আমি তখন উড়ছি বিজয় মিছিলে ,
পুড়ছি স্বাধীন দেশের উদ্ধত সূর্যতাপে,
জ্বলছি স্বাধীনতার রক্তাক্ত স্বাক্ষরে,
জন সমুদ্রে আমি এগিয়ে যাচ্ছি খোলা ময়দানে।

লাল সবুজের পতাকা আর
ধান শালিকের দেশ,
বিনিময়ে লক্ষ প্রাণের
হলো যে নি:শেষ।

হায় মানব জাতি, যদি না থাকে বাচি,
পাইবে কি ঠাই, ভাবিয়ে তুলে নাই?
বুকচিরে কাঠচিরে, গড়িয়েছ প্রাচীর,
মুখ বুঝে সয়ে আছে, তোমাদের দেখেছে যে সুখে,
বুড়োর যৌবনে ছিল অরণ্য ।।

রাস্তার পাশে এখনও মানুষের সাথে কুকুর ঘুমায়,
নাকি কুকুরের সাথে মানুষ ঘুমায়-আমি বুঝি না।
ডাষ্টবিনের উচ্ছিষ্ট খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করে,
মানুষ ও কুকুর।

এ কেমন স্বাধীনতা!
কেনো এই উদ্ভট ভাষার অরাজকতা।
নাম নাকি তার বাংলিশ!
উচ্চারণ বাংলা হলেও বর্ণগুলো ইংলিশ।

স্বাধীনতা, তোমাকে স্বাগত জানাতে আমি প্রস্তুত
শুনেছি আমাদের পূর্বে বীর সন্তানরা
তোমাকে তাদের সর্বস্ব দান করে গেছে।
আমাদের আর কোন পরিশ্রম করতে হবেনা।

স্বপ্নো তোমার অস্ত্র হাতে,
স্বাধীন পতাকা তুলে।

প্রতিটি শিশু সিংহ শাবক,
অসীম সাহশ বুকে।

কারণ মানুষ মরে,
গুলিতে দেহগুলো ছিঁড়ে স্তব্ধ হয়ে পরে যায়,
রাস্তার দুই পাশে কুকুর শেয়ালের খাবার হয়ে পরে থাকে,
হাজার ঘষায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন জোনী নিয়ে আমগাছে ধর্ষিত বোনেরা ঝুলে থাকে।
হ্যাঁ, মানুষ মরে যায়!

সীমাহীন কষ্টে বুকের তাজা রক্তে
পেয়েছি নতুন নাম
লাল সবুজের পতাকায় আমার দেশের নাম
এখনো বরর্বতা, তবু কেন নিরবতা ?
আকঁড়ে ধরে স্বাধীনতা
শহিদের রক্তে ভেজা
লাল সবুজের এই পতাকা ।

স্বাধীন চেতা নতুন ভোটার,
চোখের জলে কয়।
একাত্তর এর ধারা টি কি ?
মিথ্যা জলে খোশবয় !!