ভাজা বাদাম একরকম প্রেমিকার মতোই স্মরণীয়
তাই প্রতিদিন দু-টাকার বাদাম কিনে খাই যাতে

খুব ইচ্ছে ছিল
তোমার প্রসূন হাতের কোমলতায়
রাখবো আমার হাত।

ফ্ল্যাট বাড়ির কার্নিশে হেলান দিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে দয়া

পাগলাটে চোখে ভেজা শেষরাত্রির
ভয়ানক চঞ্চূর হাসিতে
জর্জরিত বিভ্রমে দুই সূর্য ;
সব জড়ানো আবেগ ফিকে হতে থাকে অবশেষে অতঃপর..

হয়ত সে রকম কিছু হবে না।
তখনো আমায় নিয়ে তুমি সুখি হবে,
সুখি হবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরীর মত।

তোমার চোখের জল দেখতে খুব ভাল লাগত
আর কান্না দেখতে আনন্দ । তাই প্রাত্যহিক
কাজের একটি, তোমায় কাঁদানো, দুঃখ দেয়া।
প্রথম প্রথম তুমি কাঁদতে তারপর
লক্ষ করলাম তুমি কাঁদতেও ক্লান্ত ।
তখনও সব শেষ হয়নি, কিছু বাকি ছিল।

বক্ষে ধরে রাখিস মাগো মরণ যেদিন হবে আমার;
বক্ষে ধরে রাখিস।
যাসনে ভুলে তুই আমারে হাজার ছেলের ভীড়ে;
রাখিস মনে বাসিস ভালো দিসনে দূরে ঠেলে।

তোমার ছায়ায় নির্ভরতা
পাহাড় কুঁদে বেরিয়ে আসা ঝর্ণার অনাবিল ধারায় সিক্ত করি মনের উত্তাপ;
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি অনুপম কোন এক খোদাই ভাস্করের
মসৃণ হাতের নিখুঁত কারুকাজ।
শক্ত নির্জীবের মাঝে কোন্‌ সে জাদুর ছোঁয়ায়...
ছিঁড়ে আনা যায় এমন জীবন্ত জলধারা!

স্তুতি রত সবে মিলে-সোনার মন্দিরে-
উত্তম মন্থর অতি শান্ত তার গতি।

কতদিন না দেখে থাকা যায়!

তোর থেকে দূরে থেকে থেকে
দূরত্বের অভিশাপ কুড়োতে ভাল্লাগে না একদম।
তবু আকাশের খুব জায়গার অভাব,

তোমাদের তাপ-নিয়ন্ত্রিত কক্ষে
তোমরা ঘুমাও স্বামী-সংসার নিয়ে;

দৃঢ়তা কোমলে গড়া জনকের মুখ
নীল জোছনায় ছেনে অহর্নিশ জাগে

বর্ষার দিনে আমরা দুজন, একটি মাত্র ছাঁতা।
বর্ষার বিকাল আমাদের ছোঁয়, ঝরা বৃষ্টির ফোঁটা।
পাশাপাশি হাটা ছোঁয়াছুঁয়ি লাগা, তবু নীরবতা।
চোখে চোখ পরে লাজুক ঠোঁটে, মুখ লুকিয়ে হাসা।

ঘড়রি কাটায় বঁেধে রাখি সময় যুগরে পর যুগ
তার চোখে চোখ রখেে হাড়য়িে যাই পাপড়রি আড়ালে

হৃদয় মাঝে গড়ে ওঠা
ওরে আমার পুষ্পিতা
পাইনা খুঁজে কোথাও তোরে
তুই যে আমার কল্পনা ।