শীতের গল্প

শীত (জানুয়ারী ২০২০)

এলিজা রহমান
  • ২০
  • ৪৫
নাবিলা আর আবিরের স্কুলের পরীক্ষা শেষ ৷ কালকে ওরা নিজেদের নানাবাড়িতে যাবে শীতের ছুটিতে ৷ ওদের মা নাজনীন সুলতানার কারনে ওরা প্রতিবছর শীতের ছুটিতে নানা বাড়িতে যায় , তার মতে বাবা -মা যতদিন আছেন ততদিন যাবো৷ ঈদের ছুটিতে গত কয়েক বছর ওরা দাদী করেছে । তবে নানাবাড়িতে যেতে বেশি ভালো লাগে ওদের ৷ অনেক মজা হয় ৷ নানাবাড়িতে রয়েছে বিশাল উঠান খেলার জন্য ৷ নানী কোনো কিছুতে নিষেধও করেন না ,যেটা দাদু বাড়িতে ওরা পারে না ৷ আর ওদের মা তো মনে হয় ছোটবেলায় ফিরে যায় বাবার বাড়িতে আসলে ৷ নাজনীন সুলতানার ভাষ্য ,'বাবার বাড়ি হচ্ছে বাবার বাড়ি ৷'


নানাবাড়িতে সকালে নানী রকমারি পিঠা তৈরি করেন ৷ বিশেষ করে দুধ পুলি বানানো হয় নাজনীন সুলতানার জন্য ৷ নাবিলার বাবা শাহেদ খান কাঠখোট্টা ধরনের মানুষ ৷ কর্তব্যপরায়ণ ,স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে আদিখ্যেতা পছন্দ করেন না তিনি ৷ দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হয়ে শশুর বাড়িতে আসতে হয় তাই আসা ৷ নইলে স্বাধ করে কেউ আসে শশুর বাড়িতে ! মনে মনে বললেন , ছেলে মেয়ে দুটোও হয়েছে তেমনি ,নানাবাড়িতে আসার নাম শুনেই লাফাতে থাকে ৷ পরীক্ষা শেষ ,ওমনি তারা বেড়াতে বের হলো ৷ খরচ তো সব আমার উপর দিয়ে গেল! যাক গে ,ঢাকায় গিয়ে যদি দেখি নাবিলা আর আবির বার্ষিক পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হয়েছে ,তখন তো আমি আর ওদের ছেড়ে কথা বলব না !তখন নাজনীন টের পাবে বাপের বাড়ি বেড়ানোর মজা !
গ্রামে আসলে নাবিলার অনেক সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় ৷ শীতের কারনে পাখীদের ডাকাডাকি কম ৷ শিশিরের ফোটাগুলো মুক্তার মত জ্বল জ্বল করছে রোদ পড়ে ৷ নাবিলা আবিরকে ডেকে আনল , বলল 'দেখ ভাইয়া ওই গাছের উপর বসে আছে দুটো হলুদ পাখী , শীতে কেমন কুকড়ে রয়েছে ৷'
আবির বলে ,' হ্যাঁ আপু , আমিও স্কুলে যাওয়ার সময় দেখেছি কুকুর বিড়ালগুলোরও ঠান্ডায় কাঁপছে ৷ আচ্ছা আমরা যদি এই পশু পাখিদেরকে আশ্রয় দেই , রাস্তায় থাকা কুকুর বিড়ালগুলোকে খাবার দেই, এদের উপর অত্যাচার না করি তাহলে ভাল হয় না বল ? এরাও আল্লাহ্‌ সৃষ্টি তাই না ?'
নাবিলা বলল ,'পারি তো , কথায় আছে না জীবে দয়া করে যেই জন সেই সেবিছে ঈশ্বর ৷'
নাবিলা দেখল , এই শীতের সকালে গ্রামের মানুষেরা কাজে লেগে পড়েছে , কেউ সবজীর ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছে নিড়ানি দিয়ে ,কেউ ধান কাটতে যাচ্ছে মাঠে, সরিষা ক্ষেত ভরে আছে হলুদ ফুলে ৷ ঘন কুয়াশার জন্য আশেপাশের বাড়িঘর ,রাস্তাঘাট, গাছপালা কিছুই দেখা যাচ্ছে না ৷
গ্রামের মানুষেরা শীতের সকালে খড়কুটো দিয়ে আগুনের কুন্ড বানিয়ে তার চারদিক ঘিরে সবাই মিলে একসাথে বসে উত্তাপ নিতে নিতে গল্প করে ৷ নাবিলার মনে হলো এভাবে বসে সবার সাথে গল্প করতে , ওর স্কুলের বান্ধবীদের গল্প করল , ওর মামাতো বোন স্বর্ণা সরকারী স্কুলের ক্লাস এইটে পড়ে , সে তার শিক্ষা সফরে গিয়ে কি দেখেছে ,কি করেছে সেইসব কথা জানাল ৷ তার অনেক ভালো লেগেছে সেটা জানাল সে সবাইকে ৷
শীতের সকালে ওর নানীর হাতের তৈরী করা খেজুরের রসের পায়েস আর চার পাঁচ রকমের পিঠা খেলো ওরা নাস্তায়৷ নাবিলার মনে হলো শীত উপভোগ করতে হলে হয় পিকনিকে যেতে হবে নাহলে গ্রামে আসতে হবে ৷ ঢাকা শহরের চেয়ে গ্রামের শীতের সকাল অন্য রকম উপভোগ্য , কুয়াশা কেটে রোদ উঠলে যে কি আনন্দময় অনুভব হয় বলে বুঝান যাবে না সেটা কাউকে ৷
সারাদিনই ওদের কেটে গেলো ঘুরে ফিরে , খেয়ে ঘুমিয়ে আর খেলার আনন্দে ৷ ঢাকায় তো ওদেরকে হয় মোবাইলে নয়তো বাড়িতে বসে কম্পিউটারে খেলতে হয় ৷নানাবাড়িতে এমন বিশাল উঠান খেলার জন্য , ওরা খুব খুশি হয় এখানে এসে ৷
নাজনীন সুলতানার মনে হলো ছেলেমেয়ে দুটো এখানে এসে কি সুন্দর খেলছে খোলামেলা জায়গায় ৷ আমরা তো ওদের খেলার জায়গা দিতে পারি নি , সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার জন্য তো খেলাধুলো করার দরকার ৷ কয়েকটা দিন বেশ ভালো কাটল ৷ কালকে ওরা ঢাকায় চলে যাবে , আবার শুরু হবে যান্ত্রিক জীবন ৷সকালে সে একাই কুয়াশা ভেজা মেঠো পথ দিয়ে কিছুক্ষন হেটে বেড়াল ৷ আবিরের বাবা তো আলস্য ভেঙ্গে সকালে উঠে নাস্তা খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ নাবিলা এবার ক্লাস এইটে উঠবে ,তার স্কুলের পড়াশুনা, শাহেদের অফিস ,সংসারের কাজ ,আবিরের স্কুলের পড়া সব মিলিয়ে তার সপ্তাহের সাতটি দিনই ব্যস্ততা ৷ ঢাকায় ফেরার আগে কাজের মহিলাটা আসবে কি না সেটার খোঁজ নিতে হবে ৷ নাজনীন সুলতানার মনে হলো ,মানুষের জীবনে আনন্দের সময় শেষ হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি ৷ আনন্দময় স্স্মৃতিগুলোই তো বেঁচে থাকার প্রেরনা ৷
নাবিলারা ঢাকায় চলে যাবে এই কথাটা যতবার ভাবছে নানীর মনটা ততোটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ৷ ওরা যে কয়েকটি দিন ছিল মেয়েটার সাথে নাতি নাতিনী দুজনকে নিয়ে বেশ গল্প করে কাটিয়েছেন তিনি ৷ ওরা চলে গেলে বাড়িটা আবার নীরব হয়ে যাবে ৷ ওদের দুজনকে দুপাশে নিয়ে তিনি ঘুমান রাতে ৷ অনেক ভালো লাগে ৷ ওরা গল্প বলতে বলে , গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে ৷
আবির বলে ,'ও নানাীজান কি ভাবতেছ ? আজকে গল্প বলবা না ?'
নানী উত্তর দিলেন , ' সোনা দাদা ভাই কি গল্প বলব সেটাই ভাবতেছি আমি ৷'
নাবিলা বলল , 'যে কোন একটা গল্প বল ৷ ভুতের গল্পও বলতে পারো ৷ আবির তো আবার ভীতুর ডিম !'বলেই সে হাসতে শুরু করে ৷
আবির আহত কন্ঠে বলে ,'আপু ,আমি মোটেই ভীতুর ডিম না ৷ তুমিই তো লাইট না জ্বালায় ঘুমাতে পারো না ৷'
নানী দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বললেন , 'ঠিক আছে ঝগড়াঝাঁটি না , আজকে আমি একটা রাজার গল্প বলব তোমাদেরকে ৷ কোথায় যেন পড়ছিলাম ৷'
নাবিলা জানে ওর নানীর বই পড়ার অনেক শখ ৷ নানা ভাইয়ের তৈরি করা অনেক ভালো একটা লাইব্রেরী ঘর আছে এই বাড়িতে ৷ নানীকে বই পড়ায় বরং উৎসাহিত করেছেন নানা ভাই বাধা দেন নাই কোনদিনই ৷
নানী বলতে লাগলেন , 'অনেক দিন আগের কথা ৷ উঁচু পাহাড়ের চুড়ায় এক রাজার প্রাসাদ ছিল ৷ একদিন হঠাৎ করেই একদিন রাজপ্রাসাদে ভীষণ বিপদ দেখা দিল ৷ সেটা হলো রাজবাড়ির রান্ন্নাঘরের যে বিশাল চুলাটা এত বছর ধরে জ্বলছিল সেটা হঠাৎ করেই নিভে গেল ৷ নিভল তো নিভল, আর কোনভাবেই সেটা জ্বলল না ৷'
আবির বলল ,'কেন রাজার বাড়িতে কোন আগুনের ব্যবস্হা ছিল না ?'
নানী উত্তর দিলেন ,' নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু সেগুলো কেন জানি চুলায় আগুন জ্বালানোর কাজে লাগল না ৷ অনেক চেষ্টা করা হলো , কিন্তু আগুন জ্বালানো গেল না আর চুলায় ৷ সেই সময়টা শীতকাল ছিল , তার উপর রাজপ্রাসাদটা তৈরি করা হয়েছিল পাথর দিয়ে ,ফলে প্রাসাদের বাসিন্দাদের ঠান্ডায় খুব কষ্ট হচ্ছিল ,বিশেষ করে রাজপুত্রকে রাতের খাবারটা রানী ওই আগুনের পাশে বসিয়ে খাওয়াতেন কারন চুলার আগুনটা খুবই আরামদায়ক ৷ প্রাসাদের উষ্ণতম স্হানটি রান্নাঘরের ওই চুলার পাশের জায়গাটি ৷ কেউ বললেন বিশেষ ধরনের জ্বালানী ব্যবহার করা দরকার আগুন জ্বালানোর জন্য ,আবার কেউ বললেন এত শীত পড়েছে যে আগুনও আর জ্বলে থাকতে পারে নি ঠান্ডায় নিভে গেল ৷ আবার কেউ কেউ অভিযোগ করলেন প্রাসাদের বাসিন্দারা বেশি মাত্রায় ঝগড়াঝাঁটি করে পরিবেশ এমন ঠান্ডা করেছেন যে এখানে কোন কিছুই আর জ্বলতে পারছে না আগুন কোন ছার ৷
রাজা উপায় খুঁজে না পেয়ে তার পেয়াদাকে ডেকে পাঠালেন ৷ তাকে বললেন ,' তুমি পাহাড়ের নিচে বসবাসরত বাড়িতে যাও ,যার বাড়ির আগুন দেখবে বেশি উজ্জ্বল সেই বাড়িতে যাবে , রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বালানোর কথা বলবে এবং তাদেরকে অনুরোধ করবে জ্বলন্ত কয়লা দেবার জন্য ৷ এটাই আমাদের আগুন জ্বালানোর একমাত্র উপায় মনে হচ্ছে ৷' রানী এই কথাগুলো শুনে মাথা নাড়লেন আর রাজপুত্রকে কম্বলের নিচে ভাল করে জড়িয়ে নিলেন ৷
বাইরে তখন প্রচণ্ড ঠান্ডা , পেয়াদার উপায় নেই ৷ রাজার আদেশ তাকে পালন করতেই হবে , জ্বলন্ত কয়লা ভরে আনার জন্য সে হাতে নিল একটা লোহার লন্ঠন ৷ সে চিৎকার করে বলতে লাগল , 'রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বালানোর দরকার, কেউ কি দয়া করে আমাকে কিছু কয়লা দিবেন ?'
আবির বলল ,'তারা পেয়াদাকে নিশ্চয়ই কয়লা দিল ?'
নানী উত্তরে বললেন ,' পেয়াদার এই কথাগুলো স্হানীয় লোকজন সবারই কানে পৌঁছাল ৷ তারা অনেকেই রাজপ্রাসাদের কর্মকান্ডে নিজেদের শরীক করতে চাইল, কেউ কেউ ভাবল এই সুযোগে রাজার কাছ থেকে যা ইচ্ছা আদায় করে নিতে পারবো ৷
এক তরুণ পেয়াদার কাছে এসে বলল , 'এই নিন জ্বলন্ত কয়লা ,' (এই তরুণটির বাবা ছিলেন রাজার বাড়িতে আস্তাবলের দায়িত্বে) সে পেয়াদাকে আরো বলল ,' রাজা মশাইকে বলবেন তিনি যেন এই কয়লাগুলোর বিনিময়ে আমাদেরকে স্বর্ণ মুদ্রা দান করেন , অবশ্য রাজা মশাই যদি ইচ্ছা করেন আরো বেশিও দিতে পারেন ৷'
পেয়াদা সেই লাল জ্বলন্ত কয়লা তার লন্ঠনে ভরে নিয়ে প্রাসাদের উদ্দেশ্যে ফিরে চলল ৷ কয়েক কদম যেতে না যেতেই সে দেখল কয়লাগুলো ঠান্ডা আর ছাই রঙের হয়ে গেছে ৷ সে ওগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আবারও কয়লার সন্ধানে পথ চলতে লাগল ৷'
নাবিলা বলল , ' এবার নিশ্চয়ই সে পেয়ে গেল কয়লা যা দিয়ে রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বলবে ?'
নানী বললেন , 'শোন শেষমেষ কি হয় ৷ পেয়াদা তার সামনেই একটা বাড়ি থেকে জ্বলন্ত আগুনের আলো আসতে দেখল ৷ ওই বাড়ির মালিক ছিল রাজার একজন সেনা সদস্যের ,ওই বাড়ির থেকে একটি তরুনী এগিয়ে এসে তাকে বলল ,' এই নিন অনেকগুলো জ্বলন্ত কয়লা ৷ আপনার কথাগুলো শুনেছি আমি ৷ এই কয়লাগুলো অবশ্যই রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বালানোর কাজে লাগবে আমি বলছি আপনাকে ৷ আর রাজা মশাইকে বলবেন তিনি যেন এই কয়লাগুলোর নেয়ার কারনে আমার বাবাকে প্রধান সেনাপতি করে দেন ৷'
পেয়াদা সেই জ্বলন্ত কয়লাগুলো নিয়ে আবারো প্রাসাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন ৷ তিনি কিছু দূর গিয়েই দেখলেন কয়লাগুলো আর জ্বলন্ত নেই , ঠান্ডা আর ছাইবর্ণ হয়ে গেছে ৷ অগত্যা সেগুলো রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে আবারও কয়লার সন্ধানে পথ চলতে লাগল রাজার পেয়াদা ৷
'ও নানী এবারেও তো কয়লা মিললো না ৷ তাহলে রাজপ্রাসাদে আগুন জ্বলল কিভাবে ? নাবিলা থাকতে না পেরে বলে উঠে ৷
'ধৈর্য্য ধরো বুবু আমার ৷ গল্পের আর বেশি বাকি নেই ৷ তারপর শোন কি হল ৷ পেয়াদা পড়েছে কঠিন চাপে , কেউই বিনা মূল্যে কয়লা দিতে চাইছে না ৷ কয়লা দেয়ার বিনিময়ে সবারই কিছু না কিছু চাই রাজার কাছ থেকে ৷ আবার কয়লাগুলো ঠান্ডা আর ছাইবর্ণ হয়ে যাচ্ছে নিতে না নিতেই ৷ ঠান্ডা বাতাসে তার রীতিমত কাঁপুনি ধরে গেছে ৷ এতটা সময় ধরে ঘুরেও সে ক্লান্ত বোধ করছিল৷ হঠাৎ করেই সে দেখতে পেল পাহাড়ের নিচে বিবর্ণ প্রান্তরে একটা ছোট্টখাট্টো কুটির , মানুষ বাস করে ওখানে বুঝা যাচ্ছে কারন বাড়িটার চিমনি দিয়ে আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে , জীর্ণ দশা হলেও বাড়িটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ৷ সে দরজায় টোকা দিতেই একটা অল্প বয়সী মেয়ে দরজা খুলে দেয়৷ সে দেখল মেয়েটার ছোট রান্নাঘরের ছোট চুলায় রাতের খাবার রান্না করছে ৷ পেয়াদা তাকে জানাল সে কি কারনে এসেছে এই বাড়িতে ৷ মেয়েটি পেয়াদাকে বলল ,'আপনার রাজার প্রাসাদে আগুন জ্বালানোর জন্য যত ইচ্ছা কয়লা আপনি নিয়ে যেতে পারেন ৷ আমি আমার বাবার জন্য খাবার রান্না করি , ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি ৷ চুলায় যত্ন করে আগুনটা রাখি যাতে বাবা কাজ থেকে ফিরে এসে আরাম করে বসে খাবারটা খেতে পারে ৷ আপনিও আরাম করে বসবেন আগুনের পাশে ৷ আপনাকে কিছু খেতে দেই আবার তো বের হবেন ঠান্ডার মধ্যে বাইরে ৷ মেয়েটির কথামত কাজ করল পেয়াদা ৷ তাকে একবাটি গরম স্যুপ খেতে দিল সে ৷ পেয়ারা তারপর মেয়েটির রান্নাঘরের চুলার আগুনটা থেকে ছোট একটা কয়লা তুলে নিয়ে তার লন্ঠনে রাখল ৷ ফিরে যেতে যেতে সে মনে মনে ভাবছিল ,আমি প্রাসাদে পৌঁছানোর আগেই তো এই কয়লার আগুন নিভে যাবে ৷ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ,কয়লাটা যেন ক্রমশ উজ্জ্বল গোলাপী আলোয় জ্বলে উঠছিল তার প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে ৷ অন্ধকার রাস্তাটা দিনের আলোর মত আলোকিত দেখাচ্ছিল কয়লাটার উজ্জ্বল আলোর আভায় ৷ কয়লাটার উজ্জ্বল আলো পেয়াদাকে এক ধরনের উষ্ণতাও দিচ্ছিল এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় ৷ সে যখন রাজপ্রাসাদে পৌঁছাল কয়লার আগুনটা তখনও খুবই উজ্জ্বলভাবে জ্বলছিল ৷ কয়লার আগুনটা চুলায় দিতেই সেটা দপদপ করে জ্বলে উঠল ৷ আর সেই আগুনের তাপ পুরো রাজপ্রাসাদে ছড়িয়ে পড়ল ৷ সেই আগুনের উত্তাপে রাজপ্রাসাদের বাসিন্দাদের সম্পর্কের শীতলতাও দূর করে দিল যেন ৷ রাজা মশাইকে সেই পেয়াদাকে ডেকে পাঠালেন ৷ তাকে ধন্যবাদ দিলেন ,আর জানলেন সেই অল্পবয়স্ক মেয়েটির কথা ৷
তিনি বুঝতে পারলেন সেই ছোট্ট কুটির থেকে কয়লার টুকরোর সাথে তার অন্তরের ভালোবাসাও চলে এসেছে এই রাজপ্রাসাদে ৷ সেই ভালবাসা এখন উত্তাপ ছড়িয়ে দিচ্ছে রান্নাঘরের চুলার থেকে পুরো রাজপ্রাসাদে এবং ভালবাসার উত্তাপে রাজপ্রাসাদের বাসিন্দাদের সম্পর্কের শীতলতাও দূর হয়ে গেছে ৷' গল্প শেষ হলে নাবিলা আর আবির নানীকে জড়িয়ে ধরে বলল ,"নানীজান আমরাও তোমাকে খুব ভালবাসি ৷"
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী স সুন্দর উপস্থাপন । মননশীল I ভালো থাকুন।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০২০
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আব্দুর কাদির এককথায় অসাধারণ। ভোট রইল প্রিয়। আরও লেখার প্রতিক্ষায় রইলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

নাবিলা আর আবিরের স্কুলের পরীক্ষার পর তারা গ্রামে যায় ৷ শহরের শীতকাল গ্রামের চেয়ে আলাদা ৷ ওর নানাবাড়িতে যেতে ওদের ভাল লাগে ওর নানান কারনে ৷ তবে মূল কারন বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া আর ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ানোর মজা , যা শহরে ওরা পায় না ৷

১১ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪