শেষ বিকেলের আলোটা বিলিন হতে হতে
ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে।
সন্ধ্যার আয়োজনটা বড় মায়াবী।

দৈন্য ঘরে জন্মো তার ,
তার শৈশব শুরু নিবে যাওয়া আলোতে ।
অর্জন করবে সে বেশ কিছু ,
তবে নেই তার বিত্ত কিছু । কি করি কি উপায় ?

চাঁদ অভিমান করে
মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকে নেয়,
কত নিশি জ্যোৎস্না দেখা হয় না।

ভালবাসা টা তুলে রেখেছি আমি
তোমার সাথে জ্যোৎস্না রাতে
ছাদের উপর চায়ের সাথে বিস্কিট ভিজিয়ে ভিজিয়ে
রোমান্টিক কবিতা আবৃিতি করব
তুই আর আমি মিলে।

সোনালি সূর্যটা তার প্রচন্ড উত্তাপে পুড়িয়ে দেয়,
বর্ষণ শুরু হলেই বৃষ্টিরা আমাকে ভিজিয়ে দেয়,
আমার ঘরেই বেঁধেছে দুঃখের ছোট্ট আস্তানা,
তবুও আমি বাঁচতে চাই ।

বেঁচে থাকার সংশয়!
যেনো পতঙ্গ প্রেমাবর্তনে
বিরহ; অনন্তকাল অক্ষয়।

আকাশের ওই বুক মাঝারে কিসের যেন অপূর্ণতা,
রৌদ্র নেই,বৃষ্টি নেই কিসের যেন শুণ্যতা৷
আলো আছে বাতাস আছে তবু যেন কেমন লাগছে,
হাড় কাঁপানো মাঘের শীতে সবাই দেখও কাঁপছে৷৷

আমি বৃক্ষের মত ভালোবাসবো তোমাকে,
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে,কালবৈশাখী ঝড়কে উপেক্ষা করে
সহস্রাব্দীকাল ঠায় দারিয়ে থাকবো ঐ মেথুলাসের মত।

আমার এ বাড়িতে আসা যাওয়া তোমার হয়ে গেল এখন পর
আপন করিতে আর পারিবে না আমায় থাকবে পরের ঘর।

আমি কিছুটা সময় ধংস হতে চেয়েছি
কিছুটা সময় অন্ধকারে কাটাতে চেয়েছি
আমি কিছুটা সময় তোমাকে ছুয়েঁ দগ্ধ হতে চেয়েছি
কিছুটা সময় তোমাকে হারানোর যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাসে লন্ডভন্ড হতে চেয়েছি

কোথায় যেন কতকাল
সে ছিল বিহ্বল-বেসামাল,
চোখের সম্মুখে রোদ আসে রোদ যায়
বৃষ্টি এসে যায় ঝড়ে যায়
পাখীরা গান গেয়ে যায়
ফুল গুলো ফুটে যায়

পালটে যাব বলে
বুকের ভিতর একটা পাথর চাপায়,হাজারটা।
পালটে যাব বলে
স্মৃতি গুলো রোজ গলা
টিপে টিপে মারি।

প্রতিটি বরষার রাত এইভাবে আবেগ তাড়িত,
গড়াতে গড়াতে শুধু ভেঙে যেতে থাকি।
চলার পথে দাঁড়িয়ে থাকে স্বপ্ন
চলতে চলতে স্বপ্ন দেখলে হোঁচট খাব পাথরে,

কেমন আছো অন্তর! জেগে আছো, নাকি ঘুমিয়ে পড়েছো?
তোমার রাতের আকাশ জুড়ে কী এখনও নীল মুনিয়া উড়ে যায়;
তুমি কি দেখতে পাও সেই মুনিয়া পাখির নির্ঘুম রাতের একাকী কষ্টগুলো;
সেই কষ্ট কী তোমাকে একবারো আলোড়িত করে যায় না?

হয়ত-----
আর চার-পাঁচটি লাইন লিখতে পারলেই সেও ছুঁয়ে
দিতে পারতো স্কাইলাইন, ব্যালকনি থেকে মহাকাশ
মাত্র তো দু'মিনিটের পথ;