এতো ভালোবাসা নয়,
করেছো ছলনা!
তবুও কেন তোমার প্রেমে
আছি পরে
জানি না কোন সে মায়ায়,

নাগরিক পথের নিয়ন আলোয়
একা দাঁড়িয়ে থাকা
কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটির সাথে

মনে পড়ে কি তোমার-
একদিন সমুদ্র তীরে পড়ন্ত বিকেলবেলায়
হাতে -হাত রেখে বলেছিলে,
'তুমি আমার, আর আমি শুধু তোমারি
হয়ে থাকবো চিরকাল।'

এই হৃদয়টা দিলাম খোলে-হাওয়ায় তোড়ে উড়িয়ে
বুকের বামে রেখে তুমি-প্রাণটা নিয়ো জুড়িয়ে।
ভালবাসি বড্ড বাসি-সে-কি তুমি জানো না?
প্রেমের টানে তবে কেনো-আমায় তুমি টানো না!

বাংলাভাষাই ছিল আমার প্রথম ভালোবাসা! কি হলো? এমন ভাবে হাসছো কেন, আমার কথা শুনে? বলছি তাহলে শোন, বাংলাকে এত ভালবাসি কেন?

ভোরের গোলাপ- করছে বিলাপ
রৌদ্রছোঁয়া না পেয়ে,
আকাশ পথে- মেঘের রথে
দুঃখ আসছে ধেয়ে।

রাত্রের ভালোবাসা,
রোদ্দুর হয়ে হৃদয়ে উঠুক।
আমি শিশিরের মাঝে তোমাকে খুজবো।

দু’আঁখির বিদ্যমান প্রেমে ভেসেছি উম্মাতাল পারাবার
পেয়েছি অনন্ত সুখের ছোয়া সুকোমল পরশে নিত্যদিন
বুকের জমিন চষে বুনেছি ভালোবাসার বীজ অনন্ত
ভুলেছি দুরন্তপনার খেয়ালী সময়ের ব্যাস্ত আলাপন

ভালোবাসারা
আর প্রেম হয়ে
ফুটে না।

দেখায় না
মুক্তির পথ
বিশ্ব- মানবতার।

মাঘের বিদায় ফাল্গুন আসে,বসন্ত তোমায় স্বাগতম কহে!
পলাশ ফোটে,বেলীর মালা,কৃষ্ণচূড়ার রঙ কজনের জোটে..
ঋতুর রাজা বসন্তে তাজা, স্মৃতিচারণে অর্জুনের পাতা,
কির্তনখোলা নদীর তীরে, তুমি যদি অনিন্দিতা হতে ।

যখন তুমি কথা বল
আমি বিমুগ্ধ চিত্তে শুনি।
যখন তুমি হাস
আমি হৃদয় দিয়ে উপভোগ করি।

যত অভিমান করে নাও তুমি,
তাতে নাহি কোন কিঞ্চিত ক্রোধ,
তবু তোমার স্নেহ কোলে রাখিব মাথা,
যেদিন দৃষ্টিপটে পড়েছিল তুমি,

তুমি কি আমায় একটুও ভাবো,
নাকি তোমায় আমি ভাবি একা?
তুমি কি আমায় স্বপ্ন দেখ,
নাকি দুঃস্বপ্ন সেটা?

প্রিয়তমা!
এখানে তোমার কি আছে?
ঘনবরফের স্মৃতি!
শীতের কুহেলীতে চাঁদরে জড়ানো ওম!
ঝড়েপরা হলুদপাতার উপড় একফোটা শিশির,

সরল মনের মানুষ যারা
ভাবছ তুমি বোকা
তাই চিরকাল তোমার কাছে
খাচ্ছে তারা ধোঁকা।