তবে তাই হোক, বললেন ঈশ্বরঃ
সাহসী আদম খুলে নেয় বুকের পাঁজর–
মধুরনহর, অনাঘ্রাত শরাব, পাখির সিনাভুনা,
ফলমূল, পুষ্প, সুরভি, কলকল ঝরনা
সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে গড়ে তোলে
স্বপ্ন মানবী বড়ই বাসনার।

রমণী, সেতো হাজার রঙে রাঙিয়ে থাকা ,
অনিন্দ্য সুন্দর মানবী অঙ্গনাকে বুঝি।
রমণী,সেতো যুবকের মনে লালন করা তার প্রিয়তমাকে বুঝি।
যার কাছে সে চারূতার দেবী।

রমনী মানে সে বোঝে এক অপরের ভালোবাসা,
যে কিনা কষ্টের দিনে হাতে হাত রেখে চলার পথে পাশে এসে দাড়াঁয়।
সুখে দুঃখের ভাগিদার আর সেইত রমনী! রমনীর শুধু রুপটাই আসল নয়?

কতদিন দেখিনা যে, তোমাকে এ পথে-
ওগো নীলাম্বরী! বর্ষা চলে গেছে আজ
অনেকদিন; পথেতে শরতের রাজ
সেও গেছে একদিন শিউলির সাথে;

একটা শব্দ শুনে চমকে উঠেছি
রিমঝিম কোন নূপুরের ছন্দ।
কে যায়? কোথায় যায়?
বড় সতর্ক কর্ণদ্বয়।

মন বাড়ালেই জরাজীর্ণতার হাতছানি,
কেঁদে কেটে একসা-ফিরে আসবে না মধ্য দুপুর
কেবল গোধূলিয়ার রক্ত রঙ্গে নিজেকে সঁপে দাও
পুড়ে হও খাক, বুঝেও না বুঝার ভান ধরেছিলে একদা!

আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান,
তোমার দিবা,আমার নিশি,তোমার উপাখ্যান।
তোমার ছন্দ,আমার মন্দ,
আমার তরে সুখ দ্বন্দ।
আমার তরে শত সমাজ শৃঙ্খল উত্থান।
আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান।

তুমি কি নীল নয়না ?
নাকি, বাংলার ঘরের জতিষ্ক ?
তুমি কি সেই মায়াবী রুপের মহিমা।
যে যন্ত্রণা কাতর স্বামীর বুকে-
কথা কাটি দেয় ছুড়িয়া।

ভ্রমর কহে-
“দুঃখ কেন কুমড়োলতা!
তোমার ডগায় ফুল ছিল
আজ ফল দেখি
নিশ্চয়ই কোন গুণী ভ্রমর
হয়েছিল অভিসারী …”

সন্ধ্যা হবে হবে দুলছিলো বনের পাতা ,
মনের আনন্দে হাসছিলো গাছের পাতা!
পাখিরা যেন সব করছিলো মাতামাতি,
সবাই খুঁজছিলো মনের মতো সাথী।

ভিতরে ভিতরে পুড়ে ছারখার
বাইরে যে তরতাজা,
নিজে যে সে চাকরাণী হায়
জামাই মহারাজা।

নারী অমৃত নারী অতৃপ্ত নারী বসন্ত সারা অনন্ত
নারী আশ্রম এক জীবন্ত।
নারী কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের সংমিশ্রণ,
নারী দেবী নারী সরস্বতী নারী সমস্ত পুরুষের
প্রীতি হারা জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ ক্ষণ।

প্রতিদিন নিঃস্বার্থ ভাবুকচোখ শুধু বায়স্কোপ দেখি
কখনো নিরব জলঢেউ -কখনো দীর্ঘশ্বাস-
কত ফিল্মের পরিবর্তনকাল, কতটুকু হিসাব ছাড়া!
রঙ ঢং সাদা কাগজ মোড়ানো ফুলের মেলা।

আজ না-হয় আর একটু থাকো।
সুন্দরীতমা,
তুমি পাশে থাকলে বাতাসে গুন-গুন গান,
তুমি পাশে থাকলে রঙধনুতে রদ্রু-স্নান।
সেই রদ্রু ছুয়ে যাক তোমাকে,
মেয়ে, আবার আসুক স্বপ্ন তোমার দুচোখে।

রমণীর গুনে সংসার ভরে
সুখ শান্তি আসে,
দুঃখের বেলায় কষ্ট সহেও
থাকে সবার পাশে।