এই ভালো লাগা পেরিয়ে যায় পৃথিবীর যত কাঁটা তারের বেড়া।
কেউ জানল না তবুও আমি নৌকাহীন ঢেউয়ের পর ঢেউ পেরিয়ে
তোমার তীরেই ফেলেছি নিশ্বাস।

ঠোঁট লাল করে, অর্ধেক গা বাহির করে,
দু-টাকার নোটের মতো।
এ হাত থেকে ও হাতে উড়ছ তুমি,
আর কত মুক্তি দেব বল আমি?

যদি পুরো শহর খালি হয়ে যেতো,
আমি আবার সবুজ-পতাকায় লাল রেখা এঁকে দিতাম,
যাতে বর্ণাঢ্য হতো চোষক-পোষক,দেশদ্রোহের ঘেটলা লাল রক্ত!
আমি আবার সবুজ পতাকায় গুচ্ছ বট গাছ ছড়িয়ে দিতাম,
যাতে ফাঁসির মঞ্চে দোদুল্যমান হতো
ক্ষমতালোভীদের হস্ত!

ভবের মায়া সাঙ্গ হলে, মিলবে তোমার দেখা,
সেই আশাতে, সেই নেশাতে ইতি টানে রেখা।
তোমার মিলন, তোমার দেখায় শান্তি আনে মনে,
কপোল ভিজাই, প্রভূ! মিলন হবে কত দিনে!

তোমার চোখের নেশায় যেদিন পুড়েছি,
আজন্ম অভিশাপের তীব্র উওাপে।
হৃদয়ের অন্তঃস্থলে,
সেদিন এক প্রেমের জন্ম দিয়েছিলাম।

হে সৌন্দর্যের তরুণী,
ভালোবাসার তীব্র আকর্ষণ আমায় ভাবায়,
ছুঁয়ে দেখতে মন চায়
তোমার সৌন্দর্যের বেশ বরণ,
উড়ন্ত চুলে চমকপদ মুখের এক মায়াবী আর্বিভাব
হয়তো চন্দ্রমুখী উজ্জলতাকেও হার মানায় !

মন অরণ্যে সারাক্ষণ তোমার প্রজাপতি ভালবাসা,
বন ফড়িঙের তোমায় ছুঁয়ে যাওয়া স্পর্শের সমীরণে
আমায় শীতল ছোঁয়ায় কম্পনে বৃক্ষ লতায় হারিয়ে ফেলা।

পথ ধরে হেঁটে চলেছি
পথে পথে পথের মাঝে
পথ লুকিয়ে আছো তুমি
ধরবো বলে হেঁটে চলেছি

আত্মার সাথে আত্মার সংযোগ মিলন তার নাম,
মায়ের সাথে সন্তানের যোগ, মিলনের অপর নাম।
আমার মনের যত কথা আমার কাছেই ঘোলা,
মায়ের মনে ঘন্টা বাজে সকাল দুপুর বেলা।

এখন সময় কেবলই তোমার-আমার,
সপ্তঢঙে চুমু তোমায় প্রেমের উপহার !
সপ্তরঙে সাজানো, সপ্তসুরে বাজানো-
দু:সময় তাড়ানো- যুগল ভালোবাসার ।