যৌবনে বিগলিত চিত্ত পঙ্কিল-পুকুরে দেয় ঝাঁপ
ইন্দ্রিয়ের কাছে বিবেকের অবাঞ্ছিত টানা পরাজয়।

আহত হই । আহত হোতে থাকি ।
আর কিছু দিয়েছে কি সংবেদন ?

এত যে আঘাত এত ক্ষত ।
এত যে আঘাত এত নুন ।

এখন মনে হচ্ছে, সমস্তু সত্তায় তুমিই আমার কৈশোর প্রেম, বাল্যপ্রেম, যৌবন -প্রেম এবং তুমিই আমার শেষ প্রেম,

তুই কি শুধু আমার হবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি
শুষ্ক চোখে রোদন হয়ে
অশ্রূ কণা পড়বে বয়ে
চোখের জলে নাও ভাসাবি

একদিন,- বহুদিন পরে, এলো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে,
পাড়া পড়শী ভেঙে আসে,কত দিন পরে দেখা হে-
সে কবে গেছো, গিয়েই ছিলে আমাদের যেন ভুলে,

আশা-আকাংখা আর বিশ্বাস টলোমলো হলে
বেদনার সুর যাতনা বাড়ায় হৃদয়ের তন্ত্রীতে ,
ইতিহাসের প্রথম হত্যা এখনো দুঃখ ছড়ায়
সভ্যতার শেষ হাসি বাসি হয়ে বেদনা বাড়ায়

রাতের আকাশে জ্বলন্ত তারাগুলো
কখনো কালো মেঘে হারিয়ে যাচ্ছে,
কখনো আবার চাঁদের আলো এসে
মনের খোলা জানালায় খেলা করছে।

প্রিয়জনের সুখ লাগি কত ব্যথা বুকে মাগি
তবুও হয় না পরিত্রাণ ।
জীবনস্মৃতি থেকে শত কাহিনী ঘেঁটে
দুঃখের মানদণ্ডে করি সুখের সন্ধান ।

তুমি কি আমার, গুমরে মরা আর্তনাদ শুনতে পাওনা মা?
খসে পড়ে যাবে যে নক্ষত্রটি অচিরেই
যার আগমনে উচ্ছ্বাসিত হবেনা এই জনপদ
আজ তাকে বিদায় দেয়ার জন্য, কত আয়োজন!

তুমি দুঃখ না হয়ে সুখ হতে পারতে
হেরে ও তবে ভালোবাসায় জিততে ।।

তোমার কি কখনও ইচ্ছে হয় হারিয়ে যেতে
অনেক আনন্দ আমার কিছুটা না পাওয়ার বেদনা নিয়ে?
যদি এমন হয় তবে যেন আমাকে ভুলে যেও না-

কষ্টো হল মনে
যাব একা বনে।
রইলো না কেউ পাশে
যে ভালবাসে।

সত্যি বলছি..
তোমাকে ছাড়া চলছে ভালোই।

জীবন নামের বহতা নদী
বইছে আপন মনে,,
স্রোতের মাঝে সুখ খোঁজে
কেউবা ক্ষণে ক্ষণে,,

আনমনে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন ধূলিউড়া পথটির বাঁকে
স্তব্ধ আমি, মানুষের আনাগোনা দেখার ছলে ভাবছি ফাঁকে।
ভাবনারা সীমা ছাড়িয়ে গেছে, আমাতে যেনো ছিলাম না আমি
বেশ কিছুক্ষণ একাকিত্বের এ প্রহরে হয়তো এসে থামি।