শরৎ এসে চলে যায় কাশফুল গুলো অভিমানে ঝরে যায় এমন করে কয়টা শরৎ যে কেটে গেলো তুমি বিহীন, অধরা তোমারও কি আমার জন্য মন কাঁদে? আমার মতো তোমারও কি মনে পড়ে সেই শরতের কথা?

মাদ্রাসাতে দাখিল পরিক্ষা দেবার আগ পর্যন্ত আমি ছুটির দিন গুলোতে কামলা যেতাম আর বৃহষ্পতিবার এবং সোমবারে বাজারে ভাজা বিক্রি করতে যেতাম।আমার পুজি একটা লোহার কড়া একটা দাঁড়িপাল্লা, একটা চেঙারি আর একটা ফরাত দুটো সালার বস্তা আর একটা কাপড়ের থলে।বাজারে গিয়ে ধারে দোকান হতে আটা পিয়াজ,বেসন,ঝাল,মসলা তেল নিয়ে ভাজা বিক্রি করে পয়সা শোধ দিয়ে লাভটা নিয়ে বাড়ী আসতাম।

বেলা তখন তিনটার কাছাকাছি!
বাবার সঙ্গে মাত্রই দুপুরের খাবার খেতে বসেছি। দ্বিতীয় গাল ভাত মুখে দেবার ঠিক সেই মূহুর্তেই কে যেন সজোরে আমাদের বাড়ির মেইন গেট ঝাকাচ্ছে অমনিই প্লেটের মাখানো ভাত রেখে এঁটো হাতে দরজা খুলতে চলে গেলাম।
"কে?"

শ্রাবনের আকাশ। এই বৃষ্টি এই রোদ। রাতের দৃশ্যপট সম্পূর্ন ভিন্ন। থেমে থেমে বৃষ্টি আর হঠাৎ ্এক ঝলক বিজলী চমকানোর আলো। রাত তখন দশটার কাঁটা অতিক্রম করে চলেছে। কোনো ট্রেন’ই আসার নামগন্ধ নেই। যুবক যেখানে যাত্রা করবে যে কোনো একটা ট্রেন আসলেই হবে।