মনে পড়ে কি তোমার-
একদিন সমুদ্র তীরে পড়ন্ত বিকেলবেলায়
হাতে -হাত রেখে বলেছিলে,
'তুমি আমার, আর আমি শুধু তোমারি
হয়ে থাকবো চিরকাল।'

হারিয়ে যাবে বলে ছেলেটি
বাড়ি ফেরেনি;
বাড়ি ফেরেনি মেয়েটাও
হারানোর নেশায়।

এতো ভালোবাসা নয়,
করেছো ছলনা!
তবুও কেন তোমার প্রেমে
আছি পরে
জানি না কোন সে মায়ায়,

ওগো নন্দিনী 'মোর ভাবনার ভামিনী'
নিত্যদিনের প্রেম নিকেতন সঙ্গিনী।
প্রেমময় তুমি তাইতো সুন্দর এই ধরণী!
আমার সর্ব হারাতে রাজি—

মাঘের বিদায় ফাল্গুন আসে,বসন্ত তোমায় স্বাগতম কহে!
পলাশ ফোটে,বেলীর মালা,কৃষ্ণচূড়ার রঙ কজনের জোটে..
ঋতুর রাজা বসন্তে তাজা, স্মৃতিচারণে অর্জুনের পাতা,
কির্তনখোলা নদীর তীরে, তুমি যদি অনিন্দিতা হতে ।

বৃষ্টি-ভিজে সর্দি-জ্বরে
যখন মাথায় ব্যাথা,
পট্টি করে কে দেবে গো
তেলাকুচোর পাতা ।

প্রেম তুমি সকাল বেলার নরম রোদে
চায়ের কাপের গরম জলের ধোঁয়া,
স্নেহের আচলে পরম যত্নে গিটে বাঁধা

রাত্রের ভালোবাসা,
রোদ্দুর হয়ে হৃদয়ে উঠুক।
আমি শিশিরের মাঝে তোমাকে খুজবো।

মাত্রা বাড়াও!
বাড়াতেই হবে সখী –
সকাল – বিকাল - সন্ধ্যায় কিংবা মধ্যরাতে,
মিশিয়ে দাও ভালবাসা শিরায় শিরায়।

নাগরিক পথের নিয়ন আলোয়
একা দাঁড়িয়ে থাকা
কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটির সাথে

কোমলতার; ভালবাসা-
দেখার কি আর বাকী ছিল?
মমতার ঐ আলতো ছোঁয়া,
নতুন করে জানার ছিল।
আমার কিছু বলার ছিল।

মাথার ওপর সূর্য ঝরায় লোহিত অভিমান,
তোমার প্রখর রূপের ছটায় সেও বুঝি আজ ম্লান।
আগুন-রাঙ্গা আলতা পায়ে দাঁড়ালে আলসেতে,
এসেছিলাম অনেকটা পথ তোমার দেখা পেতে।

তোমাকে প্রথম দেখা তারপর পরিচয়,
অল্প অল্প করে নিজেদের জানা
এই বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ, এই ক্যাম্পাস,
লাইব্রেরী ও ক্যাম্পাসের গাছগুলো কত পরিচিত!

অনেক ভালোবাসি প্রিয়া তোমায় আমি
অফুরন্ত প্রেম
অসীম ভালোবাসা
শুধু তোমার জন্য।

একটুখানি হাই হ্যালো
মেয়েটিকে মনে ধরলো,
নামটি শুধু জানি
বলতে চায় না গ্রামটি
কোথায় বাড়ি খানি ।