ছিলো কত আশা,
আর ভালোবাসা,
জীবনে,

মনে সব আশা,
করবো খোলাসা,
মিলনে।

এখন সময় কেবলই তোমার-আমার,
সপ্তঢঙে চুমু তোমায় প্রেমের উপহার !
সপ্তরঙে সাজানো, সপ্তসুরে বাজানো-
দু:সময় তাড়ানো- যুগল ভালোবাসার ।

দ্যাখো এখনো শহর ভেজা, শূন্যতায় তাকিয়ে থাকা বীভৎস মুখ
বৃষ্টির ঝাপটায় যখন রচিত হয় কালবৈশাখী উপন্যাস-
এখনো প্রচন্ড খরতাপে অসুখ নামের মিথ্যের অজুহাত,
চোখের কাজল বেয়ে জল যখন কসমিক শূন্যতার প্রবল উচ্ছ্বাস
তখনো তাচ্ছিল্যের ঘরে ভুলের ছলে নবতরঙ্গের সুরে উছলে উঠে গভীর নিঃশ্বাস...!

ভালবাসার দুই মেরু বিরহ ও মিলন বিচ্ছেদের মাঝে যার হয় সম্পর্ক সমাপন।
রাগ অনুরাগ ও মান অভিমান ভালবাসার আসল প্রান কাছে টানে যখন সুখের
পরশে ভাসে যেনও স্বর্গ যাপন।

এখানে প্রণয়-ছাপ রাখি
ওদিকে বর্ণ লাগে জলে,
আলো আসে স্বপ্ন মাখামাখি
জীবনের দৃঢ় কৌশলে --

আমাদের আজকে কত কাছাকাছি থাকার কথা ছিলো!
অথচ নিয়তি দেখো আমাদের মাঝখানে কেমন করে দেয়াল এনে দিলো।
আমাদের আজকাল দেখা হয়, কথা হয়-

আত্মার সাথে আত্মার সংযোগ মিলন তার নাম,
মায়ের সাথে সন্তানের যোগ, মিলনের অপর নাম।
আমার মনের যত কথা আমার কাছেই ঘোলা,
মায়ের মনে ঘন্টা বাজে সকাল দুপুর বেলা।

হুমম, বেশ সময় হবে।
বলো তোমার কবে দরকার?
তোমার খোলা চুলে উড়বে শিউলি ফুল,
আর আমি! ঘ্রাণে সতেজ হবো।
তুমি বারবার মানা করবে নাতো।
আচ্ছা, এখনো কি শিউলি ফুল পছন্দ কর?

হঠাৎ সেদিন মৃদু হেসে প্রহর বলে -
আর কতদিন ! জীবন এবার সায়াহ্নের কোলে অস্তাচলের ভেলায়
আমি বললাম, তাই বুঝি !
তুমি বললে, ভালোই হলো -
এবার দুজন দুজনের হাতটি ধরে
চোখে চোখ রেখে
হারাবো অনন্ত ধামে
একসাথে পথ চলবো অনন্তের প্রহরে l

কখনো সখনো নকল মলিন
হয় মনে এই জীবনবেলা
ধুসর বিকেলবেলা
শুধাই অস্ফুট স্বরে ‘হ্যাগা’
বাটপাড়ি অথবা জোচ্চুরি
কিছুইকি হয়নি শেখা লেকাজোকা
জীবন নামক অন্ধকুঠরিতে
গামছা দিয়ে চোখ দুটো বাঁধা