আমার লাশ ঝুলছে,
তিন পাখায়, নীল রঙের সাজানো ঘরে।
আমার শেষ নি:শ্বাস
অনেক গল্প লিখে রেখে গেছে নি:শব্দে
টেবিলে রাখা স্তব্ধ সাদা নোটে।

গালচে এখন হরিত ঘন, দু’মাস পরে পাবকশিখার স্বর্ণরাগে
আহা! গোলা ভরে উপচে গড়ায়;
এমন গাঁয়ে প্রথম আমার ঘোমটা খুলি।

রোজকার মতো কাঁচের দরজা ঠেলে
তোমাদের আসা যাওয়া ছিলো,
দিবারাত্র যখন তখন ,বলে না বলে।
শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে – একান্তে দুজনে
আমার যুবতী মন কেঁপে ওঠে সেকি শিহরনে ।

আমি কারো যোগ্য নই কোনো
না প্রেমিক , না ভাই , না বন্ধু , না পুত্র হিসেবে ।
শুধু আওড়াই বড় বড় ফাঁকা একপেশে বুলি পুনঃ পুনঃ ।
খুব একরোখা আমি

আপনার কাছে -
আমার মাথাটা বন্ধক রেখে গেছে ইংরেজরা
তাই নিয়ম হিসেবে মাথার মালিক আপনি |

তোমার জন্য খুব মায়া লাগছে
চোখ বুঝতেই তোমার কথা মনে পড়ছে .
বুকের ডানপাজরে
বারবার ঘন্টা বেজে উঠছে

চোখ ডলতে ডলতে,আড়মোড়া খুলতে খুলতে,
আমি ছুটে চলি স্বপ্নের তালা খুলতে।
বহু দূরের পথ,মেনে চলা শপথ,

বুকের গভীরে যেখানে ভালবাসার দোলাচল, সেখানে
আমার নিত্য চলাচল ভবঘুরে পথিকের মত।
তোমার উদাস চোখ যে পথের দিশা খোঁজে সেখানেই করি বাস।
অথচ কিছুতেই দুজনার হতে পারিনা দুজন কিছুতেই।

আমি একবার কাকতাড়ুয়া হব।
নিশ্চল,নির্ভেজাল কাকতাড়ুয়া।
কৃষক জমিতে ফসলের বীজ
ছিটিয়ে দিয়ে আমাকে রেখে যাবে পাহারায়।

শেষ বিকেলের আলোটা বিলিন হতে হতে
ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে।
সন্ধ্যার আয়োজনটা বড় মায়াবী।

বাইরের রোদ্দুর নেই,
ভাইরাস জ্বর নেই,
আবেগ আর অস্তিত্ব নেই,
টানাপোড়েন নেই,
মাথা ব্যথা রোগ নেই,

দমকা হাওয়ায় ঘুরপাক খেয়ে,
ঘুটঘুটে অন্ধকারে শূন্যতায় পতিত
আদুরে মিষ্টি সুরে কেউ সমবেদনা জানায়নি,
ভালোবাসার আঁচলে বাঁধা হইনি তাই হয়তো
ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস আমাকে ছাড়েনি।

তুমি আমার আপন হবে
তোমায় আমি কাছে পাবো
জানিনা তো প্রিয়া আমার
এখনো কি আমায় ভাবো?

হয়ত-----
আর চার-পাঁচটি লাইন লিখতে পারলেই সেও ছুঁয়ে
দিতে পারতো স্কাইলাইন, ব্যালকনি থেকে মহাকাশ
মাত্র তো দু'মিনিটের পথ;

তোমার নীলাকাশে মুক্ত পতাকা উড়ুক চিরকাল ধরে আমাদের বিজয় গাথা মহাকাব্য লিখা হোক ইতিহাসে বাঙালী মানে অসীম সাহস বিশ্ব মাঝে উন্নত উঁচু শির।