একরাশ ভালোবাসা ছিল বুক জুড়ে
নরম রোদের রেখা দিল সুখ মু‌ড়ে,
তখন হাতে তে হাত চোখ রেখে চোখে
চুপ‌টি দাঁড়ালে তুমি মুখে হাসি মে‌খে।

হিম নিশপিশ কিছুটা হালকা অবিরাম বাতাস
বইছে গভীর আবেগে।
শীতের এই সন্ধ্যায় খোলা বারান্দা ঘিরে থাকা গোলাপগুলো
কেমন যেন কাতর হয়ে গেছে।

কার কার শীত নেই হাত তুলুন,একটা তালিকা হোক।
পত্রিকার ডান কোণে বিজ্ঞপ্তিতে রাখুন চোখ,
সব ধরণের জনতা আসুক জরীপে এই প্রত্যাশা।

টেবিল চেয়ারের মাচায় বসে বাছাই আজ,
খেরু চাচার প্রথম হাত, হাসে গুলমারা দাঁত
"পাঁচগন্ডা ইট মাথায় নিয়া উইঠ্যা দেইখ্যান দু'তালায়।"

হুতাশন কোথা হতে পাড়ায় আসিলো
শীত কাঁপি ঠক ঠক শীত এলো ভাই,
এলোমেলো ঘর বাড়ি কি যে করি বলো
কুয়াশায় মেঘে ডাকা রবি উঠে নাই।

শিশির কণা ঝরছে ফোটায়
টিনের চালে ঝনঝন
তুষার বুঝি পরছে গোপে
রাত ভরে কাশি ঠনঠন ৷
উত্তির হাওয়ায় শীতের ছোঁয়ায়
গাঁ কাঁপে থরথরে
হিমশীতলের কন-কনে কাঁপা
দাঁতে দাঁত কর-করে ৷

হিম হিম লাগে বাতাসখানি
আর পুকুরের পানি
শীত বুঝি তবে এসেছে
আবার এনেছে নববাণী।

মাঝে মাঝে মনটা পাতাঝরা বন,
অতৃপ্ত প্রেমের মর্মর নগ্ন পাতায়।
হিমের রাতে সেসব পাতা তোমার বরাবরে
দরখাস্ত করে একটু উষ্ণতার আশায়।

গ্রাম তবু টানছে যেন এবারের শীতে,
কুয়াশা নামছে রোজই জড়িয়ে নিতে,
এই মাটি চেয়ে আছে ভরিয়ে দিতে,
তাই বুঝি প্রতি দিনে বাড়ছে খিদে।

এই মাঘে শীতই আসেনি আমার
মিথ্যাবাদী সময়টার আবোল-তাবোল কপকপানিতে কানটা খুবই উত্তপ্ত হয়ে আছে।
আবেগ, অনুভুতি, প্রত্যাশা সব কিছু বেদখল হয়ে গেছে সেই কবে
অন্তরে যে অনুভবে জ্বলছি সেটা মুখ দিয়ে বের করতে পারিনা একটু্ও
সংসারটার সাথে নিত্যদিন যুদ্ধ করে যায় কর্মস্থলের ছাপোষা পদবি আমার