দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি কোনদিন কারণ দর্শানোর নোটিশ পাননি। কিন্তু তা নিয়ে তার ভাবনা নয়---ভাবনা কারণ দর্শানোর কারণ নিয়ে।

শান্ত সুবোধ লক্ষী ছেলে হয়ে এস, এস,সি পরীক্ষা দিয়ে শেষ করলাম। আমাকে আর পায়কে; সারাদিন ছড়া আর কবিতা; যাকে কাছে পাই তাকেই শুনাই।

একদিন বৈশাখ মাস জব্বার স্যার দেরী হয়ে গেছে দেখে খুব দ্রুত স্কুলের দিকে যাচ্ছেন। মাঝ রাস্তাতে শুরু হল কালবৈশাখী। তার মধ্যেও তিনি বহু কষ্টে স্কুলে পৌছালেন। হনতো-দনতো হয়ে ক্লাসে ডুকে দেখেন এক পাশের চালা উড়ে গেছে। সেদিনও তিনি মনে খুব কষ্ট পেলেন।

হির উদ্দিন তার মনের গোপন ইচ্ছা থেকে পিছিয়ে এসেছে। সে আর আত্মহত্যার কথা ভাবছে না। মানুষ দেখা তার শেষ হয়নি এখনো। মানুষ দেখা জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতা।

ভালো মন্দ,আলো অন্ধকার এসব কিছুই বাবা মা হাতে কলমে চিনিয়ে দেবার কাজটি করতেন। অথচ আমরা? আজ আমরা আমাদের সন্তানকে সুস্থ,সুন্দর শিক্ষা দিতে পারছি না!

আজ আমাদের স্কুলটি বন্ধ । ছাত্রদের কলকাকলিতে মুখর হয় না স্কুল প্রাঙ্গণ । নির্জীব পড়ে আছে স্কুল বিল্ডিং।

বিনোদবাবু আমার শেষের দুটো ক্লাস করে দেবেন । আজ একটু তাড়া আছে । পরে এডজাস্ট করে নেব

" জীবনটা আজ সাদাপাতা ...
লেখার কিছুই নেই।
মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি ...
পুরনো আমি সেই।

মুক্তিযোদ্ধা নাসির মনে মনে ভাবে, একজন অফিসার টাকা না খেলেই বুঝায় সে একজন সৎ মানুষ কিন্তু সে বুঝে না যে, কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ওই সততার কোন মূল্য নেই

আমাদের চারপাশ বদলে গেল। শুনশান শান্ত এক প্রান্তর, চারদিকে সবুজ। ঘাস ফড়িং উড়ে বেড়াচ্ছে। আমরা জটলা পাকিয়ে দাড়িয়ে আছি। হঠাৎ গগণ বিদীর্ণ রণন।

উত্তপ্ত রৌদ্রে হাঁটছেন মিনহাজ মাস্টার।ছাতা মাথায় ও লবণাক্তজল উপচে পড়ছে।স্যাঁত স্যাঁতে শরীরে চোখেমুখে বিষণ্ণতার ছাপ স্পষ্ট।দুটো বিশ টাকার নোট ছাড়া পকেটে তেমন কিছু নেই।

বহু পুরনো এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর মুখ আজ এক কর্মকর্তার মুখে।
একটা প্লাস্টিকের বল যা কখনও ফুটবল ছিল না হয়ত সেটি আজ খেলা করে ডালের বাটিতে পুচ্ছ পাখনার সাথে।
একটা ফুটবল।
একটা আইড় মাছ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিষ কিন্তু এত সু বিশাল।

তুই যে এতো বছর ধরে প্রতিদিন এতগুলা কইরা সিগারেট টানিস আমাদের কেমন লাগে? সন্তান কি জিনিস বুঝতে পেরেছিস? তোর সন্তানকে সিগারেট খেতে দেখে তোর ভিতরটা যেমন পুড়াচ্ছে। আমার সন্তানের জন্যেও আমার এরকম পোড়ায়।'