দৃষ্টি পড়ে যখনি,তুমি বদলেছো প্রতিনিয়ত,
এক নতুনত্ব।
কোনটা যে তোমার আসল সৌন্দর্য
কোন রুপে আছে সত্য।

তোমাকেই মনে পড়ে
বড় বেশি খনে খনে,
তুমিকি আমারই আছো?
নাকি আজ অন্য জনে?

বর্তমানে দাঁড়িয়ে
স্মৃতি খোঁজি বৃষ্টিস্নাত দু'চোখে।
নিশিথের নাবিকের মতন, তরঙ্গ ভেদ করে ফিরে যাই-
বিশ বছর আগে...

কৃষ্ণচূড়া ফুলে আজ বেদম লেগেছে আগুন,
শুভ্র মেঘমালায় লুকাল বুঝি স্তিমিত অরুন।
ঘাসফুলের রক্তিমতা আজ গোধূলীতে বিলীন,
নীল অপরাজিতার মধ্যিখানে ভূরগ হল আসীন।

হয়তো আমি এখনও আধারে, তোমায় হাতরে বেড়াই
এখনও যেন সপ্নলোকে, তোমাকেই ফিরে পাই
হয়তো এখনও বেহায়া এ মন, লুকিয়ে আলতো করে
ভাবছে তোমায়, আঁকছে ছবি নিজেরই অজানায়
সবটুকুই হোক তোমার, যেন সূর্য ও চাঁদের মাঝে

কালোমেঘে ঘেরা আকাশ হয়তে,
হঠাৎ করে আসা না বলা বৃষ্টি,
হিমেল হাওয়ায়,
ভিজিয়ে দিল দুটি শরীর।

তুমি যা করেছো,
সেটা তোমার অপরাধ
তোমাকে ঘৃণা করতে পারিনি কখনো
ভালবাসি অনেক বেশি তাইতো...

তাহার প্রেমে আমি প্রেমিক হয়ে উঠেছি, যাঁহার কাছে আমি নিজেকে সপেছি। আমার কল্পনায় যাঁহার ছবি এঁকেছি, পদচিহ্ন এঁকেছি বুকে।

আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন জেগেছিল প্রানে,পাখির ডানায় ভর করে নয়।
দিগন্তকে সীমাহীন করে সমস্ত বাংলা জুড়ে,স্বপ্নটাকে সত্য করেছিল বাংলাবাসী।
এ প্রেম দেশপ্রেম,এই প্রেমোদায় আমি কোথায় রাখি!
আজাদের মা স্বপ্ন দেখেছিল—

সেদিন আকাশ ছিলো মেঘলা, ছিলো ইলশে গুড়ি বৃষ্টি
অচেনা এক গ্রামের চেনা নদীর তীরে আমার সাথে সুলক্ষী
ভেজা ঘাসে বসে স্রোতধারা জল, দূর আকাশে শালিকের ডানা ঝাঁপটানো..
আমরা ভিজে একাকার.. কথায় কথায় বেলা গড়িয়ে যায়

বৃষ্টি-ভিজে সর্দি-জ্বরে
যখন মাথায় ব্যাথা,
পট্টি করে কে দেবে গো
তেলাকুচোর পাতা ।

এক টুকরো আকাশ কিনবো তোমার
নামে!
বড়
সাইনবোর্ডে লেখা রবে “এখানে পাখিদের
ওড়া নিষেধ,
ওড়বে না কোন
প্রজাপতি কিংবা কিশোরের
লাগামহীন ঘুড়ি”

আঁচলের ভেজা চুলে, ওগো সোহাগিনি!
ক্ষণিক দাঁড়ালে এসে, তোমার উদাস-
চোখে ঝরিতেছে জল, বহিছে বাতাস-
এলোচুলে, এলোকেশে; কতইনা চিনি,

তখনো ভোরের আলো আকাশের বুক চিড়ে পৃথিবীর বুকে উঁকি দেয়নি;
সূর্য তার ভালোবাসা নিয়ে মেঘের বুকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে,
প্রকৃতি হয়তো কিছু ঘটার অপেক্ষায় সমীরণের ঘনঘটা দিয়ে যাচ্ছে;

রূপালি চাঁদের আলোয় উঠেছে উত্তাল সাগর,
সে সাগরের জল কণায়
বেঁধেছি তুমি আমি ঘর।