সাত সমুদ্র হাজার ঢেউয়ে
জলের তোড়ে ওলটপালট হৃদয় উঠান
পললতটে তোমার জন্যেই বেড়ে উঠেছে শখের কোমলকমলকুঁড়ি
অথচ কাছে থেকেও তুমিই এখন দূরের আকাশ

মাঝে মাঝেই এক সমুদ্র কষ্ট আসে,
কষ্ট পাওয়া স্মৃতি গুলো চোখে ভাসে,
বিষাক্ত ছোবল মারে মনের ক্যানভাসে।
তবুও মানুষ কষ্টকে কেন ভালোবাসে ?

মহাতাণ্ডব ঘনিয়ে আসছে নয় তা বহুদুর
স্মরিলে মম অন্তর হাহাকার ব্যথায় বিধুর
ইহকালের মায়ার জালে হয়ে রয়েছি আদৃত
পরকালের ভাবনা ঝড় উঠিয়ে করে বিধূত।

এই যে শহর শহরের পর শহর
ঝলসে যাচ্ছে!
এই যে গ্রাম গ্রামের পরে গ্রাম
পুড়ে যাচ্ছে!
কতদিন ধরে চলছি একা!

কষ্ট কি আমাকে মুক্তি দিবেনা!
কষ্টের আমাকে এত প্রিয় কেন?
কষ্টের নানান রূপে আমি বিমুঢ়, ব্যথিত।

মরে যাওয়া সাগরের বেলাভূমিতে, ভাঙা স্বপ্নরা
আছড়ে পড়ে তীব্র বেদনায়
অঝোরে ঝরায় অশ্রুগাথা, যেটা বয়ে চলে,
স্নিগ্ধ সাগর হলেও পারতো।।

নিষ্পাপ-নিরীহ মানুষের উপর
এই কেমন নিমর্ম-নিষ্ঠুরতা
স্বাধীন দেশে কেন এত উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

তোমার প্রতি আমার টান,
এই তীব্রতা, এ মায়ার বন্ধন
কখনো কি অনুভব করেছো?
জানি ভুলে গিয়েছো আমায়;

সময়ের বাস্তবতায়
আমি আসবো তোমার ভাবনায়
একদিন এলোচুলে উদাসী মনে
বিষন্ন বিকেলে সুরম্য অট্রালিকার নির্জনতায়
তখন সময়ের কাছে আমি বন্ধি

তীব্র প্রখর রোদ্দুরে সে নয় আজি ক্লান্ত,
তীব্র স্রোতের ধাক্কা তাহারে করিতে পারেনি ক্ষান্ত,
তীব্র বাতাস,অস্থির শ্বাস তার কাছে আজ শান্ত,
তীব্র হতাশে,দানবের ত্রাসে কাঁপে না তাহার দন্ত।

কষ্টের তীব্রতায় জীবন যন্ত্রণাময়
এই কষ্টের কারন শুধুই তুমি
আসবে কি ফিরে সেই আঙ্গিনায় ?
ছিলাম যেথায় শুধুই তুমি আর আমি ।

শিরায় শিরায় ভালোবাসা নিয়ে ঘোরো মুখে করো ছলোনা
থ্রম্বোইম্বোলিজম হবে তোমার, বাঁচতে আর পারবেনা

বিবেকের কাছে ভালোবাসা বিক্রি করেছি
হৃদয় হাটে তার চরা দাম পেয়েছি,
কষ্টের প্রতিচ্ছবিতে জীবনের শত ছবি একেছি
ছন্নছাড়ার ন্যায়ে বাঁধনহারার বেশে একা পথ চলছি।

ছুঁয়ে দেখো দেবী,
তুমি ছুঁয়ে দিলেই লিখে দিতে পারি একশো প্রেমের কবিতা;
লিখে ফেলতে পারি ব্রহ্মাণ্ডরচনার সমস্ত ইতিহাস;
যদিও ইতিহাসে আমার মোহ ছিল না কোনকালে!

শেষ বিকেলে বৃষ্টি থামতেই
মেয়েটি একছুটে বাইরে!
হাটতে হাটতে মিলিয়ে যায় রাস্তায়..
পেছনে ফেলে বারান্দায় মায়ের চিন্তিত চোখ!