একদিন এই পৃথিবীর আলো আমার চোখে পরবে না,
ভোরবেলা মুয়াজ্জিনের কন্ঠটাও হয়তো কানে যাবে না,
পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিও হয়তো শুনতে পাবো না,
কুয়াশা ঘেরা ভোরে;

তোমার চুলের কাটার অভিনব কৃষবেনীতে
গাঁদা,জুই,মল্লিকা ফুলেরা
লুকোচুরি খেলে শব্দহীন
তোমার হাতের মুঠোয়
সন্ত্রস্থ গোলাপ কাঁদে

সামান্যতে আমি
রেগে যাব এত,
এমন করে ভুলেও
ভাবেনি সেতো।

বন্ধু অনেক শতক জানালা
খোলা হয়নি ৷
মনে পড়ে
সূর্য দেখনি কতকাল?
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে
বৈভবের সিন্দুক আগলে
তুমি অতন্দ্র যক্ষ ৷

তিনি সুন্দরের নির্দেশনা দিয়েছেন বারংবার
ছিল মানবজাতির জন্য অফুরন্ত আশীর্বাদ
অথচ,অমানুষ আর পশুত্বের ভীড়ে-
আজ গিজগিজ করছে পৃথিবী!

থরেবিথরে পরে আছে সব মৃত বিবেক,
মৃত বিবেকের মিছিল আজ দুর্বার,
একেকটি বিবেক যেন একেকটি লাশ,
লাশকাটা ঘরে শুয়ে পরার মিছিল।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর গুরুস্থান-

“আমার ভাষা মধুর ভাষা
এ আমার মাতৃভাষা,
এ আমার প্রানের ভাষা
এ এক যাদুর ভাষা,

সে আমার জন্য,
কখনো অপেক্ষা করেছে কিনা
আমি জানি না।
মাঝরাতে যখন
ঘুম ভেঙ্গে যায়,

এই মেয়ে এলোকেশে দাড়িয়ে কেন?
বিষন্নতার পৃথিবী তোমাকে জোড়িয়ে রেখেছে যেন।
মায়ার ছাপ মুখে নিয়ে অপেক্ষা কিসের শুনি?
মায়ামাখা মুখটা উচ্চারিত করতে চাচ্ছে কি কষ্টের ধ্বনি?

তোকে আকাশের তারা ভাবতে ভালো লাগে ,
কিন্তু বিশ্বাস কর ওদের মত করে নয়!
তোকে কলেজ ম্যাগাজিনে প্রথম পাতায় দেখতে ভালো লাগে,
কিন্তু বিশ্বাস কর ওদের মত করে নয়!

আঁধফোটা দুটি গোলাপ স্বপ্ন
চলছে আনমনে গোধুলী লগ্নে।
সন্ধ্যার পাদদেশ ছুঁয়ে কখন যেন
বেরিয়ে এল আলোক রেখা ।

জীবনে যতই বাধা আসুক,এগিয়ে যায় হয়ে নির্ভীক,
জীবন কোন সাধারন বস্তু নয়,জীবনটা ঐশ্বরিক।
জীবনের কোন পদে বিপদে মানি নাকো আমি হার,
জীবনটা কারো দয়ায় পাওয়া নয় বরং ঐশ্বরিক এক উপহার।

তোমার কাছেই অগস্ত্য যাত্রা
তোমার কাছেই নিবিড়তম হারানো,
মহাপরিক্রমায় অসম্ভব সব গতি
যখন তখন যায় না ছোটা ফেরানো ।

কে আমাকে হাসায়-কাঁদায়
কোনো সাগরে ভাসিয়ে তিঁনি
বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়,
ডানে বায়ে বাঁকা পথে
আমি যতই সামনে চলি
নিত্য নতুন আজব খেলায়।

তীব্রো ব্যাথা ভারাকান্ত হৃদয়ে যখনি অভিমানের পাল তুলে হারিয়ে যাবো আত্নহত্যার মিছিলে,
তখনি ঐশ্বরিকতা সুর তুলেছে অনুভবের ছায়াতলে।