জীবনের মানে কি
শুধুই বেঁচে থাকা?
একটি জীবন
একবিন্দু ভালোবাসা
একটুকু সুখ

ঘুম ভেংগে
শুনছি যেন
নুপুরের ও শব্দ,
কাজের ফাকে
বউ যে আমার
বকেই করছে জব্দ।

অস্থির শহরের ব্যস্ততায় কদাকার জ্যাম,
নষ্ট সময়ের খেরোখাতায় আঁচড় কাটে বিরক্তির নখরে।
সারি বেঁধে বাড়ে যন্ত্রের জট,
ঘর্মাক্ত শরীরে লেপ্টে থাকে ক্ষোভের প্রলেপ।

মোহের অঘোষিত প্রেমে প্লাবিত বদ্ধভূমি
অস্পৃশ্য বিসর্গের বড়শি কামনা-নদে দু-দোল্যমান,
পরোটার ডালে নেই নিয়মের চুমুক;
অদ্বৈত ভালবাসার আখড়ায় লালনের ঝুটি খুলে যায়।

মায়ের বকুনী, বাবার ঝাঁকুনী, ছোট ভাইয়ের আবদার ।
তাই ছুটে চলি যৌবন ভরা পদ্মার মত,
ঝেড়ে ফেলে দেই আছে ক্লেশ যত ।

রোদেলা দুপুরে ক্লান্তি কাটে রেশ
হে ধরনী তুমি সেজেছোতো বেশ!
আরও কত রঙ্গীন সুবর্ণ সৌন্দয্য
বিরল বহুল্য আছে রুপ।

জীবনের সহস্র দুঃখ আমি ঢেলে দিয়েছি
কবিতার পাঠে,
শত আদুরে অভিমানের হেঁয়ালীপনা অকপটে ।

কত সুনিপুণ তুমি
কত সুনিপুণ;
চেয়ে চেয়ে শুধু দেখি
দেখি তব গুণ।

বুকের ভেতর থেকে কে যেন মনটাকে ডেকে বলে একটু হেসে নিতে
হু হু হু হা হা হা…করেহেসে তো নিলাম, কিনতু তাকে তো আর খুজে পাই না
আসলে কোথায় লুকিয়ে থাকে সে, মাঝে মাঝে আমাকে এমন করে পোড়ায়ই বা কেন ?

বসন্তের পুষ্পঘ্রাণে মৃদুমন্দ সমীরণে শিহরিত মন
চাঁদনী রাতের জাগরণে প্রণয় মুখর আলাপনে পুলকিত ক্ষণ
জাগরুক তারার পানে অপলক নেত্র গুণে অনিল উড়ায় কেশ
অপরূপ নিবিড়নে বিমুগ্ধ আহরণে চিত্ত হারায় বেশ।

আকাশের মতোই বিশাল স্বপ্নের পৃথিবী আমার
এক স্বপ্ন ভেঙ্গেছে তো হাজার স্বপ্ন আছে আমার ,
স্বপ্নরা আগ্নেয়গিরির মতো উদগিরন হবেই তার
সব বাধা সংশয় কাটিয়ে জেগে উঠবোই আবার ৷

হু হু শব্দে সু মধুর গান মুখে
ঢেউ খেলানো অঙ্গে রঙ্গিলা সখে,
ভুতুম দীঘির ঘাটে,
কোমরে বিছা পায়ের নুপূরে
কলসী কাঙ্খে হাসি বদনে তাকায় সে ।

আজও নীল শরীরে স্বপ্নরা খেলে বেড়ায়....
অবহেলার নষ্ট চাঁদ ঠিকরে পড়ে
দুঃসহ খালি থালার কিনারে।
শত বেদনার খেলাঘরে বাসনার
ফুটো ছাদে শ্রাবণের মেঘেরা
ডাক দিয়ে যায়....

ভয় মুল্য পায় ।
তবু প্রদাহবিহীন এই স্পর্শগুলি রয়ে যায় ।
সন্তর্পনে তাদের আবহগুলি কাজ করে যায় ।
কেউ বুঝতে পারে না ।

মায়ায় কাটে দাগ, হৃদয়ে গভীর অনুরাগ
শিশির ভেজা পথে, দুজন এক সাথে
মেঘে ঘূর্ণি পাক, বিস্ম্রিতি পড়ে থাক
প্রেয়সী বাসনায় মেতে, ভেসে বেড়ায় চাঁদে।