কবি ভুলে গেলেন
মাটিতে প্রথম শিশির পড়ার
সোঁদা বাস, নতুন গুড়ের গন্ধ ।
আর ভুখা লোকগুলির হা হুতাশ
"তোমদের নবান্নে আমাদের একটু ফ্যান দিও"

গগনতলে দেখিনা কালো মেঘ আর।
শরৎের এ-ই বুঝি বিদায়।
সোনার ধানে ভরে গেছে ক্ষেত।
মুচকি হাসে কৃষক-বধূ সবাই।

থর থর করে কাঁপছে শিশু
গায়ে নাই বস্ত্র ।
দুসর কালো মলিন চেহারা
সদা খুঁজছে তারা অন্ন ।
ফুট পাতের আবর্জনায়
খুঁজছে শুধু অন্ন
পাঠশালাতে যায়না ওরা
জীবন টা যেন বন্য।

রূপালী নদীর বুকে ভাসে
পাল তোলা নাও
দুকূলে কাশফুলের সারি ঐ
দ্যাখো দূরের গাঁও।

বাবাই কাটব নতুন ধান
মা বানবো ঢেঁকি,
নতুন চালের নানান ধরন
পিঠা আমেজ সয়কি!

আগুন মাসে ফাগুন দেশে
হলুদ মেখে পরীর বেশে
এলো ঐ নবান্ন।
সুরে সুরে, গানে গানে
কৃষক ছোটে মাঠের পানে
আনবে ঘরে ধান্য।

মায়া দিয়ে জড়ানো,
সবুজ দিয়ে মোড়ানো,
আমার জন্মভূমি দলপা ।
ছায়ায় ঘেরা,মায়ায় ভরা,
আমার গ্রামখানি।

সবুজের দিকে চেয়ে থাকি
জুড়ায় আমার দুটি আঁখি
গান গেয়ে যায় কত পাখি
বাংলাদেশকে বুকেতে রাখি।

দূর সৈকত হতে লাদাখ নগরের পথ বেয়ে,
সাদা মেঘের বেয়াড়া দুপুর জুড়ে…
নূপুর বাজায় এসে চিত্রার মিঠে গায়।
বুনো সমীরন ছুয়ে দেয় তারে,অমানিশার বুনো ছলনায়,
শিক্ত প্রাণের আকুলতায়,দুলে ওঠে সোনালী আঁচল তার।

হাজার বছর পরে আমি ভাবি প্রাক্তনের কথা,
এক কৃষক, প্রখর রোদের সাথে যুদ্ধ অথবা অতিবৃষ্টির দৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে ফলিয়েছে ফসল।
সহধর্মিণীর পাখার বাতাসে যার হৃদয় হয়েছে শীতল,