আজ বিকালে আমার প্রিয় বাবলা গাছের তলে,
বসে ছিলাম, তোমাকে আমার হৃদয়ে ধারন করে।
সাথে ছিলো মোর প্রকৃতি সুন্দর
আরও ছিলো চড়ুই পাখি

সেদিন ,
চৌরাঙ্গির মরে তোকে দেখলাম।
অনেক অনেক দিন পর।
নয় নয় করে পাঁচ পাঁচটি বছর
কেটে গেছে।

তুমি ছিলে আস্তকুড়ে
কষ্টে অতি কুঁড়েঘরে
নিলাম বুকে তুলি
ছোট্ট ছিলে অনাদরে
আদর দিলাম বুকটা ভরে
ফুটলো তবে কলি।।

আজ পহেলা বৈশাখ। সকাল হতেই চারদিকে উৎসবের ছড়াছড়ি। চারদিক থেকে ভেসে আসে "এসো হে বৈশাখ এসো এসো..." গান। সকালেই বৈশাখী ঝড়ের আলামত নিয়ে আসে ঘন কালো মেঘ।

কষ্টে একটা জীবন মানবিক হতে পাশবিক হয়?
কেউ তার খোঁজ রাখে না
অপরাধের বিচার হয়
কারণ অপরাধ দৃশ্যমান, ব্যথাতুর, জ্বালাময়
অপরাধের নেপথ্যে যা, তা নেপথ্যেই রয়ে যায়

অবহেলায় ঠেলেছি সময়, যৌবন ফেরিয়ে সামনে
হেলায় হেলায় কাল বুঝি গড়ায় স্রোতশিনির ধারায়।
মোহনীয় কমল ফোটে জলের উপর, শেকড় গভীরে,
শুকায় নদী, ঝর্ণাধারা অবহেলায়, ধুঁ ধুঁ বালুচর। চৌচির জীবন।

আমায় সবাই ভালোবাসে
শরৎ,শীত,হেমন্ত,নদীর ছলাৎ ছলাৎ বা একমুঠো চৈতি বাতাস।
সকালের রোদ আমার কাছে এসে সব বলে যায় – বলে ওর ভালোলাগা,পছন্দ,অপছন্দ ।
সেদিন তো মেঘ এসে ডিরেক্ট বলল, চলনা কবি নিরুদ্যেশে যাই

সকাল থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে শখানেক বার মোবাইলে চোখ বুলানো হয়ে গেছে রাফিনের। আসেনি সেই প্রতিক্ষিত ফোনটি । এমনকি কোন এসএমএস ও না। অবশ্য অস্থ‌িরতা বা ধৈর্য্যর অভাব রাফিনের স্বভাবের সাথে একদমই যায় না। অন্তত সে‌ নি‌জে তাই মনে করে।

আমার সমস্ত জীবন যায় নাটকীয় ভাবে হেলায়-অবহেলায়
তবুও আমি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি, সবকিছু অবলীলায় ভুলি
আমি যেনো কোনো এক শিরোনামহীন অরণ্যের বেভুলা ফুল

অবাক বিস্ময়ে পৃথিবী দেখি,দেখতে হয়;
অতি পরিচিত মানুষটি যখন আমাকে দেখে,
দু'দিনের পরিচিত মানুষটির পেছনে নিজেকে আড়াল করে....!!

প্রায় মধ্য রাতেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
উঁচু দালানের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে
চলে যাই অনন্ত আকাশে
সকালের অাগেই ফিরে আসি
দেখি ভোর হওয়া

ক্ষণজন্মা নামে সম্বোধন করলাম।সে চলে গেছে ফ্যাকাসে দেহকাঠামো অবশিষ্ঠ রেখে।সেদিনও নানান মুখে একটি কথায় শুনতে পেলাম।
-আহা,কি সুন্দর ছিল মেয়েটা!

কেউ তোমাকে অবহেলা করলে ...
আর যদি তুমি বুঝতে পারলে ...
তবে এইবার , এইতো-
অবহেলাতে একটা কাচের পেয়ালায় টেপের পানিতে গুলে
সালুনের ঝোলে কিছু লবন কম দিয়ে পেয়ালার সবটুকু ঢেলে

আজ রাতে অনিকের কিছুতেই ঘুম আসছেনা। বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফ্যান চালিয়ে কম্বল গায়ে ঘুমাতে ভালবাসে অনিক। কিন্তু আজ আর ফ্যান চালানো সম্ভব নয়।

আমি একাত্তুর দেখিনি
গল্প শুনেছি
বাবার কাছে, আমার মায়ের কাছে!
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে বেড়ে উঠেছিলাম।