“হে মানব! তোমাকে দেয়া হলো বাছাইয়ের সুযোগ,
জ্ঞান না ঐশ্বরিক উত্তর - কোনটা নেবে?”

তোমার কাছেই অগস্ত্য যাত্রা
তোমার কাছেই নিবিড়তম হারানো,
মহাপরিক্রমায় অসম্ভব সব গতি
যখন তখন যায় না ছোটা ফেরানো ।

তিনি সুন্দরের নির্দেশনা দিয়েছেন বারংবার
ছিল মানবজাতির জন্য অফুরন্ত আশীর্বাদ
অথচ,অমানুষ আর পশুত্বের ভীড়ে-
আজ গিজগিজ করছে পৃথিবী!

যখনি ভাবি একটু এগিয়ে যাই,
তখনি পাশে দেখি তুমি নাই।
একি জ্বালা দিয়ে মোরে,
আছ তুমি দূরে সরে।

সময়ের চীরে অসময়ের জলছাপ
নিগ্রো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে স্যাঁৎসেতে অবসাদ
যেনো নক্ষত্র-নিয়নবাতি- জোনাক আলো
হরিয়ে ফেলেছে নিজস্ব কৌলীন্য!

যত দূর দেখা যায় তুমি প্রাণায়ম
সাজানো বাগান জুড়ে অনন্ত অহম
ভেতর রাস্তায় আরও অতল যাত্রা
নাই আছে গভীরের সুজয় সুমাত্রা

তুমি কে!
কি নামে ডাকব তোমায়?
কেউ বলে তুমি ভগবান
যারা খ্রীশ্চান,
শুধু কি শোন তাদেরই কথা!
আজ এসেছি তোমারই দ্বারে
দেখব তোমায়, বলব আমি তোমার সাথে কথা।

নগরী'র শরীর বেয়ে গলে পড়ছে নির্মল পাপ
এখানে এখন নির্ভয়ে বিহঙ্গী'দের মেলা বসে
থেকে থেকে ছড়ায় শুধু ওরা নরকের উত্তাপ!

কি এমন মুগ্ধতায় তুমি
দিয়েছো আমায় স্বরণ,
আমি কি পারি দিতে তোমার
সকাশে মরণ বিসর্জন?
ব্যর্থতা মানে আত্মনাশ; মানিনা
এই বিধি আমি,
ব্যর্থ হওয়া প্রতি খানা কর্ম
সফলের শুরু জানি

একাকি চাঁদ জেগে থাকে সারা রাত
তোমায় পরেছে মনে,একাকি সংগোপনে
বুকের ভেতর গড়েছি স্বপ্ন
কষ্ট দিয়ে ঘেরা তার জন্ম

কি দিয়া বানাইল আঁখি
চোখ মেলে সবই দেখি,
খোদায় যা দিল মোরে
তারই নাম আঁখি।

সে আমার জন্য,
কখনো অপেক্ষা করেছে কিনা
আমি জানি না।
মাঝরাতে যখন
ঘুম ভেঙ্গে যায়,

আজ প্রকৃতিতে ফুল ফুটেছে বলেই
নতুন মহা-বসন্তকাল জাগরণ ধ্বনি
পরিচ্ছন্ন ও নির্মল অন্তরে বাঁশির ধ্বনি শুনি
ময়ুর পালকের মতো রূপমাখা আনন্দ উৎসব

-কাল তো মিনারে রাখা পঁচন ধরা ফুলগুলো কেউ পরিষ্কার করতে আসবেনা,,
কাল তো তুলির আলপনা সেন্ডেলের ময়লায় মুছে যাবে,,

তুমি বিশন্য ক্ষড়ার বুকে ঋণদাতা
জমাট বাঁধা একটু ক্ষড় ছাঁয়া
তুমি শিশির ক্রুজে ভেঁঝা শীতঋতু
সকাল সাঁজাও একটু মমতায়
তুমি সাঁজঘরে চাঁদের পলকবাহক
সময়কে করো তুমি রংঙিন