চীৎকার,কান্না-অত্যাচারের হাসি,
হতাশার আকাশ -আমরা কজন,
স্বপ্ন নেই-নেই আগামীর গান,
শুধু শরীর শিহরন-রক্ত হাসির ছন্দ।

পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে
যাদের বাবা থেকেও বাবা নেই
আপন বাবা সৎ বাবার
মতো আচরণ করে
কষ্টে কষ্টে কাটতে মোর

রাত যখন ভোর হয়ে, আযানের ধ্বনি যখন চারদিকে ছড়িয়ে পরে
তাদের দিন শুরু হয় এক কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে
দুপুর যখন গোধূলি বেলায় পৌঁচ্ছে
বিন্দু বিন্দু ঘামের ভেতর ভাবতে থাকেন পরিবারের কথা
বাবারা চোখে স্বপ্ন ধরণ করেন না
তাদের স্বপ্ন তারা বুঁনে নিজের সন্তানের চোখে ।

কখনো বজ্রকণ্ঠে নীলামে তুলি শ্রাবণ, কখনো পাগল হয়ে চুলকায় এলোচুল
কখনো থমকে দেয় বিষণ্নতার এক একটি লাল প্লাকার্ড,
বুকের ভিতরে দুমড়ে ফেলি, মুছড়ে ব্যাকুল হয় পরাণ!

বাবাদের হাত হয় উষর মরুর কংকর, অমসৃণ কঠিন
চৌচির ফাটল বেয়ে আজন্ম বহমান ঘাম আর রক্তের নহর।
বাবাদের রক্তে ফোটে স্বপ্নের গোলাপ, তারপর
ক্রমশ লাল থেকে ফ্যাকাশে হয়, ঝরে যায় অবশেষে।

বাবার ছবি দেখি আমি তোমার চোখে মুখে
না খেয়ে তাই সকাল-বিকাল আয়ের ভাবনা ভাবে
বাবা যেমন সুখ পায় মনে মোদের দেখে চোখে
আদর সোহাগ ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়বুকে
একটু যদি হতো দেরী ফিরতে ঘরের পানে

পিতার রাত এখন দুঃস্বপ্নের আগুনে পুড়ে ছাই।
চোখের পাতা দুটো যেন খনিজ পাথর
স্পর্শেই
জেগে ওঠে দহন-যন্ত্রণা।
মৃত্যুর গন্ধভরা আবেগে ভরে ফুসফুস।
লাখ লাখ স্মৃতির চাপাতি চারপাশে
ঘুরছে, ঘুরছে অবিরাম।

বাবার ঋণ কখনো
শোধ হবার নয়
বাবার মতো আপন
আর তো কেহ নয়।
বাবার মতো ভালবাসা
কে বা দিতে পারে
¯স্নেহের বাঁধনে আগলে রেখে
বাবাই শুধু পারে।

আমার বাবা চাঁদ আনিবে চাঁদের দেশে গিয়ে
সারা গ্রাম ঘুরে বেরায় আমায় কাধে নিয়ে
পাখ-পাখালির সুরে-সুরে আমার সুর মিলায়
আমি নাকি আসছি তাদের পড়ন্ত এক বেলায় ৷

হায়! এতটা দিন পেরিয়ে আজও বাবার জন্য কাঁদি-
কারণ আমার বাবা যে ছিল চরম মিথ্যাবাদী।
মা যেদিন আমাদের রেখে গেলেন একা
সেদিন থেকেই বাক নিয়েছে আমাদের জীবন রেখা।