ঠিকানাহীন হওয়া বড়ই বেদনার, অত্যন্ত কষ্টের, ভীষণ দুঃখের। কারো স্থায়ী ঠিকানা না থাকা অপরাধের পর্যায়ে পড়েনা, এটি একটি সামাজিক এবং রাষ্ট্রিয় ব্যর্থঁতা। দেশে আমাদের পূর্বপুরুষের ভিটে ছিল, বাড়ি ছিল, স্থায়ী ঠিকানা ছিল। সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্যের কষাঘাতে সে ঠিকানা বেদখল হয়ে গেছে।

লোকটার বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তামান্না আমার কষ্টটা কমিয়ে দিয়েছিল। ওর স্পর্শ আমার মন থেকে কষ্টের কথা পুরোপুরি উধাও করে দিল।

জয়ী অবাক হয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল রুতীনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে । চোখদুটো জলে ভরে ওঠে । বলে - আমরা যে গরীব । দুঃখ আমাদের চির সঙ্গি ।

জালাল সাহেবের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আফজাল সাহেব । তিনি বর্তমানে একটা এতিম খানার সুপার । তার রুমেই বসে কথা চলছিল দু’বন্ধুর মধ্যে । পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল । তার মতই এতিম খানার আর সব বসতি তাকে আবাল বলেই ডাকে ।

অনুপমা খুব অসুস্থ কয়েকদিন ধরে। পড়ালেখার জন্য অনুপমা ঢাকাতে থাকে ওর ফ্যামিলি থাকে গ্রামের বাড়িতে। অনুপমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখানের ২য় বর্ষের ছাত্রী। অনুপমা কয়েকজন বান্ধবীর সাথে বাসা ভাড়া করে থাকে ধানমন্ডিতে।

কতো কথা কতো স্মৃতি
ভালোবাসা প্রেম প্রীতি
সব কিছু আজ যেন মিথ্যে,
পাগল করা হাসি যে তার
দেখতে চাইনা আমি আর
আগুন ধরিয়ে দেয় চিত্তে।

হাজার বছর আগেই
সূর্য্য চলে গেছে পাটে
চোখ বন্ধ করে পরে আছি
যেন শতাব্দির নির্ঘুম রাত
শব্দেরাও ঘুমিয়ে গেছে
সারা দিনের ব্যস্ততায়,

আজ অবদি একটা পশুর দেহে আবদ্ধ থাকা তোর প্রাণটা এখন আত্মা হয়ে কোথায় গেছে কে জানে, আত্মা তো আর পশু নয়! তুই ভালো থাকিস্, নিশ্চই আমার সাথে তোর আবার দেখা হবে। দুঃখ করিসনা, তবে হ্যাঁ; আজকের দিনের জন্যে আমাকে ক্ষমা করে দিস্ ...

খালগ্রামের মাটি ফেলা আঁকাবাঁকা সড়কটা পার হয়ে ভাঙা স্কুলঘরটাকে পেছনে ফেলে আরেকটু এগুলে ছোট একটা বাজার মতো কিছু জটলা সবসময় লেগেই থাকে, কয়েকটা ছোট-বড় সড়ক এসে মিশেছে বাজারটার সঙ্গে,

শাদিপুর। একটি ছোট গ্রাম। বসতি হাজার পাঁচেক। স্বাধীনতা পর শিক্ষার ছোঁয়া লাগে নি সে গ্রামটিতে। তবে আর দশ বছরের ব্যবধানে শিক্ষার কিছুটা ছোঁয়া পায়।

আজ বিজয়ের জন্ম দিন। আজ বিজয় দিবস। বিজয়ের দিনে জন্ম হয়েছিলো বিজয়ের। তাই প্রতি বছরই বিজয় এই দিনটা একটু আলাদা ভাবে পালন করে। মাতৃভুমির বিজয়ের দিনে নিজের জন্মদিন।

সে পরিবারের সন্তান খেয়ে না খেয়ে, অন্যের ছেলে মেয়েকে পড়ায়ে নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যায়, ভালো একটা ডিগ্রী নিয়ে সে কি করবে। এই প্রশ্নের জবাব দিবে কে?

কেয়া , বৃষ্টিতে ভিজবে? হঠাৎ কায়সার বলে উঠলো
-
তোমার এই শরীরে?
-
একদিন বৃষ্টিতে ভিজলে কিছু হবে না ! তুমিইতো বলতে !

ইমন ভাই বৃষ্টি ভালবাসে।তার মতে যারা নাকি
বৃষ্টি ভালবাসেনা,তারা নাকি অন্য কাউকে
ভালবাসতে পারেনা।বৃষ্টি হল আকাশের কান্না।

গত কয়েক দিন আগে স্ত্রী চলে গেছে, না ফেরার দেশে । স্মৃতিরা এখনো ধুসর হয়নি, জীবনটা যেন বোঝা হয়ে গেছে আরিফের কাছে । একটা সুন্দর সুখের ঘর বেঁধে ছিল ভালবাসার মানুষ রোকসানার সাথে ।