আমি মূখ্যত অক্ষম!
রাত,বৃষ্টি,নারী,বিদ্রোহ-এ কিছুরই প্রাণ
কোনো ভাবেই আমি দিতে পারি নি,
অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের ঢেউ না হয় বললাম।

যখন রাত্রি নিঝুম চন্দ্র ছাড়া,
তারা ছড়ায় আলো।

শয্যা ছাড়ি আস্তে উঠো সঙ্গী,
না জাগলেই ভালো।

অযু করো নতুন করে।
ফিরো ধীর পাঁয়।

নিশাচরের করুন আওয়াজ,
কানে শুনা যায়।

সযত্নে সাজানো জীবন
নিমিষেই রঙ বদলায়
ভাঙ্গা মনের ভুল সমারোহে
হারাই বেপথে অন্ধকারে ।

আমি নিস্তেজ আমি নিঃস্ব,
আজ কামনার শেষ মোহনায় সারা বিশ্ব!
স্তব্ধ নিস্তব্ধ শত দন্ড শত অব্দ,
তুমি কামনার মহা যাতনায় বিক্ষুব্ধ!

আজ তোর মন খারাপের দিন,
স্বপ্ন যা বর্ণীল।
হারিয়েছে ঠোঁটের কোণে,
কষ্ট হাসিতে।

আলো নিভে গেল
পথিক পথ হারালো
কোথা যাবে সে অন্ধকারে
কোথা যাবে সে বলো।

অপেক্ষায় রেখেছি তোমায় আমি
কত প্রহর গুনেছি এই সময়ের জন্য
হবে কি দেখা কিছু বলার অপেক্ষায়
নাকি বৃষ্টিতে হয়ে যাবে সবই বিবর্ণ

পাঁচটা বছর কাটিয়ে দিলাম আশ্রমের এই ঘরে -
সবার কাছে পরিচিতি এটা - " অভয়া বৃদ্ধাশ্রম " বলে ।
আশ্রমের একটা ছোট্ট ঘরে আমরা থাকি ভিনদেশি তিনজন ,
জরাজীর্ণ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত , কোনক্রমে করি দিনযাপন ।

মনের আকাশ আজ বৈশাখি ঈশান
মেখে থাকে বেদনার ছাই –
ভেতরে গর্জন করে আগুনের লাভা
নিরম্বু চরাচর এঁকে রাখে চৌচির হাহাকার
মৃত্তিকায় এবং আমার বুকের চাতালে।

শিশুকালে গিয়েছে ভেংগে ছোট্ট এই মন- প্রাণ
পাইনি কভু সুখের আভাস, পেয়েছি দুঃখের ঘ্রাণ।
বাবা- মা হারানোর কিযে ব্যখা সেই তো শুধু জানে
যায় কেটে যায় দিবস- রজনী আহাজারী, রোনাজারীর টানে।