বাবার প্রত্যেকটা ফেরার সাথে ঘামের গন্ধ থাকে ক্লান্তি থাকে
অচিরাৎ তা আমার ঘুম অবধি পৌঁছে যায় অনায়সে
ঘুম যখন টুটে যায়; বাবা তখন ভোরের কাক হয়ে আকাশে
আমি হয়ে যাই লালা ঠোটা টিয়া!

লক্ষ-কোটি ভ্রুণের ম্যারাথনে
বিজয়ের হাসি হেসেছিলাম,
দশমাস মায়ের গর্ভে পরম মমতার স্পর্শে
অনেক অহংকারে পৃথিবীর বুকে এসেছিলাম।

অধরা, নিশিকাব্যের পঙতিতে
তোমায় আমি ধরেছি,
বড় আপন করে নিয়েছি,
দেবনা আর কোথায়ও যেতে ।

হু হু শব্দে সু মধুর গান মুখে
ঢেউ খেলানো অঙ্গে রঙ্গিলা সখে,
ভুতুম দীঘির ঘাটে,
কোমরে বিছা পায়ের নুপূরে
কলসী কাঙ্খে হাসি বদনে তাকায় সে ।

খুব চেয়েছি তোমাকে পেতে, খুব কাছে;
যতটা কাছে থাকলে হৃদয়ের রক্ত সঞ্চালনের শব্দও কানে পাওয়া যায়।
তোমার চেয়েছি অতটা আপন করে,

অস্থির শহরের ব্যস্ততায় কদাকার জ্যাম,
নষ্ট সময়ের খেরোখাতায় আঁচড় কাটে বিরক্তির নখরে।
সারি বেঁধে বাড়ে যন্ত্রের জট,
ঘর্মাক্ত শরীরে লেপ্টে থাকে ক্ষোভের প্রলেপ।

কত সুনিপুণ তুমি
কত সুনিপুণ;
চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি
দেখি তব গুণ।

রোদেলা দুপুরে ক্লান্তি কাটে রেশ
হে ধরনী তুমি সেজেছোতো বেশ!
আরও কত রঙ্গীন সুবর্ণ সৌন্দয্য
বিরল বহুল্য আছে রুপ।

আজ মনে হয় কাল সকালেও তোমার হাতে তুলে দিছি রক্তগোলাপ।
নির্জন-পার্কের সবুজ ঘাসে বসে শুনছি তোমার সেই মধুসংলাপ।
নীলআকাশের কোলজুড়ে দেখছি শুধু ভালোবাসার মধুময় হাসি,
এখনও তাই মন যে বলে সেখানটাতেই বারেবারে ফিরে আসি।

ভালোবাসা ঝরে পড়ুক বৃষ্টির মত
ঝরে ঝরে সমুদ্র হয়ে যাক
সে ভালবাসার সমুদ্রে সাঁতার কাটি
এক একটি রাত বিলিন হয়ে যাক
তোমার আলিঙ্গনে

তোমাকে ছাড়া আমি
বেমালুম নিজেকে ভুলে যাই
পরাধীন হয়ে থাকি নেতার কথায়
ভাড়ায় খাটি, জ্বালাই পোড়াই,
নেই কোন পিছুটান বাধন শাষণ
ঠোটে তুলে নেই গনতন্ত্রের মিথ্যে ভাষণ
ধর্মের তকমা এটে দোয়েলের মষ্ণ কাপাই।

শব্দ খেলা মানে শুস্ক সাঁতারে ভিজা-
ঠোঁটের অদূরে ঝরে পড়া জলকোণা!
বুকের অনীশে শত রাঙা ধূসর বেদনা-
শব্দমালা তো সে আর বুঝে উঠে না?

আকাশের মতোই বিশাল স্বপ্নের পৃথিবী আমার
এক স্বপ্ন ভেঙ্গেছে তো হাজার স্বপ্ন আছে আমার ,
স্বপ্নরা আগ্নেয়গিরির মতো উদগিরন হবেই তার
সব বাধা সংশয় কাটিয়ে জেগে উঠবোই আবার ৷

বর্তমান জীবনের একটা দিনও
আমাকে ভালো চোখে দেখেনি।
প্রতিটা দিন আমাকে Insult করে।
শুধু ভাবে আমরা সমাজের অবাঞ্ছিত ছেলে।

ইচ্ছে ছিলো আকাশ ছোঁবো,
তারায় তারায় গল্প লিখে দুঃখগুলো ছাপিয়ে দিয়ে,
শেষ বিকেলের কাব্য হবো।