একবার আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল আমাদের এই শহরে। সারাদিন সে কি তুমুল বৃষ্টি। ভিজিয়ে দিয়ে গিয়েছিল পুরো শহর। রাস্তাঘাট, গাছপালা এমনকি চাল চুইয়ে আমার বিছানা। তুমি বারান্দার জানালায় দাড়িয়ে

গোধূলি সময়ের একটু আগে । সূর্য সাগরে প্রায় ডুববে ডুববে অবস্থা। যদিও মাজবির আয়ান এই শত শত আবাসিক বিল্ডিং দণ্ডায়মান থাকার কারণে সূর্য ডুবা দেখতে পারছে না। তবে সময় আর স্পষ্ট ধারনা যে

সাইরেনের তীক্ষ্ণ আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। আসামীর পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা চলছে, কিছুক্ষণ পর ফজরের আযান দিবে তার আগেই একছোট দৌড়া দৌড়ি হয়ে যাচ্ছে, এই জেলে আসার পর থেকে প্রায়ই শুনি

অনেকদিন পর তোমায় লিখতে বসলাম। বলতে পারো অনেক বছর পর। যদিও আমি জানিনা লেখাটা আদৌ শেষ করতে পারব কিনা! তবু লিখব, যতটুকু পারি ততটুকুই লিখব। শেষ করতেই হবে এমন নিশ্চই কথা

নিশুতি রাত। বৃষ্টিতে ভিজে ভেজা কাকের মত একাকী পথ চলছে অনন্যা। কাঁধে একটি ট্রাভেল ব্যাগ। হাজীগঞ্জের অদূরে বলাখাল রেল স্টেশনে নেমে স্টেশন মাস্টারের সাহায্য চেয়েছিলো সে।

মেয়েটির বিষন্ন চোখে রাগ হতাশা কিম্বা কোন ক্ষোভ নেই। আছে সীমাহীন দুঃখ আর স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্ত্রণা। ঐ চোখে তাকিয়ে থাকার ক্ষমতা আমার নাই। আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম। বাইরে হালকা বাতাস বইছে। সেই

চৈত্রের খর দুপুর।ঘর্মাক্ত বালিশ ভেজা তন্দ্রায়িত চোখ,খটখট শব্দে হঠাৎ চোখ মেলে দেখি, মা আমার সেলাই মেশিনে কাস্তমারদের কাপড় সেলাই করছে।বললাম, মা একটু ঘুমিয়ে নাও না- মা বলে নারে তোরা ঘুমা।

লাল চাঁদ বুকে হাত দিয়ে বসে পড়ল।মুখ হতে কথা বের হল না।বুকের মধ্যে আঘাতটা তাঁর বেশী জোরে লেগেছে।বায়ান্ন বছর বয়সে সে অনেকবার আঘাত পেয়েছে।কিন্তু এই রকম আঘাতের অনুভূতি এই প্রথম।

আসসালাতু খায়রুম মিনান নাওম
আসসালাতু খায়রুম মিনান নাওম।

কষ্টকে যে ভয় পায় কষ্টতে সে কষ্ট পায় । কষ্টতে যে কষ্ট পায় সে কষ্ট থেকে বেচে থাকতে চায় । কষ্টই যার জীবনের উপহার হয় তার আর কোনকিছুতেই কষ্ট হয়না ।