ছোট্ট ছোট্ট হাতে খোকা মায়ের গাল ছুঁতে চায়।
মায়ের মুখটা কাছে টেনে নাকটা কামড়ে দিতে চায়,মায়ের মনটা সুখের পরশে ভরে যায়।খোকাকে বুকে জড়িয়ে মা দুচোখ ভরে দেখে আর ভাবে- খোকা,তুই কবে বড় হবি?

এখানেতে আসি প্রায়
এ সবুজ বৃক্ষ ছায়;
যেথায় মুখটি ঢেকে ঘাসের কাঁথায়
মোর বন্ধুরা ঘুমায়।

তুমি তাকাও নি বলে
আমার আকাশে চাঁদ হাসে না বহুদিন।
তুমি এলে না বলে কলমের নিব
ভালবেসে কবিতার খাতায় খায় নি চুমু।

আলবদর,রাজাকার হয়ে যা হুশিয়ার,
আমরা বাঙ্গালি আর নয় পিছিয়ে
নিজেদের অধিকার আনবই ছিনিয়ে।
যুদ্ধের মাঠে মোদের নেই কোনো ভয়,

মাঘে আর মেঘের লুকোচুরিতে
দোলে দক্ষিণা বাতাস।
হেলে পড়া এলোচুলে,
সোনালী ঢেউ তুলে রোদেলা বিকেল।

বাউল মনের বাউলানী হারিয়ে গেছে অনেক দূরে।
ঠিকানা পেলে বিরহি বেহাগ?
ভোরের ভৈরব মন কেন উদাস?
ইমন তুলেছে পাল।

কোথায় ছিলে এতদিন জ্ঞাননন্দিনী
কত খুঁজেছি তোমায়,
হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া কাঁশবনে;
লাল পদ্ম ফুটে থাকা লেকের ধারে।

বিশাল কিছু পাবার আশায় কিশোরী মত্ত ছিল!
এ তোমার বোঝার ভূল হে যুবক।
যদি তাই হবে,তাহলে আমার কড়াঘাতে দেবালয় কেঁপে উঠলেও
কেন তোমার হৃদয় জমিনে একটু জায়গা খুঁজে পাই নি?
আমি বড্ড হেয়ালী ছিলাম গো,

আমার মনের স্বপ্ন ও
থাকে সেজেগুজে সদা হাস্বোজ্জল
হাল চাল নিরাপদ সদা মশগুল গল্পে
রোজ রাধে খায় দায় ঘুমায় দুপুরে

নির্ঘুম কত রাত-
বেঘোরে হারানো প্রভাত গেলো,
গেলো দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা।
দূর আকাশের ঐ হলদেটে চাঁদ গেলো-এলো-বদলালো,

প্রছন্ন গুধুলির দ্বার প্রান্তে নিভৃতে দন্ডায়মান
দেখছি কত শত বছরের মেঘনার এ বহমান।

কত শত ধ্বংসের মূলে তুমি, করেছ বিচরণ
কত সংস্কৃতি রেখেছ তুমার বুকে করেছ প্রণয়ন।

স্বপ্ন দেখায় ভীষণ অনীহা মেয়েটির..
অথচ প্রথম যেদিন ছেলেটি
দেখা দেয় তার মধ্যরাতের স্বপ্নে,
তারপর থেকে সব অন্যরকম..

বাবা মায়ের আশা ছিল হবো অফিসার,
টাকা পয়সা রোজগার করে চালাবো সংসার।
লেখা পড়া শেখার জন্য পাঠায় আমায় ঢাকা,
আমার জন্য খরচ করে বাবা মায়ের টাকা।
লেখা পড়া শিখে আমি হলাম বেকার যুবক,

প্রতীক্ষা একটি কুপির নাম কিংবা একটি হারিক্যান
টিমটিম জ্বলে রাতের আঁধারেসাঁতারকাটেপ্রতীক্ষা!
কখন খানাপিনা হবে এই অপেক্ষায় ধুকপুক করে বুক
কখন মা কুপির সলতে নিভিয়ে দিবেন
তারপর শুতে যাবো কাঠের শক্ত চৌকিতে

যার প্রতিক্ষায় সকাল দুপুর,
ভেবে কাটে একলা প্রহর।
সে কি আমায় করছে মনে?
ভাবছে কি হায় ক্ষণে ক্ষণে?