যান্ত্রিক নগর জীবনের রুদ্রশ্বাস বাস্ততা শেষে
আকাশবিস্তীর্ণ ক্লান্তিময় নিথর দেহ বিছানায়

অন্ধকার পূর্ণতা পায় কালোর বন্যায়,
রজনী তৃপ্ত হয় স্নিগ্ধ সকাল বেলায়।

ঝরে যাবো । যেন নির্ভার শিশির ।
এ রকম সাবলীল । বীতশব্দ, বিভা ।

আন্তরিকতায় নিস্তব্ধ প্রতিটি রাতে
আমি অনুভব করি তোমাকে,

কত বসন্তের শেষ টুকু নিয়ে
এক শিউলীর ভরা যৌবন

বায়বীয় ভাবনার বেড়াজালে আটকে পরা মানবীয় বাসনা
আশা-নিরাশার দোলায় বিকশিত হতে থাকে---, পায়না পূর্ণতা ।

আমি ভালবাসি তোমাকে
তোমার হাত আঙ্গুল নখ

চোখের আঙিনা জুড়ে উদাসী প্রহর খেলা করে চুপি চুপি -
বিলাসী বাতাসের মৃদু চুম্বনে

পৃথিবীর সবটুকু সুখ আমি-
শুষে নিতে চাই আজ একপাত্র সুরার মতন।

তোমাকে একটু ছোঁব বলে আশার বসতি বেঁধেছিলাম বুকে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অপেক্ষায় অতিবাহিত ক্ষণগুলো

মেয়েটির চিকন কোমরে ছেলেটির হাত
ছেলেটির চওড়া কাঁধে মেয়েটির মাথা

আমাদের শহরের কবিরা পূর্ণতা পান না কিছুতেই
পূর্ণতা পাবার আগেই মৃত্যুর মিছিলে চলে যেতে হয়।

অপূর্ণ মনের যত অনাকাঙ্ক্ষিত গ্লানি, বঞ্চনা, ব্যথা, কত কথা
এক জীবনে ঘটে যাওয়া কত জীবন কাহিনী, সফলতা, ব্যর্থতা!

ঠোঁট যেন তার নয় কোন ঠোঁট,
সিঁদুর রাঙ্গা মেঘেতে গোলাপি ভোর।

অদৃশ্য হতে আমি হস্তান্তর হই মাতৃগভে
মাতৃগভ থেকে ভূমিতে