আমিও ঠিক আগেই মতোই নিজেকে নাচাতে পারি, নাচতে পারি।
কান্নার আভাস পেলে আমি হেসে উঠি,
আমি মানুষের ভয় পাওয়া দেখে সাহসে বুক ফুলিয়ে গান করি।

পবিত্র কৌমার্যে আঘাত করো যে
বহমান বাতাসে
দৃষ্টিপাতে
স্পর্শে
এখানেই হারায় সূর্য অন্ধকারের অমাবশ্যায়।
তাকে বলেছি তুমি গ্রহণ কর
পাথরের আঘাত
লাঞ্চনা
ত্যাগ
একটি দীপ্তমান সোনালী সূর্যের আশায়।

ধূষর ক্যানভাসে এখনো তোমার উপস্থিতি
আমাদের চমকে দেয়
বিদ্যাপীঠের বর্ণিল দিন,চিরল পাতার তুর্য ধ্বনি
সাহিত্য বাসরের সবার প্রিয় নন্দিনী
অধিকার সংগ্রামের শ্লোগান কণ্যা

ঐ-যে ওই তালগাছটার পর মৃদুতরঙ্গ শাপলার সাঁতার –
তার ওপারে দিগন্তের তীক্ষ্ণ রেখা:
সেখান থেকেই ইতিহাসের অঙ্কুরোদগম।

জ্বলন্ত তার প্রকাশ উজ্জীবনী ধ্বনী ,
বিপ্লবী সে উচ্চারণ চিরন্তনী বাণী ;
তাহার ডাকে জেগেছে ঘুমন্ত জনতা ,
শোষনের বিরুদ্ধে সে গড়লো একতা ।

নির্যাতিত হতে-হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলো,
কৃষক-শ্রমিক এদের আবার কীসের দাবী,
তারা হয়তোবা এমনই ভেবেছিলে,
কিন্তুআমাদেরএকজন বঙ্গবন্ধু আছে ওঁরা বুঝতে পারেনি ।

বৈশাখ নিয়ে মাতামাতি ভাষার কদর কই
ইংরেজিতে সন তারিখ একদিন বাঙালি হই
ফাস্ট ফুড,ধারের ফ্যাশন খুকু তো আর চায় না
আটপৌঢ় বাঙালির কোন তুলনা যে হয় না।

জীবনের বলিদানে বাঁচাল যারা মায়ের ভাষা
তাদের আত্নত‌্যাগের প্রতি সদা স‌্যালুট জানাই
ত‌্যাগ কাকে বলে বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখেছে
বাঙালি জাতি বীরের মর্যাদা পেয়ে গেছে তাই।

মনের অজান্তে ত্যাগ হয়ে যায়,
হতে পারে কত রকমের প্রাপ্তি!
মানুষ শুধু মানুষই খুঁজে বেড়ায়
সারাজীবন কিছু রক্তিম ভ্রান্তি

দূরন্ত বাতাস,নির্মল রোদ
পথিকের নীরব স্লোগান
নেই কোনো সাইক্লোন আর ঝড় তুফান
তবুও বিচ্ছিরি-অশান্তিগুলো ঠাঁই পেতে চায়
দীর্ঘ অস্তিত্বে।