গত নভেম্বরে ঢাকায় এসেছিলাম চাকুরীর সন্ধানে। এর আগের মাসের ১১ তারিখ ‘হ্যাপী’ বাড়ি চলে গিয়েছিল। খবর পেয়েছিলাম তিন মাস পর বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে আবার আসবে।

নদীর তীরেই খুঁটি গেঁড়ে বসেছিল ,
স্রোত ঝঞ্ঝা উথাল পাথাল

ফুটপাতের এক কোণে ঘুমিয়ে থাকে বশির । ভাল জায়গাগুলো বড়রা দখল করে ঘুমায় । ও তো ছোট, আর গায়ে জোরও নেয় যে ওদের সাথে ভিড়বে । এখানেও দখল হয়,

শ্রমজীবি মানুষ যবে
সম্মান কর সবে,

মানুষের সব আশা পূরণ হয় না। কোনো কোনো আশা অপূর্ণ থেকেই যায় । তবে আমার বেলাতে এর ব্যতিক্রম হবে কেন? আমারও অধিকাংশ চাওয়াই পূরণ হয়েছে।

মা আমি এখানে বেশ ভালো আছি
খাওয়ার পরার কোনো অভাব নেই।

আমি দিন মজুর, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলীর ছেলে
ছোট ভাই মধু চায়ের দোকানে কাজ করে

দেশ এখন অনেক এগিয়েছে ।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দৈহিক শ্রমজীবীদের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে বহুলাংশে । এক দেশ থেকে অন্য দেশের কাজ সম্পাদন করা যাচ্ছে ।

শুধু ভালোবাসি বলে তো ইস্তাফা দেইনি আমি,
এক বুক আকাশ ভালবাসি বলে থামিনি,

তপন দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু তার উৎসাহ অনুপ্রেরণা দারিদ্র্যের যাতাকলে চাপা পড়েনি। তার মা বিভিন্ন ঝুটা কাজ করতো। সে যখন একটু হাঁটতে শিখেছে

কৃষক শ্রমীক, মেহনতি মানুষ,
সদা জাগ্রত থাকে তাদের হুশ।

পথের মাঝে দাঁড়িয়ে কাঁদছে যে শিশু,
কি তার অপরাধ?

আমাদের শ্রমে তৈরী প্রাসাদে শুয়ে
যদি ওরা ভাবে.

হাতুর পেটার শব্দ ভেসে
আসে সহস্রাব্দের ওপার হতে,

আজকাল অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাই ।
কঙ্কালসার দেহে-