ছোট একটা অদ্ভুত রকমের দেখতে যান নিঃশব্দে মাঠের মাঝখানে এসে নামলো । কিছুক্ষন পর সেই যানটার থেকে দু-জন দেরফুট মাপের মানুষ গোত্রীয় লোক বেরিয়ে এলো ।

যুগটা এখন অস্থিরতার । বিজ্ঞান উদ্ভাবন করে চলেছে আরাম আয়েস আর ক্ষমতা দখলের মারনাস্ত্র । যা ছিনিয়ে নিচ্ছে কারো জীবন , কারো বা

মাথার মধ্যে সূক্ষ্ণ একটা ব্যথা চিনচিন করছে। হাত পা সব অবশ হয়ে আছে। ঠান্ডা লাগছে প্রচন্ড। মনে হচ্ছে গায়ে কেউ যদি একটা কম্বল দিয়ে

পৃথিবী ধ্বংসের পরে এর উত্তপ্ত বুকে প্রথম প্রাণের স্পর্শ...এক্সের বড় নাতনী শাক্স। দাদুর শেষ ইচ্ছা পূরণে একবারটি এসেছে সেই

আমেরিকার নৌবহর গুলো সবসময়ই পাহারায় থাকে। কারণ তাদের মাথায় চিন্তা বেশি। তাদের কখন আক্রমণ করে বসে। যদিও কেউ তাদের আক্রমণ

এই রক্সেনডিকের শহরের প্যারাকুট গলিতে পুরনো সব রোবটের বাজার বসে, কেউ পুরনো রোবট কিনতে আসে, কেউ আসে রোবটের পার্টস কিনতে। এ শহরে দেবী গড়ার মতো বুড়ো আরাকাস রঙতুলি ধরে, প্যারাকুটের পাশে রেডস্ট্রিটে নিলামে উঠে শত শত হিউম্যানয়েড/ জেমিনয়েড রোবট, বিক্রি হয় ক্রীতদাস।

বেলা ১০ টা। বাইরে সূর্যদেবের অকৃপণ আশীর্বাদ বর্ষিত হচ্ছে। আমি এসি রুমে আত্মগোপন করে আছি। বাইরে টেম্পারেচার ৬০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। স্কিন জ্যাকেট ছাড়া বাইরে বেরনো অসম্ভব। মাথার ঘিলু অব্দি শুকিয়ে যাবার জোগাড়। কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে রোদে দশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই যথেষ্ট।

আমার লাশটা যেনো সোনালীর কবরের
পাশে ওই বকুল তলায় দাফন করা হয়""
মরে গিয়ে অন্তত ওর পাশে থাকতে পারবো""...!!

আমি আমার সকল চিন্তা ভাবনা আমার রেকডিং যন্ত্রে রেকর্ড করে তাদের কূড়ে ঘরে রাখলাম। তারা দুজন এখন জমি চাষ করছে । আমি বনের বাইরে এসে একটা বলয় তৈরি করলাম।

-কসম খোদার, এই কাম আমি করি নাই। আমি আপনার ‘লাভ বটিকা’ কস্মিনকালে দেখি নাই। নিমু কই থেইকা?

আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম...
ফজরের আজান হচ্ছে। এই আজান শুনে অনেকেই ঘুম থেকে জেগে উঠবে। কিন্তু আমাদের ঘরে কেউ জাগবে না।

হিমঘরে ঘুম ভাংলো ক্লারার ।ক্রয়োজনিয়াম ধাতুর তৈরী একটা ক্যাপসুলে শুয়ে ছিলো বছর খানেক ।নতুন একটা গ্রহে অবতরণ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো ।মুল নভোযান থেকে ক্লারার স্কাউট শীপ নতুন গ্রহে অবতরণ করতে শুরু করলো ।

আজ ‘অনন্যা’র জন্মদিন। শহরের অদুরে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে গড়া অত্যান্ত মনোমুগ্ধকর বাগান বাড়ি। দেশী বিদেশী হরেক রকমের বাহারি

কিছু মানুষ ছিল, আছে পরাজয় যাদের ছুঁড়ে ফ্যালে হতাশার মরুভূমিতে। কোনো কাজে এ শ্রেণীর মানুষরা একবার পরাজিত হলে সেই কাজ

বিবো আমাকে দেখে খুব মিষ্টি করে হাসে। তারপর আমার দিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকে। আমি হেসে বলি , তোমার নামটা তো বলবে ? . অনেকটা রোবটের মতো গলার স্বর ভেসে এলো। কাঁপা কাঁপা গলায় সে বললো , বিবো।