স্বাধীনতা তুমি লাখো প্রাণের
কাঙ্খিত মুক্তির পয়গাম।
স্বাধীনতা তুমি দুর্বিষহ জীবনে
মানবতার গাওয়া জয়গান।

মুক্ত হলো ক্রীতদাস
ওই দূরে শোনা যায়
অতৃপ্ত আত্মার কান্না
অভিশপ্ত নগরীর
অভিশপ্ত ভূমি
কেঁপে কেঁপে উঠছে
জানান দিচ্ছে
কিসের আক্ষেপ?
মুক্ত হোক ক্রীতদাস
নরকের মুখ হতে ।

মুক্তির উল্লাসে মেতেছি আমরা
মুক্তি এসেছে কই ?
আজও বাঙালী আছি মোরা
বাংলাদেশী নই !

স্বাধীনতা, তোমাকে স্বাগত জানাতে আমি প্রস্তুত
শুনেছি আমাদের পূর্বে বীর সন্তানরা
তোমাকে তাদের সর্বস্ব দান করে গেছে।
আমাদের আর কোন পরিশ্রম করতে হবেনা।

তোমার জন্য মত্ত অভিপ্রায়
দীর্ঘ দিনের ব্যর্থ প্রার্থণায়
কমতে থাকে দিন বদলের আশা
শরীর জুড়ে মন খারাপের বাসা।

স্বাধীনতা কোনো বস্তু নয় কুড়িয়ে পেয়েছি আমরা।
স্বাধীনতা হল রক্ত মাখা লাল সবুজের ঝান্ডা।

বিজয় তুমি মাঝির হাতে বেঁয়ে যাওয়া বৈঠা।
বিজয় তুমি শীতের সকালে খেজুর গুড়ের পিঠা।

বিজয় তুমি রৌদ্র পুড়া কৃষকের মাথাল ও লাঙল।
বিজয় তুমি গৃহ বধুর ধান উড়ানো কুলা ও আঁচল।

আমি তখন উড়ছি বিজয় মিছিলে ,
পুড়ছি স্বাধীন দেশের উদ্ধত সূর্যতাপে,
জ্বলছি স্বাধীনতার রক্তাক্ত স্বাক্ষরে,
জন সমুদ্রে আমি এগিয়ে যাচ্ছি খোলা ময়দানে।

নিজের অধীনতাই যদি স্বাধীনতা হয়
তবে তো সবার আগে, আমিই স্বাধীন।
কবিতার খাতাকে বানাই জীবনের ক্যানভাস ,
ডাক্তার আকাশের মতো , চাইলেই হতে পারি আকাশে বিলীন।

সীমাহীন কষ্টে বুকের তাজা রক্তে
পেয়েছি নতুন নাম
লাল সবুজের পতাকায় আমার দেশের নাম
এখনো বরর্বতা, তবু কেন নিরবতা ?
আকঁড়ে ধরে স্বাধীনতা
শহিদের রক্তে ভেজা
লাল সবুজের এই পতাকা ।