চারিদিকে নষ্টের ছড়াছড়ি।
নষ্টের দোষে সংক্রামিত মানুষ।
মানুষের মনে কোন শান্তি নেই!
শান্তির চোখে কোটি ফুটা অশ্রু।

শালীন সমা‌জের বিত্তশীল মো‌ড়ে
ময়লা মাখা পঁচা দুর্গন্ধ শরী‌রে
য‌দি শিশু এক নি‌জের প‌রিচ‌য়ে
আঙ্গুল তো‌লে সুশীল সমা‌জে
উত্তর কি দি‌বে বন্ধু???

আমারও একটা মন ছিল
সেই মনে এক ঘর ছিল
ঘর জুড়ে এক সিন্দুক ছিল
সিন্দুকে এক হাঁড়ি ছিল
তার ভেতর কিছু কষ্ট ছিল
কষ্টগুলো নীলবর্ণ ছিল

চল যাই-চল না যাই- সেই নগ্ন মগ্নতার ছবির হাটে !
সেখানে ছিল দুষ্টুমি মাখা বেঞ্চ রুম জানালা,বারান্দা-
আর নানান রঙে রাঙানো ঘাসফড়িং মেঠোপথ ,মাঠ ঘাট;
সেখানেই চল -চল না যাই- একটু মুখমণ্ডল মগ্নতা হই।

বর্ষা মরশুম শেষ; প্রকৃতি উল্লাসে-
বড়ো মাতোয়ারা দেখি; রোদ্দুরের রঙ্গ
এখানে বদলে গেছে। মেঘেদের সঙ্গ-
দুর্গার জন্য অপেক্ষা; পূজা কাছে এসে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগের নেংটা যাপিত জীবন
এসেছে আবার ফিরে
পশু আর মানুষের গলাগলি
মেঘের সাথে আকাশের কুহক কোলাকুলি।

শ্যামবাজারে ধাক্কা হল
মদন আর বিলে'
চেঁচিয়ে উঠে মদন দিলো
বিলে'র কাঁছা খুলে ।।

নিস্তব্ধ শীতের রাতে সততা'র অন্তর্বাস খুলে
নিবিড় রমনী দাঁড়িয়ে থাকে আজও ওই খোলা আকাশের তলে!
জীর্ণ পাতা'র মতো পড়ে থাকে সে
তোমরা দলিত করো তাকে বার বার, অজস্রবার!

বক্র তোমার চাহনি
নগ্ন চোখের পাতা
বসন্ত প্রকৃতির নগ্ন সবুজ রঙ
বক্র শরীর, সফেদ দানা, গোলাপ
নগ্নতার ধুসর রঙ, কল্পনা।

আমি শুধাই 'ওরে পাগল
কেন রে তুই নগ্ন ?'
হেসে দিয়ে পাগল বলে-
'আগে বলুন বাংলা কেন ভগ্ন ?

আমি গন্ধ পাচ্ছি ঐ মানুষ গুলোর
যারা ভালোবাসে মানুষের রক্তকে।
ওরা রক্ত খেতে ভালোবাসে
ওদের যখন তৃষ্ণা পায় ওরা
ওরা পানির বদলে রক্ত প্রাণ করে।

আকাশের কিছু নীল
রক্তের কিছু লাল
তৃনলতার কিছু সবুজ
ময়ূরের একটি পালক
বাকি সবি পেলাম রংধনুর কাছে।

এ পাখীর নাম জানি
জানি, সুদূর নির্ঘুমতার পাহাড় ছাড়িয়ে তার আপন জলাভূমি
যেখানে শীতার্ত গাছের নিঃশ্বাসে কোন রঙ নেই
নেই মেঘেদের পুনর্জন্ম অথবা শিশুকাল

তুমিত শুধু ঘৃনারই উপযুক্ত
কারন তুমি রাস্তায় বাঁচ
রাস্তায় জীবন কাব্য রচনা কর।

নিরব রাতের স্রোতে, অবিরত বইতে থাকে
নিশিদিন প্রতি রাত ,
চলে, চলতেই থাকে , একটুও থামেনা তো!