শুকনো পাতার মত মরমর করে বাজে
বুকের কোটর,

চব্বিশ বছর পর রাস্তার অলিগলিতে পুনরায় হাঁটা
তোমার ফেলে যাওয়া পরিত্যাক্ত বস্তুসমুহ নিয়ে বাঁচা

তার কাছে আমার কি দায়-দেনা
হিসাব চাইলেও দিতে পারবেনা

ধমনী খসে খসে পড়ছে অস্থিপুঞ্জ নিষ্প্রভ করে
বক্ষপিঞ্জরে নেই জীববিদ্যার ক্ষুদ্র জ্ঞান, শুধুই আকৃতির ধন্দা

আজ বহুদিন পরে,
নিজেকে নিয়ে ভাবার ফুসরত মিলেছে কিছুটা-

তুমি এমন কিছু কথা বল
যে কথা শুনে আমার চোখে আসে জল,

দূর- বহুদূর হ্রদের উপর দিয়ে উড়ে আসা নীল প্রজাপতিটা
তার রঙ- বেরঙের ডানায় করে বয়ে এসেছিল সুখবর-
তুমি আসবে।

আমার রাত কাটে চরম উদাসীনতায়
জীবিকার প্রয়োজনে কাটে দিন।

কথা ছিল আমার সাথে ঘর
করবে তুমি।

বুকটা যে মোর ব্যথায় ভরা
কষ্টে ভরা মন,

খোকা, ভেবেছিলাম তোকে এসব কোনোকিছুই আর জানাবনা।
অন্তত এমনটাই ছিল তোর বাবার মৃত্যুকালীন কঠিন নির্দেশ।

আজ ও অস্ত্রীক আমি
আজ ও ঐ কক্ষেই থাকি আমি

বিশ্বাসের চুড়ায় দাড়িয়ে একদিন
তোমাতে সঁপেছিলাম নিজেকে

জীবন অনবদ্য এক ক্যানভাস,
সুখ দুঃখ হাসি কান্নার,

যখন এলে হেমন্ত শেষের গোধূলিক্ষণে
শীতের তীব্রতায় কাঁপেনি আমার পাঁজর