দেখেছিলাম তোমাকে আনিতে মধু
চেয়েছিলাম তোমার ভালোবাসাটা শুধু
দেখিনি কখনো এমন মায়া মমতাময়ি চন্দ্রমুখ এ ভুবনে
রেখেছিলাম তোমাকে আমার মনে

আমি মূখ্যত অক্ষম!
রাত,বৃষ্টি,নারী,বিদ্রোহ-এ কিছুরই প্রাণ
কোনো ভাবেই আমি দিতে পারি নি,
অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের ঢেউ না হয় বললাম।

আকাশের অস্তিত্ব কি এখনো অল্প লাগে?
এখন একা একা বিভোর হই সাময়িক আনন্দে-
রাতে স্বল্প ক্ষণের উষ্ণতা শরীরে অত্যাচার লাগে,
একের পর এক স্মৃতির দিন প্রতিদিন নতুন হয়,

কি পেয়েছি কি চেয়েছি থাক খতিয়ান;
নির্ঘুম জোসনা ঝরে শিশিরের সাথে
নৈশব্দ নীলিমা খুলে তারার জেওর,
প্রাতের দুর্বায় চিকচিক জ্বলে মান-অভিমান।

যখন রাত্রি নিঝুম চন্দ্র ছাড়া,
তারা ছড়ায় আলো।

শয্যা ছাড়ি আস্তে উঠো সঙ্গী,
না জাগলেই ভালো।

অযু করো নতুন করে।
ফিরো ধীর পাঁয়।

নিশাচরের করুন আওয়াজ,
কানে শুনা যায়।

জানালার গ্রীলে বন্দী চোখের চাওয়া-
যখন বুঝবে তোমায়
জেনে রেখো সে ব্যাকুল হৃদয়-
বন্দী কারো জানালায়
তুমি ছাড়া আর কারো নয়।

মন ভালো নেই, মন ভালো নেই,
আজ সত্যিই আমার মন ভালো নেই।

ভেবেছিলাম, আকাশ থেকে সাত রঙ
এনে তোমায় গায়ে মাখিয়ে দেবো,
তুমি মানা করে দিলে,

কৌতুক করে যৌতুক নিয়ে
সুখে আছো ভাই,
কষ্টে আছে শ্বশুর বাবা
সুখের দেখা নাই ॥

নির্বাক কণ্ঠেও হয়ত কথা ফুটবে একদিন.....!!
সেইদিন হয়ত সে কথা শোনার মতো মানুষের প্রাচুর্য থাকবে,
কিংবা মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতার প্রশংসায় উজ্জীবিত হবে উপস্থিতি;
বাক্য সমাপ্তির পূর্বেই মূহূর্মূহু করতালিতে প্রকম্পিত হবে হলরুম,
অথবা অতি আবেগি কেউ দাঁড়িয়ে যাবে অভিবাদন জানাতে ।

শিশিরসিক্ত প্রভাত দেখিনা রবি,
স্মৃতিকাতর মনে ভাসে প্রিয়ার ছবি।
ফুলহাতা কামিজ আর কালো চুলের সন্ধি,
প্রিয়ার ছবি আমার মনের ফ্রেমে বন্দি।