হ্যা আমি বাবার কথাই বলছি
ছায়া হয়ে যে পাশে রয় জীবনের বাকীটা পথ।
সন্তানকে যে আগলে রাখে দুহাতে।
রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যে পথ চলে তবু
লাগতে দেয় না এতটুকু আমি সেই বাবার কথাই বলছি।

ঘন্টার শব্দে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি,
আনন্দে নেছে ওঠে আমার এই মন!
কে এসেছে জানো? শোন তবে তাই বলি!

সেই সাদা টুপি খানা দেখি।
সফেদ সেই পান্জাবী খানা
এখনো আতরের গন্ধে ভরা।
মায়ের চোখের জলধারা দেখি
অলস অনেক সকাল দেখি

প্রতিটি দুর্বল পদক্ষেপ হয়েছে সবল
সকাল সাঝে খুঁজে পেয়েছি সাহস অনাবিল
পিতার স্পর্শে জীবন হয়েছে রঙিন
খুঁজে পেয়েছি পথ চলার দিশা সারাবেলা
দূর হয়েছে চলার পথের সকল মুসকিল।

আঁটসাঁট করে বাঁধানো
খিলানগুলো ক্ষান্তি দেয়;
আমার বাবা,
লাভার পরিবর্তে তুষার উদ্গার করে।
শীতলতা ঢুকে যায় তার অস্থিসংযোগে।
আমার বাবা বরফের যুগে
চলে আসে সরে সরে।

তোমার চো‌খের এক‌ফোটা পা‌নির দা‌মে,
আমার চো‌খে এক সমুদ্র ‌দি‌তে রা‌জি।
আমি তোমার আহ্লা‌দি পুতুল মে‌য়ে,
চে‌য়ে দে‌খো তোমার জন্য দি‌বো জীবন বা‌জি।

মাতৃত্বের সাধ পূর্ণ হয় সৃষ্টির পিয়াসে সে তো পিতৃত্বের ঔরসে।
বাবা হলো সারাদিন ব্যস্ত প্রহরের পরে বাসায় ফিরে সন্তানকে কোলে টেনে নেয়ার নাম।
বাবা হলো- মাতৃত্বের অসাড়ে আবশ্যক ছুটে চলা এক অদম্য স্মারকের অনুভূতি।

দু্:খ ভূলানোর মহাঔষধ,
বাবার মত নাই।
স্মৃতিভরা আকাশ সমান,
বাবার মত কই!

তুমি বাবা তাই,
তোমার কোলে বসে আস্ত এক ঝকঝকে আকাশ,
সকাল সন্ধ্যায় লাল নীল ঘুড়ি উড়াই।
তুমি বাবা তাই,

যে আমায় বুকে নিয়ে কাটিয়েছে নির্ঘুম রাত।
যার কোলে - পিঠে কেটেছে আমার প্রভাত।
যার স্নেহের চাদরে ঢাকা আমার শৈশব কৈশোর।
যিনি হাত ধরে শিখালেন পাঠশালায় যাওয়া।
তিনিই আমার পরম শ্রদ্ধেয় বাবা!