মাইনকা-চিপায় বাবার বাবা, ভক্ত গাছের ডালে
বাঁদরামীতে দিন কেটে যায় রাত পোহাবার কালে

আমি নদ,
আজ এক স্রোতহীন নদ।
তোমার কাছে এসেছি ভেদিয়া কত প্রান্ত
পরতে-পরতে ভালবাসা জমিয়েছি
নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করেছি
তোমাকে ভালবেসেছি
আজ আমি নিজেই সর্বস্বান্ত।।

তোমার হাতে হাত রেখেই চিনেছি,
তুমিইতো আমার চিরচেনা প্রেয়সি।
আপলক নেত্রদ্বয়ে দেখেছি তেঁজ,
মুখের বুলিতে তুমি করেছো নিস্তেজ।

ভন্ডসাধুর আনাগোনা বেড়ে গেছে খুব বেশি,
পশু গুলো মানুশ-মেরে ফুলায় শুধু পেশী!
বোমা হাতে আজকে কারা শকুন-রূপে?

শুধু ঊনসত্তর টাকা !
তাও বুঝি সম্ভব ?
বাইশ কেজি হলে ওজনে পাকা,
রোদ্ররশ্মি ফিকে হয়ে গেলে,
তখনই মিলবে কড়া ছাপা হাতে,
ঐ ঊনসত্তর টাকা !

লাল শাড়িতে প্রেমে পরেছি আমি তোর
তোর মনের হতে চাই আমি একটা চোর,,
শোন তুই এত সহজে দিস না আমায় ধরা
তোর প্রেমে হতে চাঁই আমি পুরো দিশেহারা,,

আমার কষ্টগুলো মিশিয়ে দিয়েছি আকাশে
আকাশ ছড়িয়েছে আর সুবিশাল নীলিমায়
দহন জ্বালা বপন করেছি অনূঢ়া ভূমিতে
ফসলের অপেক্ষায় কালাতিপাত করি-

আমাদের দেশ ও বিশ্বের আর গ্রাম নগরের বস্তিতে
একবেলা খেয়ে না খেয়ে জীবনধারণ করছে শত মানুষ
অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিচেছ বিবেক
স্বাস্থ্যহীন নোংরা পরিবেশে গড়ে উঠছে শিশুরা

তোমার চোখে গড়ে ওঠা অশ্রুকণা
আমার অনেক দামে কেনা,
অনেক মুল্যবান,অনেক দামি
তাই বলছি তোমায়,শোন তুমি,

বড় প্রতীক্ষায় ছিলাম--
তুমি এলে, উওলা আমি শান্ত হলাম ।
দেখি তুমি হাতপা নাড়ছো,
সেকি নরম, তুলতুলে -- ছুঁয়ে দিতেই যেন গলে পড়বে।

আচ্ছা তুমি কি আমায় বুঝেছিলে?
নাকি চোখের পানিতে মেকাপ নষ্ট না হওয়ার
দিকেই তোমার সবটুকু চেতনা নিবিষ্ট ছিল?
'এত বছর পর কেমন আছি জানতে চাচ্ছো শুদ্ধা?'
আমি আছি স্মৃতি-বিস্মৃতির ফাঁকে এক ফটোগ্রাফার ।

কষ্টের তীব্রতায় জীবন যন্ত্রণাময়
এই কষ্টের কারন শুধুই তুমি
আসবে কি ফিরে সেই আঙ্গিনায় ?
ছিলাম যেথায় শুধুই তুমি আর আমি ।

তোমার প্রতি আমার টান,
এই তীব্রতা, এ মায়ার বন্ধন
কখনো কি অনুভব করেছো?
জানি ভুলে গিয়েছো আমায়;

নগরী'র শরীর বেয়ে উপচে পড়ছে পাপ
বোধের মুক্তোদানাগুলো নিশ্চুপ, নির্বাক
ঈশ্বর তুমি কি দেখোনা? তুমি কি দেখোনা,
মৃত্তিকা কেঁপে ওঠে আজ কেমন পাপের তীব্রতায়!

মেঘমেদুর সে পথে ছেয়ে রাখা উর্বশী কৃষ্ণচূড়ার ডানা
দমকা বাতাসে উড়ে চলা শিমুল তুলোর অস্ফূট কাতরতা,
কিংবা ভুল পথে পা বাড়ানো কোনো পথিকের কাপড়ের ভাঁজে