহর শুষে নিয়েছে শত প্রাণের কণা
হারিয়েছে কত প্রাণ যায় না তা আজ গোনা।
মাটির গাছ শুষ্ক হয়ে হয়েছে আজ ভঙ্গুর,
শত বাগান ছিল হেতা_
আজ নাই একটিও আঙ্গুর।

আমিও ঠিক আগেই মতোই নিজেকে নাচাতে পারি, নাচতে পারি।
কান্নার আভাস পেলে আমি হেসে উঠি,
আমি মানুষের ভয় পাওয়া দেখে সাহসে বুক ফুলিয়ে গান করি।

আবৃত এই শহর-
ইট পাথরের আবরনে-
সংখ্যাহীন মানুষের আচ্ছাদনে-
আবেগহীন নরপিচাশদের পদভারে-
ট্রাকে ভর্তি পশ্চিমা দোসরদের অস্রের ঝনঝনানিতে।

জীবনের বলিদানে বাঁচাল যারা মায়ের ভাষা
তাদের আত্নত‌্যাগের প্রতি সদা স‌্যালুট জানাই
ত‌্যাগ কাকে বলে বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখেছে
বাঙালি জাতি বীরের মর্যাদা পেয়ে গেছে তাই।

বাড়ি বাগান ফুল বাগিচা দেখছ যা কিছু
তাঁর সবই আছে , সবাই আছে , বাবা নাই শুধু ।
মাও নাই ভাইও নাই একটি শুধু বোন
হৃদয় বুঝি তাঁর কাঁদে তাই যখন তখন ।