সেদিন ঘুরতে গিয়েছি সাগর তীরে
হঠাৎ দেখি এক রূপবতী কন্যা
দাড়িয়ে আনমনে সাগর পাড়ে।

তুই কি জানিস তোর আগমনে
নহলী স্বপ্ন সাজলো নয়নে,
ঘুমহীন হয়ে দিবানিশি তাই
মানসনেত্র জাগে ...

হাতের বাঁধন খুলতেই সেই ঘোড়ারোগ
শুচিবায়ু রোগের কফিনে আবদ্ধ তার
গ্রীবা মগজের তারগুলি আর মুখ
ভালোবাসি বলতেই এক হাত সরে
গিয়ে বললো, এ্যাঁ! মনটাকে ধুয়েছো তো?

প্রেয়সী তুমি,
প্রথম বিকেলে মরীচিকা ভেঙ্গে তোমাকে কুড়াই
সযতনে তৃষ্ণার্ত এই একলা আমি ।

রমণী তো ধেয়ে আসা কৃষ্ণবিবর
অজানা রহস্যে ভরা অদৃশ্য ব্ল্যাকহোল
তাবৎ মহাবিশ্ব টেনে নেবে নিজের গহীনে
মায়াবী এক সম্মোহনী আকর্ষণে
ঘুটঘুটে অন্ধকার রমণীর ভেতর
বৃথা তার তল খোঁজে পুরুষ পাগল ।

তোমায় নিয়ে কবিরা লিখে কত কবিতার শব্দের মালা
তোমায় দেখে কেউ বা আবার প্রেমের গান গেয়ে যায়,
তোমায় ভেবে কেউ বা বানায় তাজঁ মহলের ঘর
তেমনি নেপোলিয়ন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো পুরো ট্রয় শহর।

সেজেছে আজ স্বাধীনতা জমকালো এক সাজে,
নয়া খদ্দের পাবে বলে ।

পড়নে তার লাল জামা ;
খোপায় সবুজ ফিতে ।

আমি পরিবার চিনি,সমাজ চিনি, দেশ চিনি,বিশ্ব চিনি
কোন্ কঠিন বাহু আমার পথকে আগলে দাড়ায়?
আমার উদ্যম গতিকে যারা গতিময় করে
আমি তাদেরই একজন।

স্রষ্টা যত সৃষ্টি দিয়ে সাজালো ধরণী,
তার মাঝে অপরূপ হলো যে রমণী।
পূত মনে দাও যদি তোমার সুদৃষ্টি,

রমণী তুমি রূপের আঁধার
পৃথিবীর কারু কাজে,
তোমার পরশ লেগে আছে আজো
এই ধরণীর মাঝে।

তুমি নারী হও
তুমি তো সুচি নও ।
মানবতা যার কাছে
রক্ত- হাজার ভিখারির প্রাণ ।

মাঝে মাঝে নিজের পরিচয় খুঁজতে গিয়ে আমি বেশ ভাবুক হয়ে পড়ি,
কে আমি, পরিচয়টা ঠিক কিভাবে দেয়া উচিৎ?
আমি পিতার চোখে ধরণীর শ্রেষ্ঠ দুহিতা; সহজ, সরল, অমায়িক।

কতদিন দেখিনা যে, তোমাকে এ পথে-
ওগো নীলাম্বরী! বর্ষা চলে গেছে আজ
অনেকদিন; পথেতে শরতের রাজ
সেও গেছে একদিন শিউলির সাথে;

আমি বললাম তোমার কবরে গিয়ে শুয়ে থাকবো তোমার মৃত্যুর পরে।
তুমি বলেছিলে আমার খুব মনে পড়ে। খুব মনে পড়ে।
চর্যাপদের মত তোমার মৃত্যুর যুগ যুগ পর হয়তো তোমাকে বুঝবো।

আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান,
তোমার দিবা,আমার নিশি,তোমার উপাখ্যান।
তোমার ছন্দ,আমার মন্দ,
আমার তরে সুখ দ্বন্দ।
আমার তরে শত সমাজ শৃঙ্খল উত্থান।
আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান।