এ ক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
দশ মাস দশ দিন যুদ্ধশেষে
জয় পরাজয়ের টানাপোড়েনে।

তুমি ছিলে আমার বর্ণিল স্বপ্নে
তুমি ছিলে আমার দৃড় সংকল্পে
তুমি ছিলে আমার প্রাত্যহিক পথচলায়
তুমি ছিলে আমার নির্ভিক চিত্তে ।।

নির্ঘুম কত রাত-
বেঘোরে হারানো প্রভাত গেলো,
গেলো দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা।
দূর আকাশের ঐ হলদেটে চাঁদ গেলো-এলো-বদলালো,

প্রতীক্ষায় কেটে গেছে নির্ঘুম রাত ;
প্রতীক্ষায় কেটে গেছে প্রশান্ত প্রভাত ;
দ্বিপ্রহরের সময়টাও কেটে গেছে চুপে-চুপে ;
ভাবছি তখন আসবে তুমি, গোধূলির রঙ্গিন রূপে।

এখানে সবাই—আমার মতোই
প্রজ্বলিত স্বার্থপর।
মাইনে নিয়ে, বাগান পরিচর্যার ভরপুর দায়িত্বে থেকে
ফুল চুরি করে তাঁরা কেবলই রহস্য হন।
ঠাণ্ডা মাথায়, পরের অকল্যাণ স্বার্থকভাবে কামনা করে ;
আমার মতোই তাঁরা শুধু ভরিয়ে তোলেন
তাঁরা তাঁদের প্রতিটা বিষন্ন একাকী অবসর।

নীল জোছনা ভেঙে এসেছিলে তুমি
মেঘের ডিঙিতে চড়ে,
পূব আকাশ ছিলো রক্তিমাহীন
শিশির ভেজা ভোরে।

এখানেতে আসি প্রায়
এ সবুজ বৃক্ষ ছায়;
যেথায় মুখটি ঢেকে ঘাসের কাঁথায়
মোর বন্ধুরা ঘুমায়।

যতদূরে যাই-আত্মার গহীনে
সূক্ষ্ম একটা টান থেকে যায়
মুখোমুখি বসে ইচ্ছেমতো বলি যা মন চায় ।
সহস্র অভিমান, করুন জল,নীলাভ কষ্ট
তারপর বিভাজিত পৃথক দুটি পথ

একাএকাদিন কেটে যায়
বন্ধু তোমারঅপেক্ষায়
কবেপাবো তোমার দেখা
সেইআশায়দিন যে যায়।

দল ছেড়ে উড়ে আসা
দু-একটি চুলের দুষ্টুমি-
হয়তো মেনেই নেব আমি,
নিচু স্বরে গল্পে মুখর
হবো দুজনেই।

প্রিয়তমা তোমার সংজ্ঞা কি?
অথবা তোমার ঠিকানা?
জানি না; হয়তো তুমি
যেমন ভাবছো অথবা আমাকে ভাবাচ্ছ!

সেই মেয়েটা ছিন্ন বাঁধন আলতো রাগে হাঁটত যখন
পদ্ম পাতার ব্যস্ত কাঁপন একটা নূপুর বাজতো;
অবুঝ মনে বৃষ্টি নেমে মুষল ধারের শব্দ নীরে
দূরের দোয়েল পথ হারিয়ে ডালিম ডালে বসত;

চলে গেছে প্রাণপ্রিয় আমার আপন ...,
থেমে গেছে সব হাসি
স্মৃতির মধুসূধা হয়ে যাচ্ছে বাসি ।

শেষ বিকাল
যখন সোনা রোদে পৃথিবী মায়াময়
পার্কের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলা যুবক
এক টুকরা কাগজ কুড়িয়ে পায়।
কেউ ঝালমুড়ি খেয়ে ফেলে গেছে-

প্রতীক্ষা যদি হয় বিষাক্ত নীল,
যদি টুকরো কাচের উপর পা রেখে এক যুগ
দাঁড়িয়েও থাকি,
নোনা রক্তিম জলে যদি প্লাবন হয় পৃথিবীর বুক,
আমি থাকবো তার জন্য,সে যদি আমার প্রাণের প্রিয়,