ওগো পল্লি রমণী!
কী রূপ দেখিয়েছো তুমি,
পর’পর’ বিকেলেরে হার মানিয়েছো
হার মেনেছে বসন্ত।

মে‌ঘের দে‌শে উ‌ড়ে বেড়ায়
‌মেঘ বা‌লিকার মন
‌ঝি‌রি ঝি‌রি সমীরণ বয়
তার বু‌কে‌তে সারাক্ষণ।

রমণী তুমি রূপের আঁধার
পৃথিবীর কারু কাজে,
তোমার পরশ লেগে আছে আজো
এই ধরণীর মাঝে।

দিনের শুরু কাজে গুরু
হাসি মুখে শুভসকাল
হাজার জনের হাজার বায়না
পূরণ করতে হয় যে বিকাল।

একুশের শ্লোগানে, আটই ফাল্গুনে-
কবিতার সনে হয়নি পড়া-অভিমানী প্রিয়ার প্রিয় কবিতাখানি;
ছেষট্টি ফাগুনে কত পুষ্প ফুলবনে-তুমি একবারও আসোনি।

রমনী তোমার জন্ম লগ্নে প্রায়স্র জলেনা দিপ্ত শিখা,
মঙ্গল ধ্বনি জাগায়না চরাচর।
স্বাগত ভাষনে একরাস তারপন্য,
তবু তিল তিল করে সবার মনের মতো!
তুমি যে আমার রমনী রতন।

মনলতা বন্যতা অদৃশ্য আকর্ষী
সাবলীল মুখশ্রী মায়াবী চোখ-

ঠোঁটেঠোঁটে খেলা করে প্রেম
বহতা নদীস্রোত দুলে যায় মনে।

সৃষ্টিকর্তা চাইলেন নিজের প্রকাশ
হও বলে সৃষ্টি করে কীর্তি একরাশ
একেএকে স্বর্গ মতর্ সপ্ত আসমান
অতঃপর আদমকে সানন্দে বানান।

স্বর্গের মাঝে বসবাস করে,
স্বর্গ সুখগুলি আজ পানসে,
অনুভূতির রংগুলি হয়ে গেছে ফ্যাকাশে ।

দুঃখের পাহাড় আসলো নেমে,
পড়ালেখাও গেল থেমে।
কোন উপায়ে অভাব কমে?
সুখ পাবে সে কতো দামে?

প্রিয় রমনী, তোমার প্রেমিক হওয়ার যোগ্য আমি নই।
তাই পূজারী হতে চাইছি তোমার।
প্রেমিকের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে,
দাবী দওয়া থাকে।

তুমি সন্ধ্যা প্রদীপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো

ক্লান্ত আকাশের নীচে

আমায় আলো দেখাবে বলে

দিনের গুণ টেনে ক্লান্ত দিনের পর

গোধূলির আলোয় মায়াময় ছায়াময় তোমার মুখে

অন্য দেশের নিমন্ত্রণ ।

স্নান হতে ভাজা কেশে
যখন তোমায় দেখি
চৈত্রের রোদ্দুর এসে পড়ে,
ওষ্ঠে অধর চুমি অন্তরের সাঁজা ঢালী।

নারী তুমি সম্মান
নারী তুমি শ্রদ্ধা
নারী তোমায় অভিনন্দন
তুমি ছাড়া সবই বৃথা

তুই কি জানিস তোর আগমনে
নহলী স্বপ্ন সাজলো নয়নে,
ঘুমহীন হয়ে দিবানিশি তাই
মানসনেত্র জাগে ...